নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বেগম জিয়ার জেলে যাওয়ার পর রাজনীতিতে এখন প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিএনপি ভাঙ্গবে কবে? বেগম জিয়া কারাগারে যাবার এক ঘণ্টার মধ্যে বিএনপিতে প্রকাশ্য মত বিরোধ দেখা দিয়েছে। কোনো নেতৃত্ব না থাকায় যে যা খুশি তাই বলছেন। বিএনপির নেতারা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন এবং বক্তব্য দিচ্ছেন।
রায় ঘোষণার পরপরই কারও সঙ্গে পরামর্শ না করেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করলেন। এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন আদালতে। রায়ের পর পর মির্জা ফখরুল ব্যারিস্টার মওদুদ কে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যান। এসময় তিনি বলেন, আমি সংবাদ সম্মেলন করব। তখন বিএনপির আরেক নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘রিজভী ভাই তো সংবাদ সম্মেলন করে ফেলেছে।’ এতে মওদুদ আহমেদ অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব আবার সংবাদ সম্মেলন করেন। মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনের আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বেগম জিয়ার অবর্তমানে তারেক জিয়াই বিএনপির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য নজরুল ইসলাম খানের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন। স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘নজরুল কে একথা বলতে বলেছে? এরকম কোনো সিদ্ধান্ত স্থায়ী কমিটিতে হয়নি। গঠনতন্ত্রে কোথায় আছে এটা?’
বেগম জিয়ার রায় এবং গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এভাবেই কার্যত: বিভক্ত হয়ে পরেছে দলটি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, লন্ডন থেকে বিএনপি পরিচালনা তারেক জিয়ার জন্য অসম্ভব একটা কাজ। এভাবে দল পরিচালনা করা যায়না। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যেই বিএনপিতে নেতৃত্বের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ পাবে। কেউ কাউকে মানবে না। অবিশ্বাস, মতদ্বৈততা আর কোন্দলে খুব শিগগিরই হয়তো দলটি বিভক্তির পথে হাটবে।অবশ্য বিএনপির তারেকপন্থী একজন নেতা বলেছেন, ‘বিএনপির ভাঙ্গনের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার করেই ভাঙ্গন প্রক্রিয়া শুরু হবে এটা সবাই জানতো, এখন দেখছে।’
ওই নেতা বলেন ‘খুব শিগগিরই যদি বেগম জিয়া মুক্তি না পান তাহলে শুধু দুই ভাগ নয়, বিএনপি কয়েক টুকরো হতে পারে।
Read in English- http://bit.ly/2EbvUXr
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন