ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ জাপানের, কোয়ার্টার ফাইনালে মদরিচরা

প্রকাশ: ১১:৫৮ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

এশিয়ান ফুটবলের নতুন ভোর নাকি, ক্রোয়েটদের প্রত্যাবর্তন। জাপান-ক্রোয়েমিয়ার ম্যাচের আগে ফিরে ফিরছিলো এই প্রশ্ন। গ্রুপপর্বে দুরন্ত জাপানকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। আর সেটা খুবই যৌক্তিক। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে তারা হারিয়ে দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও স্পেনকে। তবে নতুন গল্প লেখা হলো না সুর্যোদয়ের দেশটির। টাইব্রেকারে ৩-১ এ জয় নিয়ে শেষ আটে পা দিলো বলকান দেশটি। আর কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো জাপানের।

ম্যাচের ৩ মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সে ভীতি ছড়ায় জাপান। তবে শোগো তানিগুইচির নেয়া হেডটি গোলরক্ষকে পরাস্ত করলেও পোষ্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। শুরুতেই এগিয়ে যা্য়ার সুযোগ হারায় এশিয়ার দলটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াবে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ নষ্ট করেন ইভান পেরিসিচ। বাম প্রান্তে এক ডুয়েল থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। জাপানের গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেন নি পেরিসিচ। ১৩ মিনিটে জুনায়ার ক্রস থেকে ভাল সুযোগ থাকলেও জায়গা মতো ছিলেন মাইয়েদা।

২৪ মিনিটে গোলের সুযোগ হারায় ক্রোয়েশিয়া। পেরিসিচের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন জোসকো। তবে তার বাম পায়ের শটটি বারের উপর দিয়ে চলে যায়। টানা আক্রমণে মদরিচদের রক্ষণে ভাল চাপ তৈরি করে জাপান। তবে বারবার আক্রমণে গেলেো গোল আদায়ে ব্যর্থ হয় দলটি। ৪১ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভেদ করে সুন্দর একটি পাস পান কামাদা। তবে যে শটিট তিনি নিয়েছিলেন, তা বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।

৪৩ মিনিটে ম্যাচে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় জাপান। শর্ট কর্নার থেকে ইয়োশিদার ক্রস পেনাল্টি বক্সের ভেতরে এক ক্রোয়েট ফুটবলারের গায়ে লেগে চলে যায় মাইয়েদার পায়ে। প্রথম সুযোগে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় এশিয়ার দলটি।

বিরতির পর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে থাকে দুই দলই। ৪৬ মিনিটেই ব্যবধান বাড়াতে পারতো জাপান। তবে গোল করতে ব্যর্থ হন কামাদা। তিন মিনিট পর আক্রমণে উঠে ক্রোয়েশিয়া। তবে সেখান থেক দলকে সমতায় ফেরাতে পারেন নি কোভাচিচ। পরের মিনিটে মরিতার শট প্রতিহত করেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বর্তমান রানার্সআপদের। দ্রুতই সমতায় ফেরেছ লুকা মদরিচের দল। ৫৩ মিনিটে লভরেনের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান ইভান পেরেসিচ। স্বস্তি ফেরে ক্রোয়েটদের ডাগআউটে।

৫৮ মিনিটে এন্দোর নেয়া শট প্রায় জালে ঢুকেই গিয়েছিলো, তবে আবারো ক্রোয়েশিয়ার ত্রাতা হয়ে উঠেন লিভাকোভিচ। লাফিয়ে উঠে সে শট বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। দুই মিনিট পর রিতসু দোয়ানের আরেকটি শট আটকে দেন তিনি। ৬২ মিনিটে দলে প্রথম পরিবর্তন আনে ক্রোয়েশিয়া। পেতকোভিচকে উঠিয়ে বুদিমিরকে মাঠে নামান জ্লাতকো দালিচ।

৬৩ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে জোরালো এক শট নেন লুকা মদরিচ। দারুণ এক ভলিতে বল যাচ্ছিলো জালের দিকে। তবে এবার জাপান গোলরক্ষক সুইচি গন্দা ফিরিয়ে দেন সে শট। কর্নার পায় ক্রোয়োশিয়া। পরের মিনিটে দলে জোড়া পরিবর্তন করে জাপান। নাগাতোমো-মাইয়েদার বদলি হিসেবে মাঠে নামে মিতোমা ও আসানো।

৬৭ মিনিটে ক্রোয়োশিয়াকে এগিয়ে দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বদলি হিসেবে নামা বুদিমির। ফাঁতা জায়গায় বল পেয়েও এলোমেলো শটে হতাশ করেন দলকে। ৭৪ মিনিটে ব্যর্থ হন পাসালিচও। ৭৭ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া পেরিসিচের শট ঠেকিয়ে দেন গন্দা। মদরিচের নেয়া সে কর্নার থেকে বিপদ হতে পারতো। তবে বারিসিচের নেয়া শট ক্লিয়ার করেন দোয়ান।

৮৬ মিনিটে পাছালিচ সুযোগ নষ্ট করলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি ক্রোয়েশিয়ার। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতা থাকলে চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। 

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুই দল। ৯২ মিনিটে দারুণ গতিতে তানিগুইচি প্রতিপক্ষের রক্ষণে ঢুকলেও গোল করতে পারেন নি। ৯৯ মিনিটে লুকা মদরিচ-কোভাচিচের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লোভরো মাজের এবং ভ্লাসিচ। তবে তাতেও বদলায়নি ম্যাচের চিত্র। দুই মিনিট পর পেরিসিচ ও ভ্লাসিচের আক্রমণও নষ্ট হয়ে যায়। ১০৫ মিনিটে মিতোমা ও এন্দোর প্রচেষ্টাও আলোর মুখ দেখেনি।

১১৬ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন বারিসিচ। অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহুর্তেও গোল করতে ব্যর্থ হন মাজের। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকে।  ফলে ফল নিষ্পত্তির জন্য টাইব্রেকারে গড়ায় জাপান-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ।

স্পট কিক থেকে নেয়া মানামিনোর প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। তবে লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয় শট ডান পাশে ঝাঁপিয়ে আটকে দিয়ে ক্রোয়েটদের নায়ক হয়ে ওঠেন লিভাকোভিচ। পরের শট থেকে ব্যবধান ২-০ করেন ক্রোয়েশিয়ার ব্রজোভিচ। তৃতীয় শট থেকে গোল করেন আসানো।

ক্রোয়েশিয়ার নেয়া তৃতীয় শট বারে লেগে ফিরে আসলে আশা বেঁচে থাকে জাপানের। তবে ব্যর্থতা ভাঙতে পারেনি জাপান। চতুর্থ স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় ইয়োশিদা। ম্যাচে ৩টি পেনাল্টি সেভ করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে নিয়ে যান লিভাকোভিচ। তবে জাপানের মতো ভুল করেনি ক্রোয়েশিয়া। চতুর্থ পেনাল্টি জালে জড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠে গত আসরের রানার্সআপরা।


কাতার বিশ্বকাপ   জাপান   ক্রোয়েশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরও দল নিয়ে সন্তুষ্ট এনরিকে

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের পরও ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে পিএসজি। তবুও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। যদিও এই পরাজয়কে তিনি ‘অন্যায়’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দেওয়া কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আমি খুবই হতাশ। এখন আমি আর কোথাও নেই। নিজেদের মূল লক্ষ্য পূরণে আমরা ব্যর্থ।’

কালকের ম্যাচে পিএসজির চারটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক সমর্থকদের। জার্মানিতে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতেও পরপর দুটি শট পোস্টে লেগেছিল পিএসজির।

এনরিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এই ম্যাচে আমরা বাজে খেলেছি। ছয়বার আমাদের শট বারে লেগেছে। ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যা খুবই অন্যায়। ৩১টি শট টার্গেটে করলেও এর থেকে একটি গোলও আদায় করতে পারিনি। এই লড়াইয়ে ফুটবল আমাদের সাথে অন্যায় করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ফাইনালে খেলার জন্য। দ্রুত আমাদের এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দল নিয়ে আমি দারুন গর্বিত, এতে কোন সন্দেহ নেই। কোচ হিসেবে এই পরাজয়ের প্রথম দায়ভার আমার। কিন্তু তারপরও দলের মানসিকতায় আমি খুশি।’

ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল পিএসজি। একইসাথে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা ট্রফিটিও হাতে তুলে নেবার আশা তাদের ছিল।

এই মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেয়া এনরিকে বলেন, ‘পিএসজিতে আসার আগে আমি একটি লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা যেভাবে ভালো খেলি অন্তত সেই ধারা বজায় রাখা। কাপ ফাইনালের পর মৌসুম যখন শেষ হবে তখন ভেবে দেখবো আমরা কি অর্জন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে আমি কখনই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোন কথা বলি না। আজ আমার একটি প্রত্যাশা ছিল। এই ধরনের পরাজয়ে কোন সান্ত্বনা নেই। কিন্তু এটাই জীবন, এটাই খেলা। কিভাবে জেতা যায় সেটা জানা খুবই জরুরি। একইসাথে পরাজয়ের কারণও খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানানো উচিৎ ও এই পরাজয়কে মেনে নেয়া উচিৎ।’


লুইস এনরিকে   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বরুশিয়া ডর্টমুন্ড   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগেরও বেশি সময় পর ঘরে ফিরছেন সিলভা

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

থিয়াগো সিলভা। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের জুনিয়র একাদশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ফুটবল ক্যারিয়ার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সেখান থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আজ সারা ফুটবল বিশ্বে সমাদৃত তিনি। পেয়েছেন অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের তকমাও।

সিলভা ফুটবলে সিরিয়ার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে। সেখানে এক বছর থাকার পর চলে যান রাশিয়ান ক্লাব ডায়ানামো মস্কোতে। রাশিয়ায় থাকতে সিলভার জীবনে নেমে বড় এক ঝড়। জটিল রোগ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে ২০০৭ সালে ফের ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেন সিলভা। ২ বছর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি।

২০০৯ সালে ব্রাজিল ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে (২০০৯-১২) যোগ দেন সিলভা। এরপর খেলেছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে। ফরাসি ক্লাবটিকে প্রায় ৮ বছর থাকার পর চেলসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সিলভা। চেলসিতে ৪ বছর মিলিয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে প্রায় ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার-ব্যাক।

চলতি মৌসুম শেষে চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে সিলভার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সঙ্গে থাকবেন না, তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন তিনি। সে হিসেবে চেলসির জার্সিতে আর মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন সিলভা। প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচটিই হতে পারে চেলসির জার্সিতে সিলভার শেষবারের মতো মাঠে নামা।

চেলসির পর কোথায় যাবেন সিলভা, এমন প্রশ্ন গত কয়েক দিন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলভক্তদের মাথায়। অনেকে মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে (এমএলএস) খেলবেন এই ব্রাজিলিয়ান। আবার অনেকের ধারণা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের মতো সৌদি প্রো লিগে যেতে পারেন তিনি।

এবার নিশ্চিত হওয়া গেছে, চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে কোথায় যাব্নে সিলভা। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি নয়, সেই ছোটবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে ফিরে যাবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্স। অর্থাৎ প্রায় ১৫ বছর ইউরোপে প্রবাস জীবন শেষ করে ঘরে ফিরছেন সিলভা।

২০২০ সালে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিলেন সিলভা। এটিই ইউরোপীয় ফুটবলে তার সবচেয়ে বড় সফলতা। এছাড়া জাতীয় ব্রাজিলের জার্সিতে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপ ও ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন এই সেন্টার-ব্যাক।


থিয়াগো সিলভা   ব্রাজিল   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলি-গাভাস্কার ইস্যু: গাভাস্কারের পক্ষ নিলেন ওয়াসিম আকরাম

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের মন্তব্যের পর বিরাট কোহলিকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এছাড়াও সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে কোহলি ঠিক করেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

আকরাম বলেন, দুজনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। সানি ভাইকে (গাভাস্কার) ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। মানুষ হিসেবেও চিনি। মাঠের বাইরের মানুষটাকে জানি। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও চিনি। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। কোহলি এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়ও বলা যায়। পরিসংখ্যান দেখলে সর্বকালের অন্যতম সেরাও বটে। পারফরম্যান্স করেই পর্যায়ে এসেছে। তবু বলব, কোহলি এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।

গাভাস্কারের পাশে দাঁড়িয়ে আকরাম আরো বলেন, ধারাভাষ্যকাররা তাদের কাজ করেন। কোহলি যদি দুটো ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করে থাকে এবং সেটা নিয়ে গাভাস্কার যদি কিছু বলে- এটা মনে রাখার মতো কী ঘটনা? ভুলে যাওয়াই উচিত। কোহলি তো এমন ধরনের ছেলে নয়। দুজনেই ভারতের গর্ব। দুজনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। মতবিরোধ হতেই পারে। মনে হয় না এই সমস্যাটা আরো বাড়বে। আশা করব কেউই এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবে না এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দুজনকেই চিনি আমি। তাই ভরসা আছে।

এদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ২৫টি বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি।

কোহলির এমন মন্থর ব্যাটিং দেখে গাভাস্কার বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে রয়েছে। সঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর আর একটাও চার মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮ মতো! দল ওর থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।

এর আগে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে কোহলি বলেন, আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।

তারপর গাভাস্কার আবার বলেছিলেন, কেউ ১১৮ স্ট্রাইট রেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়। সে আবার বলেছে, বাইরের কারো কথায় কান দেয় না। কারো কথায় পাত্তা দেয় না। ভাল। তাহলে সে বাইরের কথার উত্তর কেন দিচ্ছে? যাই বলা হোক না কেন। হয়তো ওর মতো প্রচুর না হলেও আমরা সকলেই অল্প কিছু ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। যা দেখি সেটাই বলি আমরা। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি আমরা।


বিরাট কোহলি   গাভাস্কার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে ফিরছেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য

প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচ ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে এবার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য স্বাগতিকরা দল ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার এক বিবৃতিতে টাইগারদের স্কোয়াডে এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিসিবি। এর আগে আইপিএল থেকে ফিরে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম, ডিপিএল খেলতে প্রথম তিনটিতে সাকিবকে ছুটি এবং চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা তিনজনই ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। তিন ক্রিকেটার দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শরিফুল ইসলাম। এর মধ্যে শরিফুলকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। বাকি দুই ক্রিকেটার স্কোয়াডে থাকলেও, এই সিরিজের কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি।

শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   সৌম্য সরকার   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হার্ড হিটে ভাঙলেন দর্শকের ফোন, পরে যা উপহার দিলেন মিচেল

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অন্যান্যবারের মতো এবারও আইপিএল শুরু হয়েছিল বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে। তবে এবারের আইপিএল যেন ব্যাটারদের জন্য একটু বেশিই কার্যকর হিসেবে গণ্য হয়েছে। কারণ এবারের আসরে প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে যেন ঝরছে রানের ফুলঝুড়ি।

আর এমন পরিস্থিতিতে চার-ছক্কার কারণে আইপিএলে বলের আঘাতে দর্শকদের আহত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার ম্যাচ শুরুর আগেই আহত হলেন এক দর্শক। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ড্যারিল মিচেলের শটে ভাঙে তার আইফোনও। এর বদলে সেই দর্শককে নিজের গ্লাভস উপহার দেন মিচেল।

ঘটনাটি ঘটে ধর্মশালার স্টেডিয়ামে। চেন্নাই বনাম পাঞ্জাব ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যাট করছিলেন মিচেল। পুল মারার অনুশীলন করছিলেন তিনি। বাউন্ডারির কাছেই ছিলেন মিচেল। হঠাৎ তার একটি শট গিয়ে লাগে এক দর্শকের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধরে বসে পড়েন ওই যুবক।

বোঝা যায়, হাতে ভালই লেগেছে তার। পরে দেখা যায়, যুবকের হাতে থাকা আইফোনটিও ভেঙে গেছে। তার মারা শটে যুবক আহত হয়েছেন দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান মিচেল। তিনি খোঁজ নেন আঘাত গুরুতর কি না।

পরে সেই যুবককে নিজের এক জোড়া গ্লাভস উপহার দেন মিচেল। গ্লাভসে সইও করে দেন তিনি। চেন্নাই ক্রিকেটারের সেই উপহার নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায় সেই যুবককে।

চলতি আইপিএলে প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে চেন্নাই। পাঞ্জাবকে হারানোর পরে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তারা। অন্যদিকে পাঞ্জাব বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে তারা।


মিচেল   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন