ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশেও নিরাপত্তা দেবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের সরকার দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। আমাদের নেতাকর্মীদেরও কর্তব্য আছে। ১০ ডিসেম্বর কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে আমাদের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবে। সরকার সারাদেশে তাদের সমাবেশে নিরাপত্তা দিয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও দেবে।’ 

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বিএনপির ঢাকার সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের সাথে আলোচনাকালে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল, বরাদ্দও হয়েছে। কিন্তু তারা এখন রাস্তার বদলে রাস্তায় চেয়ে বেড়াচ্ছে। যে ময়দান থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, যে ময়দানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পন করেছিল, যেখানে তারাও অতীতে অনেক জনসভা করেছে, আমরা তো নিয়মিতভাবেই করি, সেখানে তাদের যেতে এতো অস্বীকৃতি, অনীহা কেন। তারা শুধু রাস্তায় জনসভা করতে চায়, গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করতে চায়, জনজীবনে বিপত্তি ঘটাতে চায়।’ 

ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিকরা এবং শহরের সাধারণ নাগরিকরা রাস্তায় জনসভার বিরুদ্ধে। কারণ এতে মানুষের ভোগান্তি হয়। সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প হিসেবে বিএনপি আরেকটা মাঠের কথা বলতে পারে। সোহরাওয়ার্দীতে না চাইলে তারা বাণিজ্য মেলার মাঠ বা আরো বড় বিশ্ব ইজতেমার মাঠ যেখানে ২০ লাখ মানুষ ধরে, না হলে কামরাঙ্গির চরের মাঠেও যেতে পারে। তারা সেটা বলে না, বলে এই রাস্তা না হয় ঐ রাস্তা। মতিঝিলের রাস্তা যেখানে অনেক ব্যাংক, বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেটি কেন তাদের এতো পছন্দ। এটির পেছনেও গভীর ষড়যন্ত্র, দুরভিসন্ধি আছে। প্রকৃতপক্ষে তারা কোনো জনসভা করতে চায় না, এটিকে ইস্যু বানাতে চায় এবং দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টায় তারা আছে।’ 

বিএনপি নেতা ইশরাক এবং রুহুল কবীর রিজভীর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসীরা তো বিএনপির নেতাকর্মী। আগুনসন্ত্রাস করার জন্য বিএনপির নেতারাই নির্দেশ এবং অর্থ দিয়েছিল। সেসবের অডিও রেকর্ডও আমাদের কাছে আছে। বিএনপি নেতাদের হাতে আগুন এবং মানুষের রক্ত লেগে আছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে, এখন পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টেলিভিশনে যারা বড় গলায় কথা বলছে তাদের হাতে মানুষের রক্ত এবং আগুন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে এবং যাদের জামিন আদালত বাতিল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তবে জনগণ মনে করে শুধু আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই নয়, আগুনসন্ত্রাসের হোতাদের অর্থাৎ তাদেরকে যারা নির্দেশ দিয়েছে, পরিচালনা করেছে এবং অর্থ দিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’ 

বিএনপি নেতারা ঘনঘন কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করছেন এমন প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘এ দেশের মালিক জনগণ। এ দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে। এখানে কূটনীতিকদের বেশি কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি ক্ষণে ক্ষণে কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যায়। তাদেরকে কোলে করে কেউ ক্ষমতায় বসাবে না। এ দেশে কূটনীতিকরা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং কূটনীতিকদের কাছে বারবার ছুটে গিয়ে বরং তারা নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করছে। বিদেশি কূটনীতিকরা যখন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলে, আমি মনে করি তখন সেটি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে অনেক সময় হস্তক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায় যেটি সমীচীন নয়। এজন্য কোনো রাজনীতিবিদের বা কোনো রাজনৈতিক দলের কূটনীতিকদের প্রোভোক করা উচিত নয়।’ 

কপ-২৭ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি : ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাথে মতবিনিময়

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাথে কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ উল হক, সদস্য সাজু রহমান, হাবিব রহমান প্রমুখ সভায় অংশ নেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

পরিবেশবিদ ড. হাছান এ সময় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা বৈশ্বিক ঐক্যমত তৈরি করার লক্ষ্যেই কপ সম্মেলনগুলো হয়। পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি আমাদের বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত প্যারিস এগ্রিমেন্টের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে এটিকে স্বীকার করে নেওয়া হলেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না। মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় একশ’ রাষ্ট্রপ্রধান-সরকার প্রধানরা গিয়েছিলেন এবং এবারের অন্যতম অগ্রগতি হলো যে, বিশ্ব সম্প্রদায় ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছে। 

মন্ত্রী জানান, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সোলার, গ্রিনপাওয়ার, জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসবের জন্য একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এটি খুব ভালো দিক। ভাবনার বিষয় এতোকিছুর পরও বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৮০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এখন ১.১ ডিগ্রি বেড়েছে। আর তাতেই সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায় দাবানল, পাকিস্তানে যারা পানির সাথে খুব বেশি পরিচিত নয়, সেখানে বন্যা দেখা যাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মহাখালী সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

নিয়ন্ত্রণে এসেছে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন। সোমবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায়।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকাল ৬টা ৪৭ মিনিটে মহাখালী সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট সেখানে যায়। তারা ইতোমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও বীর নিবাস অতীতের অন্য কোনো সরকার করেনি: বীর বাহাদুর উশৈসিং

প্রকাশ: ১২:১৩ এএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মানী ভাতা আর বীর নিবাস তৈরি করে দিচ্ছে তা অন্য কোনো দলের সরকার এর আগে করেনি।’

রোববার (২ মার্চ) বান্দরবান জেলা প্রশাসকের বাসভবন প্রাঙ্গণে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন।

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। তিনি আছেন বলেই আজ বাংলাদেশ এত সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের সার্বিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে।’

মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভাবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে পাশাপাশি তাদের বসবাসের উপযোগী বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তাই আমাদের সকলকে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেননা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শত্রুরা এখনো দেশে নানা ধরনের অরাজকতা করছে আর এতে দেশের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং অনেক উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ হয়ে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

বীর বাহাদুর আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে সকল শহিদ তাদের প্রাণ দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যারা অবদান রেখেছেন সেসকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মন্ত্রী আগামির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

পরে বান্দরবান জেলার ৫৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানী ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


পার্বত্য চট্টগ্রাম   মন্ত্রণালয়   মন্ত্রী   বীর বাহাদুর উশৈসিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করল জিএলটিএস।

‘সবুজ যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি, একসাথে জলবায়ু পরিবর্তন রুখি’- এই স্লোগান নিয়ে ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। 

রোববার (২৬ মার্চ ) স্বাধীনতা দিবসে ২৬ মিনিটের ‘সবুজ মানব প্রাচীর’ তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ডের এ আয়োজনটি ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ হতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় সবুজে যুদ্ধ, সবুজে মুক্তি স্লোগানে মুখরিত হয় মানিক মিয়া এভিনিউ।

ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের নির্বাহী কো-অর্ডিনেটর ও পরিবেশ কর্মী শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে স্কাউটের জাতীয় উপ কমিশনার (স্বাস্থ্য) জামাল উদ্দীন শিকদার, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ডেইভ ডাউলন্ড। বক্তব্য রাখেন জিএলটিএসের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আলম জন, জিএলটিএসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং গার্ডিয়ান অফ দ্যা আর্থের উদ্যোগতা রাওমান স্মিতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জিএলটিএস এর সহ-সংগঠন গ্রীণ ইউনাইটেড ন্যাশনের কো-ফাউন্ডার মো. মাহির দাইয়ান।

 শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন মহাবিশ্বে মহা সমস্যা এবং বিপর্যয় হয়ে দাড়িয়েছে। সময় এখন সবুজ রক্ষায় যুদ্ধে নামার। ২৬ মিনিটের এ মানববন্ধন সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে। বাংলাদেশকে আবারো চিনবে বিশ্ব। ডেইভ ডাউলন্ড অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করেন এবং বিশ্বকে সবুজ বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

আহসানুল আলম জন বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমেই সংহতি তৈরি হবে পরিবেশ বাঁচানোর জন্য। বাংলাদেশের নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য ১ কোটি গাছ লাগানোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাওমান স্মিতা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ শিক্ষা মূলক ক্যাম্পেই শুরু করবেন বলেও জানান।

 প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি পরিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে একত্রিত করার লক্ষ্য ‘গার্ডিয়ান অফ দ্য আর্থ’ নামক ২০৩০ সাল অবধি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতকরণের জন্য উদ্যেগ নিয়েছে। বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে বিশ্বের শিক্ষার্থী ও বহু পেশাজীবিদের নিয়ে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অগ্রসর হচ্ছে জিএলটিএস। এরই ধারাবহিকতায় স্বাধীনতা দিবসে রোববার ৫টি মহাদেশের ১০টি দেশ (ভারত, নেপাল, মেক্সিকো, পাকিস্তান, মালয়, আইভরি কোস্ট, হাংগিরি, গাম্বিয়া, ক্যমেরুন, অস্ট্রেলিয়া) ও বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের ৯ জেলায় (ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট ও বরগুনা), সবুজ বিশ্ব গঠনের প্রতিশ্রুতি এবং সংহতি দেখানো হয়। বাংলাদেশ থেকে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ স্কাউট, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইপসা, আমরা সবাই ফাউন্ডেশন, সম্প্রতি ও সৌহার্দ, সিএসডাব্লিউপিডিসহ আরো অনেকে। আমেরিকা মহাদেশ থেকে আবনার প্লাটা, অস্ট্রেলিয়া থেকে ৯৮/০০ নিউ এক্ট, ইউরোপ থেকে মাইন্ডফুলেয়েন্সার, আফ্রিকা থেকে গার্লস রাইজিং মালাউই, সেইভ লাইফ গাম্বিয়া এবং এভিএসডি, এশিয়া থেকে লুম্বিনি ওয়ার্ল্ড পিস নেপাল, ইন্ডিয়া থেকে মাউন্ড গাইড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং পিস অফ পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেছে। 


বিশ্ব   সর্ববৃহৎ   সবুজ মানব প্রাচীর   জিএলটিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকা শিশু হাসপাতালের সামনে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা শিশু হাসপাতালে চোর সন্দেহে মো.মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন মিরপুর পল্লবী এলাকায় বসবাস করতেন। তার বাবার নাম ফজলুল হক। মামুন পেশায় চা বিক্রেতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন ব্যক্তি রোববার সাড়ে দুপুর ১২টার দিকে শিশু হাসপাতালের গেটের বাইরে থেকে মামুনকে ধরে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মিলে তাকে মারধর করে। এর কিছু সময় পরেই তার মৃত্যু হয়। মারধরের সময় শিশু হাসপাতালের আনসার সদস্য মোস্তাকিম ও কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এএসএম আল মামুন জানান, মামুন সকালে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মা ও স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। শেরেবাংলা নগর থানার শিশু হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করার সময় চোর সন্দেহে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা কাজ করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

শিশু হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবিজি বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মহান স্বাধীনতা দিবসে এবিজি বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় তিন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ। 

রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মায়েদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্টের পাশাপাশি শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। একই অনুষ্ঠানে চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দেয়া হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকে।

এ সময় ইমদাদুল হক মিলন বলেন, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিদেশ থেকে ফিরতে না পারায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পেরে আনন্দিত। এ ধরণের মহতি উদ্যোগে যুক্ত করায় বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এপেক্স বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।  তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্ৰুপের স্লোগান ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ যেখানে মানুষের কল্যাণ হবে দেশের কল্যাণ হবে সেখানে বসুন্ধরা গ্রুপ হাজির থাকবে এবং থাকে। আজকের অনুষ্ঠান যার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। 



সংবর্ধনা পাওয়া তিন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হলেন মাগুরার লাইলি বেগম, রাজবাড়ীর নুরজাহান বেগম ও কুষ্টিয়ার দুলজান নেছা। সম্মাননা পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তাদের। সম্মাননা ও শুভেচ্ছা উপহারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ ও এপেক্স বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় যুব ও নাগরিকত্ব পরিচালক এপে. মো. আনোয়ার হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপে. মো. আবদুল মতিন সিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের -বিজিএমইএ’র সভাপতি হলেন ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন- বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এপে. মো. আনিসুজ্জামান শাতিল, এপেক্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল সেক্রেটারি এপে. মোহাম্মদ আদিল হায়দার সেলিমসহ বিভিন্ন এপেক্স ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি এপে. এম সায়েম টিপু।

এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি  মো. আবদুল মতিন সিকদার তার বক্তব্যে বলেন, আজ বীর মায়েদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা সম্মানিত। আজকের এ আয়োজনে এবিজি বসুন্ধরার আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক সহযোগিতার কথা এপেক্স বাংলাদেশ আজীবন মনে রাখবে।

এবিজি বসুন্ধরা   বীরাঙ্গনা   বসুন্ধরা গ্রুপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন