নতুনত্ব আর চমক দেখানোই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের
ধরন। সেটা হোক ফিচার কিংবা নতুন কোনো ট্রেন্ড। তবে আসছে ২০২৩ সালে বড়সড়ো পরিবর্তন আসছে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেসব সম্পর্কে জেনে নিন-
অরিজিনাল ও বাস্তবধর্মী কনটেন্টের প্রাধান্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানেই রঙিন
দুনিয়া। নানা চমক আর ট্রেন্ডে জমজমাট থাকে নিউজফিডের ওয়াল। তবে এই কৃত্রিমতার আকর্ষণ
থেকে দিন দিন দূরে সরে আসছেন এর ব্যবহারকারীরা। এসব কারণে সম্প্রতি ‘বি রিয়েল’ ও ‘টিকটক
নাও’ পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। অ্যাপগুলোর বিশেষত্ব হলো- এতে ব্যবহারকারীর বাস্তব জীবনের
প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। ব্যবহারকারীরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাস্তব দুনিয়ার প্রতিচ্ছবি
দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ২০২৩-এ তা আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেখা যাবে মেটাভার্সের নতুন ফিচার
ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা এ বছর বিস্তর
পরিকল্পনা নিয়ে এগোলেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসেনি। সামনের বছর মেটা কিছু নতুন ধরনের ফিচার
আনবে। ফেসবুক অ্যাপে আরও বেশি ফিচার চালু করবে, যাতে মানুষ মেটাভার্স সম্পর্কে আরও
বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে ফেসবুকে নিজেদের অবতার তৈরি, বিভিন্ন ফিল্টারের মাধ্যমে
অগমেন্টেড রিয়ালিটির অভিজ্ঞতা লাভ করার মতো কিছু ফিচার এনেছে মেটা। সামনের বছর এই ফিচারগুলো
আরও উন্নত হবে এবং বর্ধিত আকারে ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। পাশাপাশি ঘটবে বিজ্ঞাপনের প্রসার।
নিউজফিডে আসবে পরিবর্তন
ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নিউজফিডে আসবে
ব্যাপক পরিবর্তন। মেটার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, নিউজফিডে এখন সংযোগ
নেই এমন নির্মাতাদের কনটেন্টের দেখাও মিলবে। টিকটকের ‘ফর ইউ’ কিংবা ইনস্টাগ্রামের
‘এক্সপ্লোর’ ফিচারগুলোর ধারণার সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন ব্যবহারকারীরা
নতুন নতুন কনটেন্ট দেখতে পারবেন এবং নিত্যনতুন যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। যার প্রায় ৪০ শতাংশ
কনটেন্ট আসবে এমন প্রোফাইল বা পেজ থেকে; যার সঙ্গে ব্যবহারকারীর পূর্ব যোগাযোগ বা জানাশোনা
নেই।
প্রসার বাড়বে স্বল্পদৈর্ঘ্য কনটেন্টের
চলতি বছর ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে চালু
হওয়া ‘রিল’ ফিচারটি বেশ সাড়া ফেলেছে। টিকটকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,
স্ন্যাপচ্যাটেও এখন দেখা মিলছে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে ভিডিও কনটেন্টের বিপুল জনপ্রিয়তার।
সামনের বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য যে কোনো ধরনের কনটেন্টের চেয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে
ভিডিওর প্রসার সর্বাধিক বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই উদ্দেশ্যে ইনস্টাগ্রাম
ও স্ন্যাপচ্যাট স্টোরিজের মতো নতুন ‘ফ্লিটস’ নামে ফিচার এনেছে টুইটার। আগামী বছরেও
এমন বাইট-আকারের কনটেন্ট এসব মাধ্যমের জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকবে।
ক্রয়-বিক্রয় পাবে নতুন মাত্রা
বিভিন্ন ব্র্যান্ড বহু আগে থেকেই সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন ও প্রচারের কাজ করে আসছে। তবে বর্তমানে সরাসরি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ কাজটি সহজ করতে ফেসবুকে
মার্কেটপ্লেস এবং ইনস্টাগ্রামে শপ নামে নতুন ট্যাব সংযোজন করা হয়েছে। আগামী বছর স্ন্যাপচ্যাট
ও পিন্টারেস্টও এ ধরনের নতুন ফিচার আনতে পারে।
এ ছাড়াও সেন্সরশিপ এবং তথ্যগত নিরাপত্তার
মতো বিষয়গুলো নিয়ে ব্যবহারকারীরা বারবার অস্বস্তির সম্মুখীন হয়েই চলেছেন। আর তাই অপেক্ষাকৃত
নিরাপদ ও স্বাধীন ধারার সামাজিক মাধ্যমগুলো জোরেশোরে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া শুরু
করেছে। আগামী বছর তা পরিলক্ষিত হবে।
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।