ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা

প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীকরণকে পাল্টে দিয়েছে। পাল্টে দিয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতির প্রেক্ষাপট, হুমকির মুখে ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতি। তবে এ যুদ্ধের ফলে নতুন সব প্রযুক্তি তৈরির প্রবণতাও বেড়েছে। বিশেষ করে সামরিক প্রযুক্তি নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।

নতুন এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৩ ডিসেম্বর অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বি-২১ রাইডার নামের বোমারু বিমান উন্মোচন করেছে দেশটি। এ বিমান পারমাণবিক পেলোড বহন করতে সক্ষম ও পাইলট ছাড়াই উড়তে সক্ষম।

বিমানটির নির্মাতা কোম্পানি নর্থরপ গ্রুমম্যানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী তাদের কাছ থেকে কমপক্ষে ১০০টি বি-২১ বোমারু বিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে।

অন্যদিকে, ৯ ডিসেম্বর যৌথ উদ্যোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইতালি ও জাপান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এরই মধ্যে এ যুদ্ধবিমান নির্মাণের প্রথম পর্ব উদ্বোধন করেছেন।

তিন দেশের যৌথ এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, তীব্র গতি, উন্নত সেন্সর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে এমন একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করা, যাতে পাইলট যখন চরম চাপের মধ্যে থাকবে, তখন যাতে বিমানটি নিজে নিজেই কাজ করতে পারে।


প্রয়োজন হলে এ যুদ্ধবিমান পাইলটের ইনপুট ছাড়াই উড়ে যেতে পারবে। পাশাপাশি এটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেরও সক্ষমতা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আবার আপনি যদি সম্প্রতি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্মিত কোনো ভিডিও দেখেন, তবে আপনি নিজের অজান্তেই একটি অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন বলে মনে হবে।

এ যুদ্ধ সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির (ডার্পা) অত্যাধুনিক সব প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইন্টারনেট, লেজার, জিপিএস ও এমআরএনএ ভ্যাকসিনের মতো প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করছেন অনেকেই।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ যুদ্ধের ফলে যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষায় কাজে লাগে এমন নতুন নতুন প্রযুক্তির উৎপাদন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। কারণ এ যুদ্ধ শুধু রাশিয়া-ইউক্রেনকে নয়, আত্মরক্ষা নিয়ে সচেতন যেকোনো দেশকে তার প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে প্ররোচিত করেছে।

ডার্পা প্রধান ড. স্টেফানি টম্পকিনস বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিমূর্ত সব বিষয়কে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে তার প্রতিরক্ষা ব্যয় ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। জার্মানি তার নিজস্ব বাজেট এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নতুন এসব বাজেটের বেশিরভাগই ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে ব্যবহৃত হবে। অনেকে আবার এ অর্থ সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নকাজে লাগানোর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বাজেট দিয়ে নতুন সব বৈপ্লবিক প্রযুক্তি তৈরি করতে চান তারা।


ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ডার্পা যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে, তা ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্র কেমন হতে পারে তার একটি আভাস দেয়। ডার্পা প্রধান ড. টম্পকিন্স বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।

প্রত্যন্ত জায়গাগুলোয় সৈন্যদের কাছে পানি, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি পরিবহন করার পাশাপাশি কোল্ড স্টোরেজ ও লজিস্টিকস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডার্পা। এ কারণে তারা অত্যাধুনিক বায়োটেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রেই খাবার ও জ্বালানি থেকে শুরু করে ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে চায়।

ডার্পার এমন উদ্যোগ ও অন্যান্য সামরিক উদ্ভাবন বেসামরিক জীবনকে নতুন আকার দিতে পারে। যেমন বর্তমানে অনেক দেশই হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে, যেগুলোর গতিবেগ শব্দের গতিবেগের চেয়ে ৫ থেকে ২৫ গুণ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভেনাস অ্যারোস্পেস হাইপারসনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চগতি সম্পন্ন অত্যাধুনিক বিমান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের আশা, এ বিমান এক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে পারবে।

একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় দেশগুলো কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। যেসব সমস্যার সমাধান বর্তমানে প্রচলিত অত্যাধুনিক কম্পিউটার দ্বারা সম্ভব নয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে সেসব সমস্যা মুহূর্তের মধ্যে সমাধান করা যাবে।

ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) কোয়ান্টাম-ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম অলিভার বলেন, এখন পর্যন্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে যেসব গবেষণা হয়েছে, সেগুলোতে অর্থায়ন করেছে বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

তিনি আরও বলেন, কম্পিউটারের বৈপ্লবিক এ ধরন কর্মক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হতে পারে, তা এখনো নিরুপণ করা সম্ভব নয়। তবে ডার্পার ‘কোয়ান্টাম বেঞ্চমার্কিং’ প্রকল্পের মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রযুক্তি কতটা সফল হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্নায়ুযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের যতটা প্রসার ঘটেছিল, সে তুলনায় সাম্প্রতিক সময়গুলোতে তেমন প্রসার দেখা যায়নি। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এক্ষেত্রে আবারও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

ডার্পার সাবেক কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারী অ্যামি ক্রুস, যে কোনো দেশের জন্যই সামরিক বাজেটগুলো বেশ জটিল ও সমালোচনাপূর্ণ। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিন যা শুরু করেছেন তাতে প্রযুক্তিখাতে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটতেও পারে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন