‘জামায়াতের উচিত জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়া’ বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের উচিত হবে তাদের পূর্বপুরুষেরা যে অন্যায় করেছে, তার জন্য জাতির সামনে ক্ষমা চেয়ে আন্দোলন শুরু করা।’
এ সময় তিনি সরকার নির্বাচন নিয়ে ভয়ানক ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানীর নামে করার আহ্বান জানান।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ফেলানী হত্যায় আমাদের উচিত হবে ভারতকে চেনা। তারা আমাদের সব দুর্ভোগের কারণ। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের উচিত হবে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানীর নামে করা। যেন তারা বারবার বুঝতে পারে যে তারা অন্যায় করেছে। ভারতের কারণেই আমাদের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন সমস্যা শুরু হয়েছে। দশ লাখ রোহিঙ্গা তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে ১৫ লাখে পৌঁছেছে। এমন নানা দুর্ভোগও ভারত সৃষ্টি করে।’
শনিবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি আয়োজিত ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্তে আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হবে না। সরকার যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তার কোনো প্রমাণ কি আমরা জোগাড় করেছি? এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি বানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যিনি সরকারের মিষ্টিভাষী ও দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাজনীতিবিদের তো বিবেক আছে। কিন্তু একজন আমলার বিবেক থাকে না। এইচ টি ইমামের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে। এভাবেই তারা এগোচ্ছে।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবার আর রাতে ভোট হবে না। এবার সরকার আরেক প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোট আর রাতে হবে না, ভোরেই সরকারের পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যরা মিলে ৬০-৭০ ভাগ করে ফেলবে। পরে ৯টার পর ভোট শুরু হবে। এটি কি আমরা মেনে নেব? যদি আমরা না মানি, তবে আমাদের লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট পাহারায় বসাতে হবে।’
সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জালাল হায়দার, ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী জামায়াত সরকার
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।