ইনসাইড ইকোনমি

দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই: সায়েম সোবহান আনভীর

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

দেশের উন্নয়নে জুয়েলারি খাতের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, আমার কাজ ছিল জুয়েলারি খাত গুছিয়ে আনার, সেটা করেছি। এখন এই শিল্পকে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারা দেশের ৪০ হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই যে বড় বড় উন্নয়ন হচ্ছে, আরও উন্নয়ন পরিকল্পনা হচ্ছে, এগুলো একটা সময় আমার কাছে স্বপ্ন মনে হতো। কিন্তু আমার এখন অনেক সাহস হয়ে গেছে। আমি এখন বাংলাদেশে যে কোনো মেগা শিল্পকারখানা করার জন্য প্রস্তুত। কারণ আমার এই শক্তির যোগান দিচ্ছে সরকার। এই সরকার গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নে মিরাকল ঘটিয়েছে, যা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য রোলমডেল। আমি আজকে বাংলাদেশি হিসেবে গর্ব বোধ করি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত ‘বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা-২০২২’-এ সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করি। আমার অনুপ্রেরণা ইতিবাচকতা, উৎপাদনশীলতা ও অগ্রগতি। আর ভালো কাজে বাধা আসবে, এটাই স্বাভাবিক। ভালো কাজ করতে কষ্ট হবেই। এটার সুফল অনেক বড় এবং স্থায়ী। যে কোনো জিনিসই প্যারেন্ট থেকে শুরু ফ্ল্যাটলাইন থেকে শুরু। তো আমি মনে করি বাজুস আমি ফ্ল্যাটলাইন থেকে শুরু করেছি। আই উইল গো স্টেপ বাই স্টেপ নাও। একটা একটা করে ফ্লোর বানিয়ে যাবো। এটাই আমার অনুপ্রেরণা, এটাই আমার উৎসাহ, এটাই আমার চিন্তা, এটাই আমার ধারণা এবং আমি এটাই করব। এই কাজ করার জন্য যা যা করার দরকার, যে যে জায়গায় যাওয়া দরকার, আমি তাই করব। এই শিল্পকে শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়াতেই নিয়ে যাবো আমি। সবার কাছে বলবো বাংলাদেশে আসুন।

বাজুস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ, আপনি বাংলাদেশ। বিশ্ববাজারে আমরা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, এজন্য নিজেদের গর্ব বোধ করা উচিত। এখন সব জায়গায় কোনো কিছু কিনতে গেলে ‘মেড ইন চায়না’ দেখা যায়। এখন কিন্তু জায়গায় জায়গায় ‘মেড ইন বাংলাদেশও’ দেখা যায়। আর কিছু না হলেও বাংলাদেশি পোশাক পণ্য দেখা যায়। আমি চাই আগামী দিনে বাংলাদেশি জুয়েলারি খাতের নামও বিশ্বের বুকে থাকুক। এটা আমাদের সোনার বাংলাদেশ, সোনা দিয়েই গড়তে হবে। তামা দিয়ে হবে না। আমরা তামা-সিলভার না। আমরা সোনার বাংলাদেশ। আমার যে জুয়েলারি কারখানা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ১২ হাজার ভরি উৎপাদন করবো। প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করবে। আমি ৫ বছরের যে রোডম্যাপ করেছি, সেখানে প্রায় ৩০ হাজার ভরি পর্যন্ত গহনা তৈরি করবো। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক আমার কারখানায় কাজ করবেন। আমার মতো যদি আরও ১০টা উদ্যোক্তা আসেন, এই জুয়েলারি শিল্প বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করবে। ধীরে ধীরে এই শিল্প অন্য শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে।

সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, জাপানে কিন্তু কোনো কাঁচামাল নেই। আমরাও একই অবস্থানে। আমাদের কোনো কাঁচামাল নেই। তাহলে জাপান কী করছে। কাঁচামাল আমদানি করে রূপান্তরের পর উচ্চ মূল্যে তারা রপ্তানি করছে। এটাই ব্যবসার থিম। আমাদের একই থিম অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমার খুব কষ্ট লাগে, যখন আমি দেখি আমাদের দেশের লোকজন বিদেশ থেকে গহনা কেনে। কিন্তু দেখুন বাংলাদেশের কারিগর বিশ্বসেরা। বাংলাদেশে একটা ভালো ডিজাইন ইনস্টিটিউট নেই। ইনস্টিটিউট নিয়ে আমার অনেক বড় স্বপ্ন আছে। আমাদের চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে। আমার চিন্তায় আছে ডিজাইন স্টুডিও গড়ে তোলার। ভোকেশনাল সেন্টার নিয়েও ভাবছি। এগুলো যদি যুক্ত করে, সবকিছু যদি একটা ছাতার নিচে আনা যায়, তাহলে এই শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।

বাজুস সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মনোমুগ্ধকর বর্ণিল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও বাজুস অ্যাম্বাসেডর মমতাজ বেগম। তিনি বাজুসের থিম সং ‘নারী হয় অন্যন্যা রূপের অংহকারে/ সেই রূপ অপরূপ সোনার অলঙ্কারে’ শীর্ষক গানসহ একে একে তার জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। বাজুসের থিম সংটি লিখেছেন খ্যাতনামা গীতিকার কবির বকুল। সুর করেছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোর দাস।

অনুষ্ঠানে রাজধানী ঢাকার সকল বাজুস সদস্যসহ সারা দেশের জেলা শাখা সমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা শাখার সভাপতিসহ প্রায় দেড় হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ী অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

এর আগে দুপুরে সারা দেশের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা বাজুস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বাসভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভা অংশ নেন। ওই সভায় সাংগঠনিক দিক-নিদের্শনামূলক বক্তব্য দেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।

এছাড়াও আইসিসিবিতে বিকেলে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে জাতীয় প্রতিনিধি সভা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ী নেতাদের কাছে বিভিন্ন কর্ম-পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কর্ম-পরিধি তুলে ধরেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় ও এনামুল হক খান দোলন, সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, এম এ হান্নান আজাদ, বাদল চন্দ্র রায়, ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল প্রমুখ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও গতি ফিরতে শুরু করেছে অর্থনীতিতে

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কারফিউর কারণে বন্ধ থাকা শিল্পকারখানা চালু হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য এখনো আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। দিনের বেলায় - ঘণ্টা ছাড়া অন্য সময় কারফিউ বলবৎ থাকার পাশাপাশি সীমিত ইন্টারনেট ব্যাংকিং কার্যক্রমের কারণে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পর গত দুই দিন (বুধ বৃহস্পতিবার) চার ঘণ্টা করে সীমিতসংখ্যক শাখা খোলা ছিল। সময় টাকা তুলতে গ্রাহকদের চাপ ছিল। যদিও টাকা জমা দেওয়া তোলা ছাড়া ব্যাংকে অন্য কার্যক্রম তেমন একটা ছিল না। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমদানি পণ্য খালাসে চাপ বেড়েছে। এতে বন্দরের ভেতরে সারাক্ষণই গাড়ির জট লেগে থাকছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৫ জুলাই শুরু হওয়া সহিংসতা পরে আরও বাড়ে। ১৮ জুলাই রাতে ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পর আমদানি রপ্তানিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এরপর ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করা হলে অধিকাংশ শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) থেকে চট্টগ্রামের শিল্পকারখানা খোলার অনুমতি দেয় সরকার। আর বুধবার ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ বিভিন্ন এলাকার শিল্পকারখানায় উৎপাদন শুরু হয়। অধিকাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দেন।

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক জুতা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর প্লাস্টিক পণ্য, ইস্পাত, সিমেন্ট ভোগ্যপণ্য খাতের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন, কারখানার উৎপাদন শুরু হলেও আমদানি হওয়া কাঁচামাল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পণ্য পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মিলছে না; সে কারণে ভাড়াও বেশি। সীমিত ইন্টারনেটের কারণে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্রয়াদেশ নিতে সমস্যায় পড়ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রমের কারণে অর্থ লেনদেনেও সমস্যা হচ্ছে।

সীমিত ইন্টারনেটের কারণে ক্রয়াদেশ নিতে পারছেন না কর্মীরা। আবার ইন্টারনেট না থাকায় উপজেলা পর্যায়ের অনেক ব্যাংক সেবা দিতে পারছে না। ফলে অর্থ লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাঁচামালের চালান স্থগিত করছে বা পিছিয়ে দিচ্ছে।


অর্থনীতি   শিল্প   কল-কারখানা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে যেন এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। টানা কয়েকদিনের সহিংসতার ঘটনায় টানা পাঁচ দিন বন্ধ ছিল ব্যাংক। এই সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও অর্থ সংকটের কারণে বেশিরভাগ গ্রাহক এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেনি। ফলে ব্যাংক খোলার পর পরই নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে এক দিনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে এক হাজার ৪৮১ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাকি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ত্রিমুখী সংঘাত সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরোপুরি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত শনিবার রাতে দেশে কারফিউ জারি করে রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কারফিউ ও সাধারণ ছুটির জন্য ব্যাংক তিনদিন বন্ধ ছিল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সবশেষ ব্যাংকিং কার্যক্রম চলার পর শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটি ছিল। সপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটিসহ সব মিলিয়ে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার ব্যাংক খুলেছে।

ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, টানা ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার বেশি লাগছে। ফলে ব্যাংকগুলোর নগদ টাকার প্রয়োজন বেশি হচ্ছে। ধার নেওয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করছে। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটাচ্ছে।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড রেপো আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং এক দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদি ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবারে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাতদিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ছিল ৮.৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ছিল ৮.৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদি টাকা ধারের সুদহার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ। ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। ২৮ দিন মেয়াদি ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ছিল ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ।


বাংলাদেশ ব্যাংক   কেন্দ্রীয় ব্যাংক   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা তোলার হিড়িক

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় টানা পাঁচ দিন সারাদেশে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে বুধবার সরকারি-বেসরকারি অফিস চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে খুলেছে দেশের ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এদিন সকাল থেকেই ব্যাংকগুলোর শাখায় শাখায় গ্রাহকরা ভিড় করেছেন। ব্যাংকগুলোতে সেবা গ্রহীতাদের অধিকাংশ গ্রাহকই গেছেন টাকা উত্তোলন করতে।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল দিলকুশা এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোবাইল ফিন্যান্স কোম্পানি এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকরা টাকাউত্তোলন করতে পারেনি। এতে করে নগদ টাকায় টান পড়েছে গ্রাহকের। এর ফলে এদিন অধিকাংশ গ্রাহকই ব্যাংকে গেছেন টাকা উত্তোলন করতে।


ব্যাংক   গ্রাহক   টাকা   তোলা   হিড়িক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪ ঘন্টা করে খোলা থাকবে ব্যাংক

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী দুই দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সময়সূচিতেই ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আগামীকাল (বুধবার) থেকে নির্ধারিত শাখার মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে। এ সময়সূচি হবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, নির্ধারিত শাখা নির্ধারণ করবে স্ব স্ব ব্যাংক। যেহেতু নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে, তাই ব্যাংকগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কোন এলাকায় কোন শাখা খোলা রাখবে।

এর আগে বুধবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়।



ব্যাংক   বাংলাদেশ ব্যাংক   সময়সূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে গত মে মাসে বেড়েছে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। দেশটিতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে ১০ কোটি টাকার বেশি।

দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ দেশের ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৪টি ব্যাংক ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটিতে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডধারীরা খরচ করেন ৬৬ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ কোটি টাকায়।

তবে, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ বাড়লেও সার্বিকভাবে দেশের বাইরে কার্ড ব্যবহার আগের চেয়ে কমেছে। মে মাসে সব মিলিয়ে দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৪৫৬ কোটি টাকা, যা এপ্রিলে ছিল ৫০৭ কোটি টাকা।

মূলত প্রতিবেশী ভারত থেকে শুরু করে সৌদি আরব, থাইল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) খরচ কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে মে মাসে বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সৌদি আরব ভারতে। সৌদি আরবে এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে ২৪ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ। ওই মাসে সৌদি আরবে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ৩৭ কোটি টাকা, যা মে মাসে কমে ১৩ কোটি টাকায় নেমে আসে। একই সময়ে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ২২ কোটি টাকা বা সাড়ে ২২ শতাংশ। এপ্রিলে ভারতে যেখানে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ৯৮ কোটি টাকা, সেখানে মে মাসে তা কমে হয় ৭৬ কোটি টাকা।

এছাড়া থাইল্যান্ডে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে কোটি টাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) কোটি টাকা মালয়েশিয়ায় দুই কোটি টাকা কম খরচ করেন দেশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা।

এনিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে কিছু দেশে বাংলাদেশিরা কম ভ্রমণ করেছেন। কারণে সেসব দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে।

বিদেশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে দেশের অভ্যন্তরেও। গত এপ্রিলে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে দেশের নাগরিকরা খরচ করেন ২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা আর মে মাসে এ খরচ ৪১ কোটি টাকা কমে দাড়িয়েছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরে মোটাদাগে ১১টি খাতে ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহৃত হয়। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খুচরা কেনাকাটা, বিভিন্ন পরিষেবার

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এপ্রিলে দেশে ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে উৎসবকেন্দ্রিক পোশাক-আশাক কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়েছিল। ফলে মে মাসে আর জন্য বাড়তি খরচ হয়নি। সে জন্য খাতে খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে।


ক্রেডিট কার্ড   যুক্তরাষ্ট   ব্যবহার   বাংলাদেশি   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন