ইনসাইড বাংলাদেশ

নাগেশ্বরীতে একটি গ্রামেই ৬ শতাধিক মৌচাক


Thumbnail

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে উপজেলার কচাকাটা থানার নদী বিচ্ছিন্ন নারায়ণপুর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একটি গ্রামে ৬ শতাধিক মৌচাক পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের চৌদ্দঘড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের চারদিকের কার্নিশ, জানালার সানশেড, বারান্দাসহ ভবনের চার পাশের গাছের ডালে ঝুলছে অসংখ্য মৌমাছির চাক। স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন অংশে বসেছে ছোটবড় অন্তত ৬০টি মৌচাক। স্কুলের সামনে ছোট-বড় কয়েকটি শিমুল, কাঁঠাল, আম, নারিকেল গাছে বসেছে আরও শতাধিক মৌচাক। এসব গাছের কোনোটা রয়েছে ভবন ঘেঁষে। মৌচাকের কারণে স্কুলের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মাঝে বিরাজ করছে আতংক।পথচারীরাও মৌমাছির ভয়ে স্কুলের সামনে রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিনই মৌমাছিগুলো কোনো না কোনো মানুষকে তাড়া করে এবং হুল ফোটার কারণে সবাই আতংকে থাকেন। শুধু স্কুলেই নয়, চৌদ্দঘড়ি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও বসেছে একাধিক চাক। এতে করে সব মিলিয়ে প্রায় ৬'শতাধিক মৌচাক দেখা গেছে ওই গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, চরাঞ্চলে এ সময় সরিষার চাষ হয়। এ সরিষার মধু সংগ্রহ করতেই প্রতিবছর নভেম্বর মাসে এখানে মৌমাছিরা আসে। আশেপাশে কোনো বন-জঙ্গল না থাকায় এই স্কুল ও স্কুলের পাশের গাছগাছালীতে মৌচাক দেয় তারা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মৌচাকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। 

নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন সোহেল রানা বলেন, প্রতিদিনই ভয়ে ভয়ে স্কুলের ক্লাস রুম খুলে অফিসের জানালা দরজা বন্ধ করে ভেতরে বসে থাকি। স্কুলের বারান্দা এবং অফিসের সাথেও মৌমাছি চাক দিয়েছে। মাঝে মধ্যে ধোঁয়া দিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করা হলেও কোনো লাভ হয় নি।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিন্টু চন্দ্র সেন জানান, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে মৌমাছির উপদ্রব সহ্য করতে হয়। এবার মৌচাকের সংখ্যাও অনেক বেশী। শুধু স্কুল ভবন আর আশপাশের গাছ মিলেই তিন থেকে সাড়ে তিনশ মৌচাক বসেছে।

নারায়ণপুর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, এবার সরিষার চাষ বেশী হওয়ায় মৌমাছির চাকের সংখ্যাও বেড়েছে। শুধু স্কুলেই নয় আশেপাশের অনেক বাড়িতেও মৌমাছিরা চাক দিয়েছে। এসব চাক থেকে স্থানীয়রা মধু সংগ্রহ করলেও ক্ষতির পরিমাণটাই বেশী। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মহন্ত বলেন, সরিষার চাষ বেড়ে যাওয়ায় মৌমাছিরা আসছে। অনেকেই মধু সংগ্রহ করতে কৃত্রিম মৌচাক বসিয়েছেন। অনেক জায়গায় মৌমাছিরা নিরাপদ স্থান ভেবে চাক বসাচ্ছে। এবার সরিষার আবাদ ভালো হওয়ায় চাকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে স্থানীয়রা বিক্রি করেন। যা জেলার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।


মৌচাক   নাগেশ্বরী   কুড়িগ্রাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামী নির্বাচনে জামায়াতের ভূমিকা ভারতের জন্য কী বার্তা দেয়?

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি বছরের ১৪ আগস্ট কারাবাসে মৃত্যুবরণ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন তিনি।

এক দশক আগে বাংলাদেশের স্থানীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছিল। এই রায় ঘোষণার পর দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভে শতাধিক মানুষ মারা যায়। বিবিসি জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছিল। কোন কোন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে তা তারা অনুমান করতে পারেনি।

এক বছর পর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।

সাঈদী বেঁচে থাকার সময় জামায়াতে ইসলামী শক্তি দেখিয়েছে। তবে, গত মাসে তার প্রয়াণ ঘটে অনেকটা নিঃশব্দে। সরকার ঢাকায় তার জানাজার অনুমতি দেয়নি এবং জামায়াতের নেতৃত্ব কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল, যা ৮৩ বছর বয়সী নেতার শেষ নিশ্বাস ত্যাগে হাসপাতালে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষুব্ধ করেছিল।

প্রতিবাদে, তারা নেতার মৃতদেহ দাফন করার জন্য তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া গাড়ির একটি টায়ার পাংচার করে দেয়। তবে পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে, জামায়াতের বিদ্যমান নেতৃত্ব রাজধানীতে সাঈদীর জানাজা আয়োজন করে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়নি।

নেতার মৃত্যুতে মৃদু প্রতিক্রিয়া তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থকদের কাছে জামায়াতের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। কারণ সাঈদী ছিলেন সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় নেতা।

তদুপরি, দলটি তার রেজিমেন্টেড প্রকৃতির জন্য পরিচিত। জামায়াত একটি ইসলামি দল। এটির একটি তিন-স্তরের সদস্যপদ প্রক্রিয়া রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ভিন্নমত শুধু দলীয় ফোরামেই প্রকাশ করা হতো।

যা হোক, সাঈদীর মৃত্যুতে জামায়াত নেতৃত্বের এই নিঃশব্দ প্রতিক্রিয়া আশ্চর্যজনক। কারণ সাঈদী একজন ইসলামি ধর্মপ্রচারক-রাজনীতিবিদ। ১৯৭১ সালে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও সারা দেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।

সাঈদীর বিচার শুরুর পেছনে জনমত গঠনে বড় ভূমিকা ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। সেই ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং এর জন্য তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।

জামায়াতকে বাংলাদেশে একটি শক্তি হিসেবে গণনা করা হচ্ছে এবং দিন দিন দলটি আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যা ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।

এটা সত্য যে, রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দলটি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। দলটির ২৩ হাজারের বেশি কর্মী মামলার সম্মুখীন এবং দলের বর্তমান শীর্ষ নেতাসহ অন্তত ৯০ হাজার কর্মী কারাগারে। বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে দলটি। জামায়াতে ইসলামী এই মুহূর্তে রাজপথে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো অবস্থানে নেই।

চলতি বছরের জুনে রাজধানী ঢাকায় জামায়াতকে একটি জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল দলটির প্রথম কোনো সমাবেশ। যে বিরল উদারতায় জামায়াতকে জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সে উদারতার আর পুনরাবৃত্তি করেনি সরকার। সেই সমাবেশের দুদিন পর বেনামী গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদপত্র জানায়, দেশে এই মুহূর্তে জামায়াতের প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ সক্রিয় সদস্য রয়েছে।

এই সংখ্যাটি অত্যন্ত অতিরঞ্জিত বলেই মনে হয়, কারণ দলটিকে দীর্ঘদিন কোনো মুক্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, দলটির মূলনীতি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

প্রভাব পড়ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়:

বাংলাদেশে যে কোনো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা থেকে কার্যকরভাবে বিরত রাখা হয়েছে জামায়াতকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার দায়ে দলটির প্রায় সকল প্রধান নেতার হয় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে অথবা তারা কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।

আন্ডারগ্রাউন্ডে নিক্ষিপ্ত এবং গণমাধ্যমের ওপর সরকারের বিভিন্ন ধরনের চাপে, জামায়াতের কর্মসূচির খবর জাতীয় পত্রিকায় আসে না। দলটির আর্থিক অবস্থাও বিপর্যস্ত। সবমিলে দলটি এখন কঙ্কাল।

বাংলাদেশে ১২ কোটির কাছাকাছি ভোটার রয়েছে। নির্বাচনী জোট ছাড়া জামায়াত এখানে কার্যকর কোনো ফলাফল পাবে না।

জামায়াত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সঙ্গে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী জোটে ছিল। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এখন জোটটির নেতৃত্বে রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনী জোটের সরকারে দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছিল জামায়াত।

যদিও জামায়াত এখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে নেই। তবে আগামী নির্বাচনে বিএনপি আবারও জামায়াতের ভোট তাদের পক্ষে পেতে চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা আবারও জামায়াতকে নির্বাচনী জোটে আমন্ত্রণ জানাতে পারে।

বৈদেশিক সম্পর্ক:

বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামি দল জামায়াতকে নিয়ে ভারতের উদ্বেগ দূর করতে চায় বিএনপিও। বিএনপি সে জন্য জামায়াত থেকে আপাতত নিজেকে দূরে রাখতে চাইছে। কারণ, বাংলাদেশের বৃহত্তর প্রতিবেশীর কাছে জামায়াত একটি রেড ফ্লাগ।

বিষয়টির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য। রাজ্যগুলো কার্যত বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের দ্বারা স্থলবেষ্টিত এবং শুধু ১০-১২ মাইল-চওড়া ছোট শিলিগুড়ি করিডোর (চিকেন নেক) দিয়ে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত। এক সময়ের বিদ্রোহপ্রবণ এই রাজ্যগুলো ভারতবিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপের নেতারা যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশে যে কোনো নির্বাচনী পরিবর্তন, যা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে তা ভারতের চিন্তার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে পঞ্চম দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত।

বিএনপি চায় না আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে পারুক যেখানে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সে সময় বৈদেশিক চাপ থেকে টিকে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি চায় না আওয়ামী লীগ এমন কোনো অজুহাত খুঁজে পাক যেটা দিয়ে ২০১৪ সালের মতো আবারও তারা বিশ্বের সমর্থন অর্জন করবে। আর এটা নিশ্চিত করতেই জামায়াত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে বিএনপি।

অনেকে ধারণা করছেন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘একধরনের সমঝোতায়’ যেতে পারে জামায়াত। যদিও সাম্প্রতিক ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের পক্ষে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ওপর আস্থা রাখা কঠিন– তবে এটা একেবারেই যে অসম্ভব, তা নয়।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে জামায়াত। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি একটি নতুন রাজনৈতিক দল যা অনেকের ধারণা ছদ্মবেশে জামায়াত।

কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় বা অধিকাংশ প্রধান রাজনৈতিক দল বর্জন করছে এমন যে কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ জামায়াতে বিভক্তিও নিয়ে আসতে পারে।

এই মুহূর্তে জামায়াতের এমন কোনো বড় গণসংগঠন নেই যেখান থেকে দলটি নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে পারে। ফলে জামায়াত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ভারতের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি ঢাকার চলমান শাসনকে কিছুটা শ্বাস ফেলার জায়গা দিতে পারে এবং জামায়াতকে কিছুটা খড়কুটো জোগাতে পারে। আর সেই চুক্তিটি হবে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে জামায়াত নেতাদের অংশগ্রহণ।

এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য একটি ন্যায্য, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরের জানুয়ারিতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা ভারতের নিরাপত্তার উদ্বেগগুলোকে সম্মান করবে তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের সব প্রধান রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।

ভারত ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে জড়িত এবং অবশ্যই এই ভবিষ্যৎ হতে হবে গণতান্ত্রিক।

কার্টেসি: কালবেলা

নির্বাচন   জামায়াত   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ছেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আমার ছেলেও এখানে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও চাওয়া। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে এই দেশের জনগণ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে।

তিনি বলেন, মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে। এবার বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।

সরকারপ্রধান বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল আর কে দিল না, তাতে কিছু যায় আসে না। আমার ছেলেও এখানে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।

তিনি বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই। কারও শক্তিতে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় এসেছি এবং আছি।

তিনি আরও বলেন, যদি তারা শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তা হলে আমার কিছু বলার নেই। তবে মনে রাখতে হবে আমি কিন্তু কারও শক্তিতে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসেছি জনগণের শক্তিতে।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলছে, ২০০১ কিংবা সামরিক শাসকদের নির্বাচনের সময় তারা কোথায় ছিল? 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, মানুষের মধ্যে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা— এগুলো আমরা করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’— এই স্লোগান তো আমারই দেওয়া। ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন তো আমরাই করেছি।

সরকারপ্রধান সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনই একমাত্র পথ। গোলমাল করে অবৈধভাবে আসতে চাইলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করে। বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দুর্নীতি হচ্ছে না বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে— আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিসা-নিষেধাজ্ঞা: মন্ত্রী থেকে ওসি

প্রকাশ: ০২:৩৩ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪মে যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল তার প্রয়োগ শুরু করেছে গতকাল। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার কার উপর আরোপ করা হয়েছে সেই তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়নি।

তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, অন্তত দশ থেকে কুড়ি জনের উপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একজন মন্ত্রীও এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী ছাড়াও অন্তত তিনজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই তিনজন সংসদ সদস্য কেউই অবশ্য আওয়ামী লীগের নন। তারা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। তাদেরকে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এছাড়াও তিনজন সাবেক এবং বর্তমান বিচারপতির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, একজন সাবেক জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে, দুজন ওসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার তথ্য পাওয়া গেছে।

অর্থাৎ মন্ত্রী থেকে ডিসি কিংবা ওসি কেউই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বাইরে যায়নি। সামনের দিনগুলোতে আরো ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘটনা ঘটবে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে।


ভিসা-নিষেধাজ্ঞা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির কোন নেতা নেই মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায়

প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সন্ধা সাড়ে সাতটায়, কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর চাঞ্চল্য শুরু হয়। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কারা পরলেন, তা নিয়ে খোঁজ খরব নেয়া শুরু করে বিভিন্ন মহল।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন ‘যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের কিছু আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর ভিসা বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। ‘তবে কাদের উপর বা কতজনের বিরুদ্ধে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা জানাননি তিনি। এ বিষয়ে ব্রায়ান শিলার বলেছেন ‘এসব ভিসা বিধি নিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম তারা প্রকাশ করে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা সংক্রান্ত তথ্য গোপনীয় বিষয়।

তবে যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে বা যারা ভিসা পাবেন না, তাদের ব্যক্তিগত ইমেইলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অনেককে টেলিফোনে তাদের ভিসা বাতিলের তথ্য জানানো হয়। প্রথম পর্যায়ে যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন তাদের মধ্যে বিরোধী দলের নেতারাও আছেন বলে মার্কিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কিন্তু এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে তাদের মধ্যে বিএনপির কেউ নেই। যে তিনজন বিরোধী নেতার ভিসা বাতিল হয়েছে তারা তিনজনই জাতীয় পার্টির নেতা। জাতীয় পার্টির সরকার ঘনিষ্ট তিন নেতার ভিসা বাতিলের তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিএনপি বা অন্য কোন বিরোধী দলের কেউ এখন পর্যন্ত ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসেনি। 


ভিসা নিষেধাজ্ঞা   বিএনপি নেতা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার কোনো আবেদন আসেনি : আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার কোনো আবেদন আসেনি বলে জনিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হবে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হয়েও এখন যে মুক্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা আর মহানুভবতায়। 

শনিবার কসবার একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি মহানগর এক্সপ্রেসে করে আখাউড়ায় আসেন। সেখান থেকে তিনি সড়ক পথে কসবায় যান। 

বিএনপির হরতাল কর্মসূচির হুঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।

বিকেলে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে আন্তঃনগর মহানগর গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে আইনমন্ত্রী।


আইনমন্ত্রী   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন