যুদ্ধপরাধীদের
বিচারের দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশ যখন উত্তাল। সবাই যখন ঘৃণ্য অপরাধীদের
বিচারের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ, তখন যুদ্ধাপরাধী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কিছু
আইনজীবী যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। সেই সময় ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সহকারী
হিসেবে আলোচনায় আসেন শিশির মনির।
জামায়াতের
ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের ২০০৯ সালের কেন্দ্রীয়
কমিটির এই সাধারণ সম্পাদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে
পড়াশোনা শেষ করেন। এসময়
জামাতের সিদ্ধান্তে তাকে লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়তে পাঠানো হয়।
২০১২
সালে দেশে ফিরে তিনি
সুপ্রিম কোর্টে প্রাকটিস শুরু করেন। বর্তমানে
শিশির জামায়াতের ল উইংয়ের গুরুত্বপূর্ণ
সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
বর্তমানে
দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও আর্থিক খাত
নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে
তার অন্যতম কুশীলবের ভূমিকায় রয়েছেন এই শিশির মনির।
ইসলামি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে
সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্প্রতি হাইকোর্টে এক রীট করে আলোচনায় এসেছেন শিশির মনির। মূলত
জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই রীট করা হয়েছে। শিশির মনিরের এই রীট হয়েছে ইসলামী ব্যাংক
নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র রিপোর্টের ভিত্তিতে। এই রীট পিটিশনের
পর প্রশ্ন উঠেছে, প্রথম আলো কি তাহলে জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মিশনে নেমেছে? ইসলামী
ব্যাংক জামাতের হাতছাড়া হবার প্রেক্ষিতে জামায়াত বিভিন্নভাবে এই ব্যাংকটির বিরুদ্ধে
অপপ্রচার করছে। এখন প্রথম আলো এই অপপ্রচার মিশনে যুক্ত হয়েছে। আর শিশির মনির এটাকে
আদালতে নিয়ে গেছে।
তরুণ
প্রজন্মের কাছে নির্বাচনী অঙ্গীকার
হিসেবে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের
২৫শে মার্চ ট্রাইবুনাল গঠন করে আওয়ামী
লীগ সরকার। শুধুমাত্র আইনী সাহায্যই নয়,
দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে নানা বিতর্কিত ও
মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে
বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন
শিশির মুনির। এভাবে দেশে বসেই বিচার
কাজকে বিতর্কিত করতে সে বিদেশে
তার নেটওয়ার্ক কাজে লাগান শিশির।
আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালান
তিনি। প্রশ্ন উঠছে, সেই বিতর্কিত
ব্যাক্তির সংগে ‘প্রথম আলো’র সখ্যতার রহস্য কি?
মন্তব্য করুন
কোটা আন্দোলন সরকার পতন বিটিভি বিমানবন্দর
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য লেবার পার্টি বিএনপি তারেক জিয়া অভিবাসী লেবার সরকার কিয়ার স্টারমার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়া রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে আসলে সরকার পতনের একটি আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল এবং এই আন্দোলন দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে পরিকল্পিত হয়েছিল। সরকার পতনের জন্য সারা দেশে তাণ্ডব সৃষ্টি, নাশকতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এ কারণে ঢাকায় প্রায় পাঁচ লাখ ছাত্রশিবির, ছাত্রদল এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকর ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রধানমন্ত্রীর ফাই-ফরমাস করছেন। বাজার হাট করে দিতেন এবং জাহাঙ্গীরের (প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর) চেয়ে এক ধাপ নিচের হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হতো। সেই মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানও এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক। আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে। তবে কুমিল্লা নিবাসী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এখন দেশে নেই। তিনি বিদেশে আছেন।
যুক্তরাজ্যে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সেই দেশের আভ্যন্তরীণ নীতি, পররাষ্ট্রনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। স্টারমার সরকার অভিবাসী নীতির বিপক্ষে নয়। তবে অভিবাসীদের কিছু সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত বলে তারা মনে করছেন। স্টারমার সরকার মনে করছে যে, অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে যা খুশি তা করলে যেমন পররাষ্ট্রনীতির ওপর তার প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ কারণেই লেবার সরকার তার প্রথম দিকে যে সমস্ত নীতি এবং উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি হল অভিবাসীদের কার্যক্রম সীমিতকরণ।