সারাবিশ্বের ইউরোপ মহাদেশের সম্ভাবনা
সম্পর্কে কী ভাবে জিজ্ঞেস করলে ইউরোপীয়রা প্রায়শই দুই ধরনের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত
করে। একটি প্রশংসনীয়। চলমান কঠিন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে সহায়তা করার এবং রুশ আগ্রাসনকে
প্রতিহত করার সংগ্রামে, ইউরোপ একতা, দৃঢ়তা ও অমূল্য নীতিগত ইচ্ছা পোষণ করেছে।
দ্বিতীয়টি হলো বিপৎসংকেত। ২০২৩ সালে
অর্থনৈতিক মন্দা ইউরোপের সক্ষমতার পরীক্ষা করবে। একটি আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে আর তা হলো
বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যবস্থার পুনর্গঠন, আমেরিকার পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক ফাটল
ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতামূলক
উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলছে। এটি কেবল মহাদেশের সমৃদ্ধির ঝুঁকির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই,
বরং ট্রান্সআটলান্টিক জোটের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের জন্যও
সুখকর নয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপ থেকে সুসংবাদের
ভিড়ে বোকা বনে যাওয়া উচিত নয়। ইউরোপে গ্রীষ্মকাল থেকে বিদ্যুতের দাম কিছুটা কমেছে
এবং ভালো আবহাওয়ার কারণে গ্যাসের মজুত প্রায় পূর্ণ। গ্যাসের দাম যেখানে ছয়গুণ বেড়ে
গিয়েছিল। গত ২২ নভেম্বর, রাশিয়া ইউরোপে শেষ অপারেশনাল পাইপলাইনটি বন্ধ করার হুমকিও
দিয়েছে। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে ইউক্রেনজুড়ে জরুরি বিদ্যুৎব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন
হয়ে পড়েছে। ইউরোপের গ্যাস মজুত পুনরায় পূর্ণ করতে হবে ২০২৩ সালে, শুধু তাই নয়, পাইপলাইন
দিয়ে রাশিয়ার সরবরাহ গ্যাস ছাড়াই।
যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিন
‘জ্বালানি অস্ত্র’ ব্যবহারের কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। দ্য ইকোনমিস্টের মতে, আবহাওয়া,
জ্বালানি ও মৃত্যুহারের মধ্যে যদি সুষম সম্পর্ক বজায় না থাকে তাহলে পুতিনের ‘জ্বালানি
অস্ত্র’ বা ‘জেনারেল উইন্টার’ ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করবে। যুদ্ধে যে পরিমাণ ইউক্রেনীয়
মারা গেছেন, তার চেয়ে বেশি ইউরোপিয়ান মারা যেতে পারেন। যেখানে জ্বালানির প্রকৃত দামের
১০ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু সম্পর্কিত। ফলে এবছর জ্বালানি
সংকট ইউরোপজুড়ে ১ লাখ বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে পুতিনের
‘জ্বালানি অস্ত্র’ ইউক্রেনের বাইরে তার আর্টিলারি, ক্ষেপণাস্ত্র ও সরাসরি ড্রোন হামলায়
যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। এটি আরও একটি বড় কারণ হলো,
রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুধু ইউক্রেনের প্রতিরোধ নয়, এটি ইউরোপেরও লড়াই।
এই যুদ্ধ তীব্র অর্থনৈতিক ঝুঁকিও তৈরি
করেছে। জ্বালানি মূল্যস্ফীতি ইউরোপের বাকি অর্থনীতির খাতেও সংকট তৈরি করেছে। ফলে চরম
দ্বিধান্বিত ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
সুদের হার বাড়ানোর প্রয়োজন। যদি সুদের হার খুব বেশি হয় তবে এটি ইউরো জোনের সদস্যদের
অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
জ্বালানি সংকট তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে,
যুদ্ধ ইউরোপের ব্যবসায়িক মডেলের একটি দুর্বলতাও প্রকাশ করছে। ইউরোপের বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান
বিশেষ করে জার্মানির, রাশিয়া থেকে সরবরাহ করা জ্বালানির ওপর নির্ভর করে। অনেক প্রতিষ্ঠান
বিকল্প বাজার হিসেবে আরেক ‘স্বৈরাচারী’ চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যদিও স্পষ্ট
হয়েছে রাশিয়া-চীনের সম্পর্ক, ব্যয় বৃদ্ধি ও পশ্চিমা-চীনের বিচ্ছিন্নতার বিষয়গুলো।
আমেরিকার অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের কারণে
আতঙ্ক আরও বেড়েছে, যা ভর্তুকি ও সুরক্ষাবাদের ঘূর্ণিঝড়ে ট্রান্সআটলান্টিক জোটের দেশগুলোর
জন্য হুমকিস্বরুপ। মেক-ইন আমেরিকার আওতায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
আইনে জ্বালানি, উৎপাদন ও পরিবহন বাবদ ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এই
স্কিমটি শিল্প নীতিগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যা চীন কয়েক দশক ধরে অনুসরণ করছে। বিশ্ব
অর্থনীতির যখন অন্য দুটি স্তম্ভ আরও হস্তক্ষেপ ও সুরক্ষাবাদী হয়ে উঠছে, ইউরোপ তখন
মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মগুলো সমুন্নত রাখতে জোর দিচ্ছে।
এরইমধ্যে, ইউরোপের কোম্পানিগুলো ভর্তুকি
নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। নর্থভোল্ট, একটি সুইডিশ ব্যাটারি স্টার্টআপ।
আমেরিকাতে উৎপাদন প্রসারিত করতে চায় তারা। ইবারড্রোলা, একটি স্প্যানিশ জ্বালানি কোম্পানি,
ইউরোপীয় ইউনিয়নের তুলনায় আমেরিকাতে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করছে। অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা
সতর্ক করে বলেছেন, ব্যয়বহুল জ্বালানি ও আমেরিকান ভর্তুকির সংমিশ্রণ ইউরোপকে ব্যাপকভাবে
শিল্পহীনতার ঝুঁকিতে ফেলছে। বিএএসএফ, একটি জার্মান রাসায়নিক জায়ান্ট, সম্প্রতি তার
ইউরোপীয় কার্যক্রমকে ‘স্থায়ীভাবে’ সঙ্কুচিত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
বিনিয়োগ হারানো ইউরোপকে আরও দরিদ্র
করে তোলে ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা হ্রাসে প্রভাব ফেলে। করোনা মহামারি পূর্বের জিডিপি পুনরুদ্ধারে
ইউরোপ অন্য যে কোনো অর্থনৈতিক ব্লকের চেয়ে খারাপ করেছে। বিশ্বের ১০০টি বড় কোম্পানির
মধ্যে মাত্র ১৪টি ইউরোপীয়। রাজনীতিবিদরা নিয়মের বাইরে গিয়ে এবং কর্পোরেটের ধারার একটি
ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় তাদের নিজস্ব ভর্তুকি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রলুব্ধ
হচ্ছেন। জার্মানির অর্থমন্ত্রী আমেরিকার ‘বিনিয়োগ বাড়ানো’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ‘ইউরোপীয়ান জাগরণ’ এর আহ্বান জানিয়েছেন।
এভাবে ভর্তুকির শ্রেণি আমেরিকা ও ইউরোপের
মধ্যে উত্তেজনাও বাড়াচ্ছে। ইউক্রেনের জন্য আমেরিকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা ব্যাপকভাবে
ইউরোপকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এশিয়ার দিকে অগ্রসর হওয়ায়, আমেরিকা
নিরাপত্তার জন্য অর্থ প্রদানে ইউরোপের ব্যর্থতাকে দায়ী করছে। ন্যাটোর বেশিরভাগ সদস্য
প্রতিরক্ষাখাতে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করার লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে ইউরোপীয়
ইউনিয়ন ছিল অনেকটাই ‘নির্বোধ’। যদিও যুদ্ধের কারণে আমেরিকা ও ইউরোপ ট্রাম্পের সময়ের
চেয়ে আরও বেশি একত্র হয়েছে। তবে বিপদ হলো একটি দীর্ঘ সংঘাত ও অর্থনৈতিক উত্তেজনা ধীরে
ধীরে তাদের আবার আলাদা করে দিতে পারে। এতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট
শি জিনপিং খুশি হবেন বৈকি।
বিপজ্জনক ফাটল এড়াতে, আমেরিকাকে অবশ্যই
বড় পরিসরে ভাবতে হবে। বাইডেনের সুরক্ষাবাদ ইউরোপের জীবনীশক্তি হারানোর হুমকিস্বরুপ।
বাইডোনোমিক্সের প্রধান লক্ষ্য হলো চীনের প্রধান শিল্পের আধিপত্য বন্ধ করা। তবে আমেরিকার
ইউরোপীয় বিনিয়োগে কৌশলগত আগ্রহ নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে
জ্বালানি ভর্তুকির জন্য উপযুক্ত করে তুলতে হবে এবং ট্রান্সআটলান্টিক জ্বালানির বাজারগুলোকে
আরও গভীরভাবে সংহত করতে হবে।
ইউরোপকে জ্বালানি সংকটের মধ্যেও অর্থনীতিকে
রক্ষা করতে হবে। জার্মানির মতো ভোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের জ্বালানির চাহিদায় ভর্তুকি দেওয়ার
পরিকল্পনা করে মূল্য ও চাহিদায় সামঞ্জস্য আনতে হবে। একটি নতুন নিরাপত্তা বাস্তবতার
সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে অর্থাৎ প্রতিরক্ষায় আরও বেশি ব্যয় করতে হবে।
প্রশংসা ও শঙ্কার কথা উঠলেও, ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক
সম্পর্ক এখন হতাশাব্যঞ্জক। তবে ইউরোপকে যুদ্ধের মাধ্যমে বিভক্ত করা উচিত নয়। ইতিহাসের
সবচেয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক জোটের মানিয়ে নেওয়া ও টিকে থাকা অত্যাবশ্যক।
জ্বালানি ভূ-রাজনীতি ইউরোপ সঙ্কট
মন্তব্য করুন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।
বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
মন্তব্য করুন
নিউইয়র্ক বাংলাদেশি হত্যা উইন রোজারিও
মন্তব্য করুন
স্টকপোর্টের আসনে লেবার পার্টির কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন 'কাল মার্কস'। এই রাজনীতিবীদের পুরো নাম কার্ল পিটার মার্ক্স ওয়ার্ডলো।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনে ব্রিনিংটন ও স্টকপোর্ট অঞ্চলের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। শুক্রবার (০৩ মে দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ এ রাজনীতিবীদের সঙ্গে জার্মান দার্শনিক কাল মার্কসের নামের মিল রয়েছে। তিনি একাধারে জার্মান দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজ বিজ্ঞানী, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী। সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন হলেন কাল মার্কস। তার নামের সঙ্গে মিল থাকা এ রাজনীতিবীদ নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন। মোট ভোটের ৬১ শতাংশই অর্জন করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছেন লেবার পার্টির কয়েক ডজন প্রার্থী। এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন মার্কস। যদিও স্টকপোর্টের কাউন্সিলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কারও হাতে নেই। কেননা এ জায়গাটিতে লিবারেল ডেমোক্রেটরা সমচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন।
কাল মার্কস আগে গ্রিন পার্টির সদস্য ছিলেন। তবে লেবার পার্টির হয়ে তার সাফল্য ধরা দিয়েছে। ২০১৯ সালে লেবার পার্টির হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ওই সময়ে তিনি লেবার পার্টির তৎকালীন প্রার্থী কেরি ওয়াটার্সের কাছে হেরে যান।
মন্তব্য করুন
গাজা যুদ্ধের জের ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলো তুরস্ক। ২ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে দেশটি। যতদিন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধ না হবে ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের এই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েল। তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ৩ দিন পর এমন আভাস দিলো ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্ট।
ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের এই বাণিজ্য বয়কটের প্রভাব আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভুগতে শুরু করবে ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের কারণে ইসরায়েলে মৌলিক পণ্য, খাদ্য পণ্য এবং বাড়িঘরের দাম বেড়ে যাবে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, তুরস্ক বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ইসরায়েলি সরকার বেশ অবাক হয়েছে। কারণ তারা ভেবেছিল তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেও; এটি কখনও কার্যকর করবে না। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের বিকল্প বের করতে লম্বা সময় প্রয়োজন হবে। সঙ্গে নতুন করে চুক্তিও করতে হবে। এমনকি বিকল্প কোনও দেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও পণ্যের দাম বেশিই থাকবে।
পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির এই ভার সাধারণ ইসরায়েলিদেরই বহন করতে হবে। যারা যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে আগের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন।
তুরস্কের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে ইসরায়েলি নির্মাণ শিল্পের ওপর। সঙ্গে অটোমোবাইল খাতেও এটির প্রভাব পড়বে।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।
স্টকপোর্টের আসনে লেবার পার্টির কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন 'কাল মার্কস'। এই রাজনীতিবীদের পুরো নাম কার্ল পিটার মার্ক্স ওয়ার্ডলো। বৃহস্পতিবার (০২ মে) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনে ব্রিনিংটন ও স্টকপোর্ট অঞ্চলের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। শুক্রবার (০৩ মে দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।