ইনসাইড পলিটিক্স

মুচলেকা দিয়ে গোলাপবাগে সভা করা নাকি বিএনপির বিজয়: আমু

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপির গাত্রদাহ নিবারণ করার জন্য আজ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, ১৪ দল থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সজাগ, সচেতন। তারা বলেছিল ১০ তারিখে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হবে, খালেদা জিয়া দেশ শাসন করবে। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, আজ তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা আজ বলছে, তাদের নাকি ১০ তারিখ জয় হয়েছে। তারা সরকারের সঙ্গে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মুচলেকা দিয়ে গোলাপবাগে সভা করেছে এটাই নাকি তাদের জন্য বিজয়। এই বিজয় নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। আমরাও চাই তারা সন্তুষ্ট থেকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখুক।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল ছিল। আজ নির্বাচনের মাধ্যমে সেই ক্ষমতার পালাবদল সৃষ্টি হয়েছে। আজ তাদের (বিএনপির) সেটা সহ্য হয় না। তারা আন্দোলন করার জন্য ডিসেম্বরকে বেছে নিয়েছে। ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। এই বিজয়ের উৎসব থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য, মানুষকে বিপথগামী করার জন্য, বিজয়ের মাসে ষড়যন্ত্র করছে। এই ডিসেম্বর মাসে তারা বিভিন্ন রকম তারিখ দিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আমির হোসেন আমু বলেন, তারা নাকি সংবিধান কমিশন গঠন করেছে সংবিধান সংশোধনের জন্য। গাত্রদাহ কোথায়? গাত্রদাহ এই সংবিধান। জাতীয় চার মূলনীতি— গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ যেটা জিয়াউর রহমান ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আজ সেটা পুনঃস্থাপিত হয়েছে। এটা তাদের গাত্রদাহ। আজ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক হ্যারিটেজ হিসেবে ইউনেস্কো অন্তর্ভুক্ত করেছে। সে কারণে তাদের গাত্রদাহ। তাই সংবিধান নিয়ে আজ তারা কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, আজ এ দেশে স্বাধীনতাকামী মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মানুষ, গণতান্ত্রিক মানুষ, প্রগতিশীল মানুষ, অসাম্প্রদায়িক মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। এখানে ফাটল ধরাবার কোনো সুযোগ নেই। সেই ঐক্যবদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৪ দল এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরীক সাম্যবাদীর দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণতন্ত্র পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, তরিকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি প্রমুখ।

বিএনপি   গোলাপবাগ মাঠ   আমির হোসেন আমু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক রহমান দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে: নানক

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নইলে সে কিভাবে এতো টাকা পায়। তার এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। শনিবার ( ৮ জুন) বিকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। তৎকালীন সময় আমরা বলেছিলাম আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হবে না।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ হঠাৎ করে আলাদিনের চেরাগের মতো ক্ষমতায় আসেনি। অনেক আন্দোলন আর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। আজকে দলের অনেক নেতারা দুঃসময় দেখেনি। তাদের কে বলবো- সবাইকে দলের ইতিহাস জানতে হবে। দলের লক্ষ্য দর্শন জানতে হবে। কোনো নির্ধারিত ভাইয়ের নামে স্লোগান দিয়ে দলের ক্ষতি করা যাবে না।

পাট বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি বক্তব্যে অনুসরণ করতে হবে। তার বক্তব্যে যে সকল নির্দেশনা রয়েছে-তা দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মেনে চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ রাখা যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। নির্বাচন হয়ে গেছে। জনগণ ভোট দিয়েছে। জনগণের রায়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু এমপি, ঝর্ণা হাসান এমপি, সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানার্জি, ফারুক হোসেন, মাসুদুল হক, পৌর মেয়র অমিতাভ বোসসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি এখন নতুন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সংগঠন গোছানোর জন্য মনোযোগী হচ্ছে। আর এই মনোযোগের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে স্থায়ী কমিটি। বিএনপির তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, স্থায়ী কমিটি যদি অকার্যকর হয়, তাহলে কোন আন্দোলনই গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ এখন খালি আছে। আর স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নেতা অসুস্থ। ফলে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই কমিটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। দলের হাতে গোনা ৩-৪ জন নেতা ছাড়া কেউই কার্যকর নয়। এই অবস্থায় স্থায়ী কমিটিকে আরও সক্রিয় এবং সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত দুদিন ধরে লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ধারাবাহিকভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এই বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হল স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ। বৃহষ্পতিবার এবং শুক্রবার তিনি দলের সাধারণ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন। আর এই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে কাদেরকে আনা যায় এ ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়া তার নিজস্ব মতামত দেননি, তিনি শুধুমাত্র তাদের অভিমত জানতে চেয়েছেন।তবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, স্থায়ী কমিটিতে নতুন কাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায়, এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তারেক জিয়ার হাতেই ন্যস্ত করেছেন।

তবে কোন কোন বিষয়গুলো স্থায়ী কমিটির সদস্যপদের জন্য বিবেচনা করা উচিত, এ ব্যাপারে তারা তাদের মতামত দিয়েছেন বলেও জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দলে যারা সক্রিয়, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যাদেরকে পাওয়া যায়, তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে আনাটা প্রয়োজন। এর ফলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং যারা ডিগবাজি খাবে না, আদর্শের প্রতি অটল- তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অন্যদিকে মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে সমস্ত নেতারা গত ১৭ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদেরকে সামনে আনাটা জরুরি। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য কারা হতে পারেন এ ব্যাপারে কোন নাম, বিএনপির কোন নেতাই বলেননি।

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো যদি পূরণ করা হয়, তাহলে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি আছেন যারা স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন।

দলের সাধারণ কর্মীদের পছন্দ রুহুল কবির রিজভী। তিনি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভিতরে তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কিন্তু তিনি তারেক জিয়ার পছন্দের ব্যক্তি নন বলেই সকলে জানে। আর এ কারণেই স্থায়ী কমিটিতে তার ঢোকাটা নিশ্চিত নয়।

কোন কোন মহল মনে করছেন যে, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো লড়াকু নেতৃবৃন্দদেরকে স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে আসা দরকার। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, স্থায়ী কমিটিতে আনতে গেলে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দরকার।

সবকিছু মিলিয়ে স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন, না আসবেন তা নির্ভর করছে তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের উপর। খুব শীঘ্রই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হতে পারে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


বিএনপি   স্থায়ী কমিটি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল   মির্জা আব্বাস   গয়েশ্বর রায়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রতিহত করল তৃণমূল

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়েছে। চার ধাপে অনুষ্ঠিত এই উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে এই উপজেলা নির্বাচনে এক নীরব যুদ্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল জয়যুক্ত হয়েছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

এবার উপজেলা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, দলীয় প্রতীক নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে না। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল যে, উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করা এবং দলের ভিতর যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তাকে সামাল দেওয়া। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন্দল হানাহানি আরও বেড়েছে। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার কারণে উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে চর দখলের মতো এলাকা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয় মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে। এ সময় আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেয়, যারা মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন রয়েছেন, তারা যেন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিকবার এই বক্তব্য দিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার কথা কেউ শোনেনি।

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় কর্তৃত্ব অব্যাহত রাখার জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং মাই ম্যানদেরকে প্রার্থী করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, উপজেলা নির্বাচনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ধরাশায়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার জন্য বার বার বললেও নিজের স্বজনকেই তিনি আটকে রাখতে পারেননি।

এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাত ও মামাতো ভাই উভয়ে পরাজিত হয়েছিল। আব্দুর রাজ্জাকের খালাত ভাই এবং মামাতো ভাই যেন প্রার্থী না হন, সে জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ড. রাজ্জাক তৃণমূলের দাবির প্রতি সম্মান না দেখিয়ে তার নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখার জন্য খালাত এবং মামাতো ভাইকে প্রার্থী করেন। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল আওয়ামী লীগ তাকে প্রতিহত করেছেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই এ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল। আ হ ম মুস্তফা কামাল তার একজন মাই ম্যানকে প্রার্থী করেছিলেন অন্য একটি উপজেলায়। তারা দুজনেই পরাজিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাচনে। তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে লড়াই করে।

সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। শাজাহান খানের ছেলেও উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হন। ছেলে শেষ পর্যন্ত পাশ করলেও শাজাহান খানের ভাই পাভেলুর রহমান পাশ করতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় সংসদ এর ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই ও ভাতিজাকেও প্রার্থী করা হয়েছিল। এলাকার দখল নিরঙ্কুশ করার জন্যই ডেপুটি স্পিকার তার নিজস্ব ব্যক্তিকে প্রার্থী দিয়েছিলেন দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই। কিন্তু এরা দুজনেই তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের মতামতের বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল তাকে প্রতিহত করেছে। ওই উপজেলা নির্বাচনে জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে।

হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের ভাই উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। পরাজিত হয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাদিকের ভাগ্নে। বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম জিন্নার শালা উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাইকেও প্রার্থী করা হয়েছিল এবং তৃণমূল এই প্রার্থীতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপুর চাচাতো ভাই উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে হেরে যান।

লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি, সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জিততে পারেননি তৃণমূলের প্রতিরোধের মুখে। একই অবস্থা হয়েছে, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মোহাম্মদ আবু জাহির এর সম্বন্ধীর।  হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর ভাই এবং মৌলভীবাজার-১ আসনের এমপি শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নের। উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূলের এই প্রতিরোধ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   হাইব্রিড নেতা   স্বতন্ত্র প্রার্থী   মন্ত্রী   এমপি   মাই ম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়বো’

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর—‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটি নানা 'চড়াই-উতরাই' পাড়ি দিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে আজ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার নেতৃত্বে রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ার প্রত্যয় নিয়ে টানা চতুর্থবারের সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। এর পেছনে রয়েছে দলের অসংখ্যক নেতাকর্মীরা আত্মত্যাগ। দীর্ঘ ৭৫ বছরের যাত্রা নিয়ে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মতামত ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা ইনসাইডার। আজ আমরা জানব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেড়ে ওঠা এবং তার অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি নিঃসন্দেহে গৌরব, আনন্দ এবং গর্বের বিষয় আমাদের জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলা এবং বাংলাদেশের কথা বলেছে। অধিকারের কথা বলেছে। অসাম্প্রদায়িতকতার কথা বলেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলা তথা বাঙালির সকল অর্জনের পিছনে এই আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর সম্পৃক্ততা। নিঃসন্দেহে সেখানে আমরা গর্ববোধ করছি। এই আওয়ামী লীগ আগামী দিনে আরও ভালো কিছু করবে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এই বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে, এই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তার নিজের অধিকার পাবে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং বাসস্থানের সকল সুযোগ মানুষ পাবেন এমনই একটি চিন্তা-ধারায় বঙ্গবন্ধু এই দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশকে স্বাধীন করেছেন। নিজের জীবনের সব আরামটুকু তিনি হারাম করে কারাবরণ করেছেন, পরিবারের থেকে দূরে থেকেছেন, সন্তানদেরকে, পরিবারকে তিনি আদর- স্নেহ থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি দলকে ভালোবেসেন, দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন। সেই দেশ, সেই দলের আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করছেন। এদেশের মানুষের অধিকার তিনি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল অর্থাৎ বাংলার স্বাধীনতার মূল চার স্তম্ভকে ধ্বংস করা হয়েছিল, এই বাংলাদেশ আবার পিছনের দিকে চলে গিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গি এবং এদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল। এই জায়গায় ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি আবার এই দেশের মানুুষের আকাঙ্খিত স্বাধীনতার মূল্য বোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন, এই দেশের গণতন্ত্রকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তিনি বাস্তবায়ন করছেন। এদেশের প্রতিটি নাগরিককে তার ন্যায্য অধিকার তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই বঙ্গবন্ধুর সংগঠন আওয়ামী লীগ আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করছেন। আমরা আশা করবো বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এই আওয়মী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে এবং যে চিন্তায় এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, যে চিন্তায় বঙ্গবন্ধু এ দলকে অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে গড়ে তুলেছেন, এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্য মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবায়ন করেছিলেন, সেই ধারা অব্যাহত রেখে শেখ হাসিনা এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন এবং এ বাংলার মানুষের প্রিয় সংগঠন এই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য, আওয়ামী লীগের আদর্শ, আওয়ামী লীগের সুনাম তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে। 

আমরা এই প্রজন্মের যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কথা আমরা বই পুস্তকে পরেছি, নেতৃবৃন্দের কাছে শুনেছি। সে প্রজন্মের মানুষ যারা আমরা এই সংগঠনকে ভালোবাসি, নিজের জীবনের চেয়েও এই সংগঠনকে আমরা ভালোবাসি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে নির্দেশ, যে দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পিত হবে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ব। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের চলমান এই আওয়ামী লীগ আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের চলমান আওয়ামী লীগ। আমরা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, উদ্দেশ, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অসাম্প্রদায়িক, সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরী করবো। এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের এটাই একটি স্বপ্ন, উদ্দেশ্য এবং আকাঙ্খা। আমরা এই সংগঠনের ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে আমরা এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শকে সামনে নিয়ে আমরা চলবো বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এটাই একটি আকাঙ্খা, বাসনা, উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য।


বঙ্গবন্ধুর আদর্শ   প্লাটিনাম জয়ন্তী   বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগামীকাল বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

রোববার ( জুন) বিকেল ৩টায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, আগামীকাল (৯ জুন) দুপুর ৩টায় গুলশান চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির নেতারা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের অফিস সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটের বরাদ্দের খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে বক্তব্য তুলে ধরবে বিএনপি। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দলের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পেপার ওয়ার্কের কাজ শেষ করেছেন।


বাজেট   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন