গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) উদ্বোধনের পর আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জনগণের জন্য চলাচল উন্মুক্ত হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। সকাল ৮টায় উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেনটি ছেড়ে যায়। মেট্রোর এই গণপরিবহন জনগণের যে পছন্দ হয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে প্রথম দিন থেকেই। মেট্রোরেলে চড়ছে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। ট্রেনের টিকেটের জন্য দেখা গেছে লম্বা লাইন। টিকিট কাউন্টার থেকে যাত্রীদের লাইন ছাড়িয়ে গেছে রাস্তা পর্যন্ত।
এদিকে, ইতোমধ্যে এই ট্রেনের টিকিট বিক্রির একটি মেশিনও বিকল হয়ে গেছে। মেশিনের স্ক্রিনে দেখা গেছে, ‘এই মেশিনটি কিছু সময়ের জন্য বিকল আছে। অনুগ্রহপূর্বক অন্য মেশিন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হইল অথবা টিকিট অফিসে যোগাযোগ করুন’লেখাটি। ফলে এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক যাত্রী। ট্রেনের টিকিটের অপেক্ষায় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) উত্তরার দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল ডিপো স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
দিয়াবাড়ি স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রোরেলে সরাসরি যাত্রার প্রথম দিন সকাল থেকেই উৎসুক লোকজনের ভিড় ছিল। সময় বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীদেরও ব্যাপক ভিড় লেগে যায়। টিকিট কাউন্টারগুলোয় দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের সামনেও লাইন আছে। একসঙ্গে অনেক বেশি যাত্রী টিকিট কেনার কারণে মেশিনগুলো কিছু সময় পরপর হ্যাং হতে দেখা যায়। তারপরও যাত্রীদের চাপ ব্যাপক। চাপ সামলাতে তাদের এক প্রকার হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দিয়াবাড়ি স্টেশনে টিকিট বিক্রির স্বয়ংক্রিয় মেশিন রয়েছে তিনটি। কিছু সময় পর পর মেশিনগুলো বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। একবার বন্ধ হলে অন্তত পাঁচ মিনিট ধরে এগুলো বন্ধ থাকছে। এতে ব্যক্তিগতভাবে টিকিট কিনতে আসা যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। তারপরও জনমনে খুশি লক্ষ্য করা গেছে।
যাত্রীরা বলছেন, কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, হবে। এটা স্বাভাবিক। প্রথমদিনই যে সব কিছু টিপটপ থাকবে, তা নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু উন্নতি হবে।
স্টেশনের টিকিট বিক্রয় মেশিন (টিভিএম) কেন কাজ করছে না জানতে চাইলে স্টেশন কন্ট্রোলার মো. রনি বলেন, ‘মেশিনে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা রিকভারি করার চেষ্টা করছি। প্রথম বলেই একটু সমস্যা হচ্ছে। ঠিক হয়ে যাবে।’
রনি আরও বলেন, ‘কাউন্টারের পাশাপাশি মেশিন থেকেও অনেকে টিকিট নিচ্ছেন। এটি মূলত সার্ভারের মাধ্যমে কাজ করে। মাঝে মাঝে হ্যাং করে। এটা স্বাভাবিক। কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিকও হয়ে যায়। আজ মানুষের চাপ বেশি। কাউন্টারেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। মেশিনেও ক্ষণিকের জন্য সমস্যা করছে।’
জানা গেছে, সকাল থেকে এ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় শুরু হয়। নিরাপত্তাকর্মীরা অল্প অল্প করে যাত্রীতের স্টেশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ভোর থেকেই টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবনে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে চড়ছেন তারা। তাই অভিজ্ঞতা কেমন, সে অনুভূতি নিতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও; আবার সেখান থেকে নিজের গন্তব্যে ফিরে এসেছেন তারা।
এতকিছুর মধ্যে যাত্রীদের অভিযোগও আছে। তারা বলছেন, মেট্রো স্টেশনের দ্বিতীয় তলা ফুট ওভারব্রিজ হিসেবে ব্যবহারের কথা রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে না। তবে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না ঠিক। প্রথম দিন, অতিরিক্ত লোকজন হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মূলত, স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেল যাত্রী পরিবহন টিকিট মেশিন
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।