ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিন নিয়ে নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক নির্বাচনে ইসরায়েলের সাবেক কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও জয়লাভ করায় দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তির আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় আসার আগেই এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ও ভূমি সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি। রোববার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বা ভূখণ্ড সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ পরিষ্কার হওয়ার পর এই কথা জানান তিনি।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলে গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন দেশটির সাবেক কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া ক্ষমতায় যেতে তিনি চরম কট্টরপন্থি এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের পক্ষে থাকা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। নেতানিয়াহুর জোটে থাকা উগ্রপন্থি এসব দলগুলোর মধ্যে রিলিজিয়াস জায়োনিজম নামে একটি দলও রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, নেতানিয়াহুর অধীনে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সম্ভবত আরও অবৈধ ইসরায়েলি বসতি গড়ে উঠবে। এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত নেতানিয়াহু একটানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ওই সময়কালে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অবৈধ বসতির রেকর্ড সম্প্রসারণ হয়েছিল।

আল জাজিরা বলছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এই ধরনের ইসরায়েলি অবৈধ বসতি আন্তর্জাতিক আইনে বেআইনি বলে বিবেচিত হয় এবং সংকট সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসাবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক হিসাবে মনে করা হয়।

এদিকে নেতনিয়াহুর জোটে থাকা রিলিজিয়াস জায়োনিজম নামক ওই উগ্রবাদী দলটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণকে সমর্থন করে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে থাকে। নেতানিয়াহুর নতুন ওই জোটে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি পদও বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাম-ঘেষা ইসরায়েলপন্থি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জে স্ট্রিটের সাথে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এসময় তিনি নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানান। যদিও ওয়াশিংটনের পূর্ববর্তী ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসনের সঙ্গে প্রবীণ এই ইসরায়েলি নেতার সম্পর্ক অনেকটা সাংঘর্ষিক ছিল।

রোববার ব্লিংকেন বলেন, ‘আমরা একক কোনও ব্যক্তি নয় বরং সরকার যেসব নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে সেটির মাধ্যমে তাদের মানদণ্ড পরিমাপ করব।’

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ‘নিরলসভাবে’ কাজ করবে।

ব্লিংকেন আরও বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করব আমরা। যার মধ্যে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত, ধ্বংস এবং উচ্ছেদসহ সহিংসতার প্ররোচনাও রয়েছে।’

তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন ‘এলজিবিটিকিউ জনগণের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইসরায়েলের সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচারের সমান প্রশাসনসহ মূল গণতান্ত্রিক নীতিগুলোর ওপর জোর দেবে।’

আল জাজিরা বলছে, নেতানিয়াহুর অতি-ডানপন্থি জোটে নোয়াম নামে একটি গোষ্ঠীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যার নেতা আভি মাওজ এলজিবিটিকিউ অধিকারের ঘোর বিরোধী। এছাড়া নেতানিয়াহুর জোটের অন্য অংশীদার কট্টরপন্থি জিউশ পাওয়ার পার্টিও অবৈধ বসতি সম্প্রসারণকে সমর্থন করে।

জিউশ পাওয়ার পার্টির নেতা ইতামার বেন-গভির গত বছর পর্যন্ত ফিলিস্তিনি-বিদ্বেষী ধর্মীয়-অতি-ডানপন্থি উস্কানি প্রদানকারী হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী উস্কানি এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি এলজিবিটিকিউ-বিরোধী সক্রিয়তার জন্য ২০০৭ সালে বেন-গভিরতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

বেন-গভির অবশ্য বলছেন, তিনি এখন আর সকল ফিলিস্তিনিকে তাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে নন। তবে শুধুমাত্র যাদেরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বা ‘সন্ত্রাসী’ বলে মনে করা হবে সেসব ফিলিস্তিনিকে বহিষ্কার পক্ষে তিনি।


ফিলিস্তিন   যুক্তরাষ্ট্র   নেতানিয়াহু   হুঁশিয়ারি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধির আশাবাদ

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গাম্বিয়ার বানজুলে ২-৩ মে অনুষ্ঠানরত ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সাইভলাইনে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। হাছান মাহমুদ গাম্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য

দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনদের এর সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাবনা দেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে ওআইসির দৃঢ় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ দিন সন্ধ্যায় অপর এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রিয়াদ মনসুর ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনের কথা অবহিত করেন।

ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন। পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ বৈঠক দুটিতে উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ   গাম্বিয়া   বাণিজ্য   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। আজ শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।

ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চলমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি। গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের কারণে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের শিকার হন; ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে তাদের। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

ভোটের ফলাফলে যেন কৃষকদের ক্ষোভের আঁচ না থাকে— সেজন্যই বিজেপি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রকে বলা হয় ভারতের পেঁয়াজের রাজধানী। দেশটির মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের অধিকাংশই আসে এই রাজ্য থেকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরিশাসসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত।

ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতেও পেঁয়াজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল, বিশেষ করে ভোটের সময়। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ওই নির্বাচনকে ‘পেঁয়াজের নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সভানেত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দিয়েছিল নয়াদিল্লিতে সে সময়ে আসীন কংগ্রেসবিরোধী সরকার।

নির্বাচনে জয়ের পর পেঁয়াজের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কংগ্রেস সরকার; এতে কৃষক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে রীতিমতো পেঁয়াজ রপ্তানির হিড়িক পড়ে যায় এবং বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৬ রুপি পর্যন্ত উঠেছিল, যা ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে রীতিমতো ‘রাজকীয় মূল্য’।

গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলেও পরে তা আরও বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল নয়াদিল্লি।


পেঁয়াজ   রপ্তানি   নিষেধাজ্ঞা   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুরুষদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করলো মিয়ানমার

প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পুরুষদের জন্য কাজের সন্ধানে বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করায় দেশ ত্যাগে আগ্রহ বেড়েছে নাগরিকদের। ফলে কাজের নামে মিয়ানমারের পুরুষ নাগরিকদের দেশ ত্যাগ রোধে এই নীতি আরোপ করেছে জান্তা বাহিনী। 

বৃহস্পতিবার জান্তার তথ্য টিমের পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ আইন প্রণয়ন করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। 

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক পুরুষদের আবেদন গ্রহণ 'সাময়িকভাবে স্থগিত' করেছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়।

‘বহির্গমন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় অনুসারে যাচাই করতে আরও সময় নিতে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করায় দেশ ত্যাগে আগ্রহ বেড়েছে নাগরিকদের। ফলে কাজের নামে মিয়ানমারের পুরুষ নাগরিকদের দেশ ত্যাগ রোধে এই নীতি আরোপ করেছে জান্তা বাহিনী।


মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ফিলিপাইনে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (পিআইভিএস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় লেইতে প্রদেশের উপকূলীয় শহর দুলাংয়ের সাগরতীর থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমুদ্রের তলদেশের ৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তন এই ভূমিকম্পের প্রধান কারণ। একই কারণে নিকট ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প দেখা দিতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছে পিভিআইএস।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের 'আগ্নেয় মেখলা' (রিং অব ফায়ার) অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান হওয়ার কারণে ফিলিপাইনে ছোট-বড় মাত্রার ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।


ভূমিকম্প   ফিলিপাইন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্ত্রীকে পিটিয়ে মারলেন কাজাখস্তানের সাবেক মন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কাজাখস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী কুয়েঞ্জিক বিশিমবায়েভের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সামনে আসার পর দেশটিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

কখনও ঘুষি, কখনও লাথি। স্ত্রীকে এভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন টানা আট ঘণ্টা। 

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনায় বেকায়দায় পড়েছেন দেশে সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সকলকে সুবিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রেসিডেন্টও।  

ঘটনাটি গেল নভেম্বর মাসের। ওই মাসে একটি রেস্তোরাঁয় মিলেছিল বিশিমবায়েভের স্ত্রী সালতানাত নুকেনোভার মরদেহ। যে রেস্তোরাঁতে তার মরদেহ পাওয়া যায় সেটি বিশিমবায়েভের এক আত্মীয়ের। আগের দিন রাত থেকে সেখানে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। 

ওই রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গেছে, কাজাখস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী স্ত্রীকে টানা আট ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়েছেন। ঘুষি-লাথির পর সালতানাতকে চুলের মুঠি ধরে পাশের ঘরে টেনে নিয়ে যান।  

আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে শৌচালয়ে গিয়ে লুকিয়েছিলেন সালতানাত। দরজা ভেঙে তাকে সেখান থেকে বার করে এনে মারধর শুরু করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সালতানাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা হয়েছে, মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে সালতানাতের। 


অর্থমন্ত্রী   কাজাখস্তান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন