ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের যত অর্জন: মূল চ্যালেঞ্জ উন্নত বাংলাদেশ গঠন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail সরকারের যত অর্জন: মূল চ্যালেঞ্জ উন্নত বাংলাদেশ গঠন।

‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হওয়া সত্ত্বেও বহুকাল বহির্বিশ্বে ছিল উপেক্ষিত ও অনালোচিত দেশ। বাংলাদেশের কথা উঠলেই একটি ‘বটমলেস বাস্কেট’র সাথে তুলনা করা হতো। শেখ হাসিনা সরকার দেশের এই দুর্নামটি শুধু দূরই করেননি, তার অর্থনীতির উন্নয়নের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে সমালোচক দেশগুলোরও প্রশংসা অর্জন করেছেন। বিশ্বব্যাংকও এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে। অথচ পদ্মা সেতুতে ঋণ দেওয়ার সময় পিছিয়ে গিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশ এখন বহির্বিশ্বে একটি আলোচিত দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এ দেশটির গুরুত্ব এখন স্বীকৃত’- শনিবার (৭ জানুয়ারি) বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্তি এবং সরকারের সাফল্যের ধারাবাহিকতা নিয়ে কথা প্রসঙ্গে এমনটিই জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। 

তাঁরা বলছেন, হাসিনা সরকারের এ সাফল্যের কথা দেশের বিএনপি-জামায়াত ও একটি তথাকথিত সুশীল সমাজ স্বীকার করতে চাইবে না, এটা সবার জানা কথা। যে শেখ হাসিনার পিতাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়েছে এবং যে শেখ হাসিনাকেও হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে, তিনি সব শত্রু ও সমালোচকের মুখে ছাঁই ছিটিয়ে দিয়ে তিন তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবেন, এটা কি তাদের সহ্য হয়! তারা পাগলা মেহের আলীর মতো চিৎকার জুড়েছেন- ‘সব ঝুট হ্যায়’।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে সব তথ্য ঝুট নয়, মিথ্যাও নয়। তা অতি বাস্তব। যদি বাংলাদেশের এ উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশগুলোর মতো উচ্চ আয়ের দেশ হবে তাতে সন্দেহ নেই। শিল্প, শিক্ষা, কৃষি, ক্রীড়া ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতি ঘটছে। চিরকালের খাদ্য ঘাটতির দেশটিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপান্তর করা হয়েছে। সম্প্রতি বন্যা, খরা এবং বৈশ্বিক নানা কারণে খাদ্য উৎপাদন বিঘ্নিত হলে চাল, পেঁয়াজ ইত্যাদির দাম হঠাৎ প্রচুর বেড়ে যায়। কিন্তু এ সংকট সাময়িক। সরকার এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাটিকে একটু শ্লথ করে দিয়েছে সত্য। কিন্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের দরবারে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ উপাধীতে ভূষিত হয়েছেন। 

জানা গেছে, এক সময়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম দশটি দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আজ বিশ্বের বিশ্বয় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক খাতে বিশ্বয়কর উত্থান ও অগ্রযাত্রা- এখন সারা বিশ্বে স্বীকৃত। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের ফলে। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ’ খাতে দশ প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। রূপকল্প-২১ সামনে রেখে এসব প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ইতিমধ্যেই দৃষ্টিগোচর হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। এ সব প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আর্থসামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে নতুন এক মাইলফলক রচিত হবে। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।

‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ’ খাতের এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, নারীর ক্ষমতায়ন, আশ্রয়ণ, শিক্ষা সহায়তা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বিকাশ।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে নেয়া এই দশ কর্মসূচিকে ইতিমধ্যেই ব্র্যান্ডিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে দারিদ্র্যমোচনে দক্ষতা অর্জনে আয়বর্ধক কর্মসূচি হিসেবে নেয়া। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে এগিয়ে নেয়া এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগ বিকাশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগ বিকাশ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে দেশে বিনিয়োগের খরা কাটবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ‘বিনিয়োগ বিকাশ’ বহির্বিশ্বে এমনভাবে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে, যাতে বিদেশিরা এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন। এ ছাড়া দেশি উদ্যোক্তাদেরও আস্থা ফিরিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে।

এদিকে, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতোমধ্যেই সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগের প্রধান বাঁধাগুলো কি তা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব বাঁধা দূর করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতিও বিনিয়োগবান্ধব করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়াতে ওই দেশগুলোর জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে সরকার ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়া দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী পনের বছরে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর ফলে দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় ১ কোটি মানুষের।

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে এই দশ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এই কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন ও ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সমন্বয় করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন খাতে যে সব উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে অনেকগুলো উদ্যোগই প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা-প্রসূত, যা ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলোর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে এবং হচ্ছে।

সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু (বাস্তবায়িত), মেট্রোরেল (আংশিক বাস্তবায়িত), পায়রা সমুদ্রবন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি।

পদ্মা বহুমুখী সেতু: বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ বহুল প্রত্যাশিত এ প্রকল্পটির সফল সমাপ্তির পর গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতু রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি সংযোগ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে অপেক্ষাকৃত অনুন্নত এলাকায় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের মোট আয়তনের শতকরা ২৯ ভাগ বা ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার  ২১ জেলার ৩ কোটিরও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছে এ সেতুর মাধ্যমে।

পদ্মা রেলসেতু সংযোগ: দক্ষিণ এশিয়ায় আন্ত:দেশিয় রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সরকারের। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা-খুলনা পথে ২১২, ঢাকা-যশোর পথে ১৮৪ এবং ঢাকা-দর্শনা পথে দূরত্ব কমবে ৪৪ কিলোমিটার। 

মেট্রোরেল: মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা আছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পে ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ও জাপান ১৬ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা জোগান দেবে। ২০২৪ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সার্বিক কাজের অগ্রগতি শতকরা ৭৫ শতাংশের বেশি। ইতিমধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বাস্তবায়িত হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর উন্মুক্ত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু (কর্ণফুলী) টানেল: এই প্রকল্পটির কাজও ইতিমধ্রে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে চলছে। সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি। যে কোনো দিন জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এই টানেল। 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হবে। তবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের অগ্রগতি ৭৮.৮৯ শতাংশ। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। 

দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার গুনদুম রেলপথ: পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গৃহীত প্রকল্পটির ব্যয় ১৮ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। দোহাজারী রামু কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭১ শতাংশের বেশি। রেলপথটি আগামী ২৩ সালের জুনে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প এটি। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাশিয়া প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে বাংলাদেশকে দিচ্ছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ জোগান দেবে বাংলাদেশ। ২ হাজার ৪ শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে এ প্রকল্প থেকে। 

মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ৬০০ মেগাওয়াট করে দুটি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে জাপান দেবে ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। 

পায়রা সমুদ্রবন্দর: দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অনগ্রসরতা, আমদানি বৃদ্ধি এবং বন্দরের ভবিষ্যৎ ধারণ ক্ষমতা বিবেচনায় প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। দেশের তৃতীয় এ বন্দর নির্মাণে ২০১৩ সালের নভেম্বরে জাতীয় সংসদে ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন’ নামের একটি আইন পাস হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১ হাজার ১৪৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। 

মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৪ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ইউনিটের মাধ্যমে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এই প্রকল্পে।

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর: দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। বন্দরটি হলে তা প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য ব্যবহার করতে পারবে। সরকার মনে করছে, বন্দরটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে।

এলএনজি টার্মিনাল: সাংগু গ্যাস ক্ষেত্র শেষ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সংকট বিরাজ করছে। এ সংকট নিরসনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির লক্ষ্যে মহেশখালী উপকূলে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনাল থেকে মূল ভূখণ্ডে গ্যাস আনতে ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ১৯ আগস্ট  ২০১৮ থেকে। ৩০ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ৪১৪,২৯৭.৪৭ এমএমএস সিএফ।

‘কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া’- এই দর্শনটি আজ বাংলাদেশের অগ্রগতির অভিযাত্রায় অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে সমাদৃত, যা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারাকে অর্থনৈতিক বিপ্লবে রূপান্তরিত করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত আধুনিক ও উন্নত “সোনার বাংলা” বিনির্মাণে সফল ভূমিকা রাখছে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সকল সমস্যা মোকাবেলা করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গঠন করাই এখন বর্তমান সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।


সরকার   অর্জন   চ্যালেঞ্জ   উন্নত বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনের নেটওয়ার্ক বাড়ছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন এতদিন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে তাদের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রেখেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।

গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের ৯ সদস্যের একটি দল চীনে গেছেন। এতে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছে। বামদলগুলো বিভিন্ন সময়ে চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তাদের এই সফরের ব্যাপারে রাজনৈতিক কোন বাক পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। কিন্তু এই সময় ১৪ দলের শরীকদেরকে চীনে নিয়ে যাওয়া রাজনীতিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে বলেই অনেকে মনে করছেন।

আগামী ২৫ মে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের ৫০ সদস্যের একটি দল চীন সফরে যাবে। জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে তারা যাচ্ছেন। এ দলের নেতৃত্ব দিবেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। ২৫ জুন আওয়ামী লীগের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের দল চীন সফর করবে এবং এ দলটির নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে। ১০ সদস্যের এ দলে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এই চীন সফর রাজনীতির অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, চীন এখন বিএনপির সঙ্গেও এক ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির বিভিন্ন চীনপন্থি নেতাদের সঙ্গে তারা নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে।  এতদিন ধরে চীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বলয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল এবং এখন অর্থনৈতিক বলয়ে মোটামুটি প্রভাব বিস্তার শেষ করেছে। এখন চীন রাজনৈতিক বলয়েও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

চীন শুধু বাংলাদেশে নয়, এই কৌশল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও গ্রহণ করেছিল। যেখানে তারা প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির উপর একধরনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এবং অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে নির্ভরশীল করে তোলে। অর্থনৈতিক নির্ভরতার পর তারা আস্তে আস্তে রাজনীতিমুখী হয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তারা একধরনের প্রভাব বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে মালদ্বীপে চীন অর্থনৈতিক আধিপত্যের মাধ্যমে এখন রাজনৈতিক প্রভাব নিশ্চিত করেছে। ঠিক একই ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে কিনা এনিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

চীন বাংলাদেশের অন্যতম ঋণদাতা এবং বাংলাদেশ এখন ক্রমশ চীনের ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপরও চীনের প্রভাব বাড়ছে। যদিও বর্তমান সরকার এখন চীনের কাছ থেকে নতুন করে ঋণ গ্রহণ এবং চীনা প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তারপরও সরকারের ভিতর একটি অংশের চীনের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য করার আগ্রহ বেড়েছে। এটির অন্যতম কারণ হলো চীনের কাছ থেকে সহজেই কমিশন পাওয়া যায়, চীনের প্রকল্পগুলোতে উপরি আয়ের সুযোগ বেশি- ইত্যাদি নানা বাস্তবতায় চীন নির্ভরতা আমাদের অর্থনীতিতে বেড়েছে এবং তারই সূত্র ধরে এখন চীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন   চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই   বাংলাদেশ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহর সেই নাবিকরা

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এমভি জাহান মনি-৩ জাহাজটি সেই ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে।

আর এতে করেই শেষ হলো ২৩ পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে এই নাবিকদের অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে আসেন স্বজনরা।

জলদস্যুদের কবলে থাকার দিনগুলোকে বিভীষিকার দিন বলে আখ্যা দেন এই নাবিকদের বরণ করতে আসা এক স্বজন। তিনি বলেন, সেই দিনগুলোকে আর মনে করতে চাই না।

এক মাস আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে (জিম্মিদশা) মুক্ত হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করেছে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায়। কিন্তু দেশে ফিরলেও স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তাদের আরও একদিন অপেক্ষা করতে হয়।

অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক।

মুক্তির পর জাহাজটি ২২ এপ্রিল কয়লা খালাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে চুনাপাথর আমদানির জন্য শনিবার মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখানে দুই দিনের মধ্যে ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর লোড করে জাহাজটি গত ১৪ দিন আগে বাংলাদেশের উদ্দেশে রাওনা হয়।

গতকাল বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেয় ২৩ জন নাবিকের নতুন একটি টিম। জাহাজটিতে ৫৩ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর থাকায় জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করা হয়। আজ একটি লাইটারেজ জাহাজে তাদের চট্টগ্রাম নেওয়া হলো।


বাংলাদেশি নাবিক   সোমালিয়ান জলদস্যু   জাহাজ   এমভি আব্দুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর গুলশান এলাকার নিকেতনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফার্গো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এ যৌথ-উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ-উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য রফতানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এছাড়া উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বেরর চল্লিশাধিক দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ কেমিকেল ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের ‘সলিদারিদাদ’ ও সুইজারল্যান্ডের ‘সিনজেনটা ফাউন্ডেশন’ দ্বারা প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এছাড়াও, পিকেএসএফ, ইফাদ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুটকি, মশলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। তারা জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে ও চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ওভারওয়েট ও অবেসিটি ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদান, যথা, হোল গ্রেইন, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট- বেজড ওয়েল, ফল ও শাকসব্জি এবং নিরাপদ পানির কথা বলেছে। উক্ত সপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করতে চায় ফারগো।

তিনি বলেন, আমরা ধ্বংস থেকে উন্নয়নের দিকে যাবো। ফারগো আজ থেকে সেই প্রচেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলো। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি এবং অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।


নেদারল্যান্ডস   বাংলাদেশ   খাদ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ


Thumbnail

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে নারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেই গুলিতে সীমান্ত নিকটবর্তী এক বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে।  

 

রোববার (১২ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের ৯৩১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

 

এ বিষয়ে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।   

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেটে নেওয়া ধান গাছের অবশিষ্ট খড় সংগ্রহের জন্য রোববার (১২ মে) বিকালে কয়েকজন সীমান্তের পাশে বসবাস করা নারী ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে যান। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করে। খড় সংগ্রহে যাওয়া নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে ওই বিএসএফ সদস্যরাও তাদের পিছু নিয়ে প্রায় ৩০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা রাইফেল উঁচিয়ে ওই নারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে দ্রুত ভারতের ভেতর চলে যায়।

 

সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সীমান্ত ঘেষা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে বুলেট মেঝেতে পড়ে। নুর আলম বাচ্চুর পুত্রবধূ শাকিলা আক্তার ইতি রান্নাঘরের মেঝে থেকে এক রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেন।

 

পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী গোরকমন্ডল ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। 

 

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ‘ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্না ঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার লাগেনি। মাঝে মধ্যেই ভারতীয় বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা সব সময় বিএসএফের আতঙ্কে থাকি। এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’

 

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আসিফ বলেন, ‘এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ সীমান্তের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা পূর্বক মঙ্গলবার (১৪ মে) আবারও পতাকা বৈঠকের কথা জানিয়েছে।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন শিমুলবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং।


বিএসএফ   গুলিবর্ষণ   সীমান্ত   পতাকা বৈঠক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে বিয়ে না দেয়ায় তরুণের আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধুবড়িয়া ইউনিয়নে বিয়ে না দেওয়ায় অভিমান করে এক তরুণ ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

 

সোমবার (১৩ মে) সকালে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড পাকার মাথা এলাকায় গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে নাগরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত তরুণ মোঃ শিপন (২১) ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মালেক এর ছেলে।

 

মা ওমেলা বেগম বলেন, ‘ছেলের মানসিক সমস্যা ছিলো। আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’

 

তবে বিয়ে না দেওয়ায় ছেলে আত্মহত্যা করেছে এলাকাবাসী এমন কথা প্রচার করছে।

 

ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান খান শাকিল মুঠোফোনে জানায়, ‘প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের দাবি ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলো। পুলিশ লাশ হস্তান্তর করলে আমরা সামাজিক ভাবে দাফন কার্য সম্পন্ন করবো।’ 

এ ঘটনায় নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এলাকাবাসী সূত্রে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করেছি। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে লাশ হস্তান্তর সহ প্রয়োজনীয় আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


বিয়ে   আত্মহত্যা   তরুণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন