উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনকে ঘিরে এদিন সকাল থেকেই প্রার্থী, ভোটার ও সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বর। ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখা যায় প্রার্থীদের। কর্মীরাও চালাচ্ছেন নিজ নিজ প্রার্থীর প্রচারণা।
এদিকে ভোটাররাও চাইছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে যোগ্য প্রার্থীরাই জয়ী হোক। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১০২ জন।
ব্যবস্থাপনা কমিটির এই নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৭টি পদে লড়ছেন প্রার্থীরা। বাকি পদগুলো হলো- সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক দুটি ও সদস্য ১০টি।
প্রতিবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ছাড়া বেশ কয়েকটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এ প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
বিএনপি সমর্থিত প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ
এর মুকসুদপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন মুকসুদপুর প্রেস ক্লাবের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের
নতুন কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার
(১ জুন) রাতে মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত এক
সমাবেশে ক্লাবের উপস্থিত সদস্যদের কণ্ঠভোটে এই নতুন কমিটি
গঠন করা হয়।কমিটিতে দৈনিক
নবরাজ প্রতিনিধি হুজ্জাত হোসেন লিটুকে সভাপতি এবং মুকসুদপুর সংবাদ
সম্পাদক হায়দার হোসেনকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
২১সদস্য
বিশিষ্ট এই কার্যকরি কমিটিতে
দৈনিক যায়যায়দিনের মোহাম্মদ ছিরু মিয়া, দৈনিক
আমার সংবাদ এর সরদার মজিবুর
রহমান সহ-সভাপতি এবং দৈনিক ভোরের
কাগজ এর কাজী ওহিদুল
ইসলাম এবং দৈনিক নবরাজ
এর হাদীউজ্জামান হাদী এবং দৈনিক
বাঙ্গালীর কণ্ঠ এর শরীফুল রোমান
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়া দৈনিক
ঢাকা প্রতিদিন এর হাফিজুর রহমান
লেবু সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক আমাদের সময় এর দেলোয়ার
হোসেন দপ্তর সম্পাদক, দৈনিক ভোরের পাতা’র হুসাইন
কবির প্রচার সম্পাদক, দৈনিক মাতৃভুমি’র লুৎফর রহমান
মোল্যা অর্থ সম্পাদক, সিএনএন
বাংলা টিভি’র সামচুল আরেফিন মুক্তা তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক,
মুকসুদপুর সংবাদের কামরুজ্জামান কামাল ক্রীড়া সম্পাদক, দৈনিক গণজাগরন রবিউল খন্দকার ধর্ম সম্পাদক নির্বাচিত
হন।
এছাড়াও
নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সময় এর তৌহিদুল হক বকুল, বাংলার
নয়ন এর মহিউদ্দীন আহম্মেদ
মুক্ত, বঙ্গটিভি সাব্বির মিয়া, দৈনিক জনকণ্ঠ এর মেহের মামুন,
দৈনিক কালেরকণ্ঠ এর পরেশ বিশ্বাস
এবং মধুমতি কণ্ঠ এর আবুবক্কর
মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।
এর
আগে সন্ধ্যায় মুকসুদপুর প্রথম অধিবেশনে বার্ষিক সাধারণ সভায় মোহাম্মদ ছিরু
মিয়ার সভাপতিত্বে ওই সভায় পুরোনো
কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়।
২য়
অধিবেশনে প্রবীণ সদস্য তৌহিদুল হক বকুলের সভাপতিত্বে
উম্মুক্ত এবং প্রকাশ্য কণ্ঠভোটে
আগামী ২ বছরের জন্য
কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো বিক্রির প্রক্রিয়া মাঝখানে থেমে যাওয়ার পর আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি বাসায় প্রথম আলো বিক্রির ব্যাপারে আলাদা আলাদা দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বাংলা ইনসাইডারের কাছে নিশ্চিত তথ্য আছে। এই বৈঠকে মিডিয়া স্টারের সিংহ মালিকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা এবং একজন পরিচালক। তারা প্রথম আলো বিক্রির প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন। একই ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় একই বাড়িতে বৃহস্পতিবার। ওই বৈঠকে এস আলম গ্রুপের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং একজন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন একজন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। প্রথম আলোর মালিক প্রতিষ্ঠান মিডিয়া স্টারের পক্ষ থেকে তিন জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন এবং এই বৈঠকগুলোতে মিডিয়া স্টারের সিংহভাগ মালিকানায় থাকা সিমিন রহমান টেলিফোনে কথা বলেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো বিক্রি: দর কষাকষিতে চারটি শিল্প গ্রুপ
গত বুধবারের বৈঠকে স্কয়ার গ্রুপের কাছে প্রথম আলো বিক্রির আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করা হয়। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথম আলোর বর্তমান বাজার মূল্য পাঁচশ কোটি টাকার বেশি। তারা প্রথম আলোর ৭৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য পাঁচশ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন।
এ ছাড়াও যে প্রতিষ্ঠান বা যিনি প্রথম আলো কিনবেন তার জন্য পাঁচটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-
প্রথমত, প্রথম আলোর মিডিয়া স্টারের সিংহভাগ শেয়ার যিনি কিনবেন তিনি প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতি পরিবর্তন করবেন না বা করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, সম্পাদক বা অন্য কোন সংবাদকর্মীকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অযৌক্তিক কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
তৃতীয়ত, প্রথম আলো সামাজিক দায়বদ্ধ কর্মসূচি, যেমন- দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো, কম্বল বিতরণ- যে সমস্ত কার্যক্রমগুলো প্রথম আলো ট্রাস্ট এর মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে সেগুলোকে অব্যাহত রাখতে হবে।
চতুর্থত, প্রথমা, বন্ধুসভা, কিশোর আলোর মত প্রথম আলোর অন্যান্য উদ্যোগগুলোকে বন্ধ করা যাবে না। সেগুলোকে অব্যাহত রাখতে হবে।
পঞ্চমত, সম্পাদক ও প্রকাশকের শেয়ার বিক্রি হবে না। প্রথম আলোতে সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার আছে। এছাড়া বাকি শেয়ারগুলো ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকদের। লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর মিডিয়া স্টারে সিমিন রহমান ছাড়াও তার মা শাহনাজ রহমান এবং বোন শাযরেহ হকের শেয়ার রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রান্সকমের বিরোধ: বিক্রি হচ্ছে প্রথম আলো?
এই শেয়ারগুলোর মধ্যে সিমিন রহমান, তার ছোট বোন শাযরেহ হক এবং মা শাহনাজ রহমানের শেয়ারগুলো বিক্রি হবে বলে জানা গেছে এবং সেই বিক্রি প্রক্রিয়ার মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। প্রথমে প্রথম আলো কেনার জন্য ৭ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলেও এখন দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চূড়ান্ত আলাপ-আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য যে, লতিফুর রহমানের মৃত্যুর পর ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানা নিয়ে বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ট্রান্সকমের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা জামিনে রয়েছেন। গত পরশুদিন তাদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল।কিন্তু আদালত রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। আর এই পারিবারিক বিরোধের কারণেই প্রথম আলো বিক্রি হবে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, স্কয়ার এবং এস আলম গ্রুপ- দুইজনকেই প্রথম আলোর শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে। এখন তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে এ নিয়ে আবারও বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
প্রথম আলো এস আলম গ্রুপ স্কয়ার গ্রুপ
মন্তব্য করুন
প্রতিদিনের বাংলাদেশ বেনজীর আহমেদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের
(পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন
অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ
শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক
নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র
দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন
তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন