কয়েক দফা বেড়ে বর্তমানে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। এ পরিস্থিতিতে আরও এক দফা বাড়ানো হলো সোনার দাম। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি সোনার দাম নির্ধারণ করা নিয়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃতীত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাজুস।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এই মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে এখন ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা। আগামীকাল (রোববার) থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ৪ ডিসেম্বর এবং ১৮ ও ১৩ নভেম্বর সোনার দাম বাড়ায় বাজুস। এভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ানোর কারণে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে ওঠে মূল্যবান এ ধাতু। গত ৩০ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা করা হয়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এক ভরি সোনার দাম ৮৮ হাজার টাকা হয়নি।
এ সময় ভালো মানের সোনার পাশাপাশি বাড়ানো হয় সব ধনের সোনার দাম। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৩৮৯ টাকা করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৩১৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৮১৭ টাকা বাড়িয়ে ৬০ হাজার ৩০৩ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।
গত ৩০ ডিসেম্বর দেশের বাজারে দাম বড়ানোর পর গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৪১ দশমিক ৪১ ডলার। এতে এক আউন্স সোনার দাম বেড়ে হয় এক হাজার ৮৬৫ দশমিক ৭৯ ডলার। গত বছরের ১০ জুনের পর বিশ্ববাজারে সোনার এতো দাম আর হয়নি। গত সপ্তাহে সোনার যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তার মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬০ ডলার বা এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সোনার পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্লাটিনামের দামও বেড়েছে। তবে রুপার দাম কিছুটা কমেছে। গত এক সপ্তাহে রুপার দাম শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ২৩ দশমিক ৮৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর প্লাটিনামের দাম এক দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৯০ দশমিক শূন্য ৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার বিষয়টি আমরা দেখেছি। এছাড়া স্থানীয় বাজারেও তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। আজ মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সোনালী ব্যাংক বিডিবিএল একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক আব্দুর রউফ তালুকদার
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
(ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার
মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায়
ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে
অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে
১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার
ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার (১২ মে) এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে
২২১টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।
এরআগে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ২০
পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর
সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে
সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম
স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে অবস্থান
করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ে ২৭টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানি শেয়ারের দর।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার (১২ মে) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৪৮ ও ২০২৬ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।