নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বেগম জিয়া কারা অন্তরীণ হবার পর থেকেই বিএনপিতে নির্বাচন প্রশ্নে দুই মত তৈরি হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাজীবন যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, তত এই মতদ্বৈততা প্রকাশ্য রূপ নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেগম জিয়ার কারাবাস দীর্ঘ হলে এই মতবিরোধই ভাঙ্গনের রূপ দিতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছে, বিএনপি নির্দলীয় বা সহায়ক সরকারের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। বিএনপি এখন বলছে, বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া তাঁরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বর্তমান অবস্থা হলো, বেগম খালেদা জিয়া যদি জামিনেও মুক্ত হন এবং তিনি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য না হন তাহলে তাঁরা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মুক্ত খালেদা জিয়ার নির্বাচনী মাঠে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ: ফিকে হয়ে আসছে। একটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। আরও ৩৩ টি মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে আছেন তিনি। এরমধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা শেষ পর্যায়ে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে। বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি। গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ৪ মার্চ। নাইকো দূর্নীতি মামলার শুনানি ১১ মার্চ। এই সব মামলাই সরকার দ্রুত নিস্পত্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্যই মামলাগুলো আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সরকার একাধিক মামলা নির্বাচনের আগেই যদি শেষ করে ফেলে তাহলে ‘মুক্ত বেগম জিয়া’কে পাওয়া এক দু:সাধ্য ব্যাপার হবে। এই বাস্তবতায় বিএনপিতে ভিন্নমত জোরালো হচ্ছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে. জে. মাহাবুবুর রহমান, এমনকি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ভিন্নমতের প্রবক্তা। তাঁদের মতে, বেগম জিয়াকে যখন সরকার জেলে নিতে পেরেছে, তখন এত সহজে ছাড়বে না। তারা মনে করছেন, নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতেই সরকার এই কৌশল নিয়েছে। কাজেই, বেগম জিয়া জেলে থাকলে নির্বাচনে যাবো না, এরকম মত সরকারের ‘নীল নকশা’ কে বাস্তবায়নেই সহায়তা করবে। এই নেতাদের ধারণা, আবার একটি ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ বিএনপির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকবে। তখন জেলেই বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের যবনিকা পাত ঘটবে। এজন্য তারা মনে করছেন, বেগম জিয়ার মুক্তি, বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা, সর্বোপরি নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। বিএনপির নির্বাচনপন্থী একজন নেতা বলেছেন,‘ বন্দী খালেদা জিয়া, মুক্ত খালেদা জিয়ার চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবেন। তার মুক্তির ম্যান্ডেট হবে ব্যালট।’
বিএনপিতে এই মত ক্রমশ প্রবল হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ তরুণ নেতৃত্ব, তাদের ভাষায় ‘এই আপোষকামীতা’র বিরুদ্ধে। শুধু বিরুদ্ধেই নয়, তাদের সতর্ক করা হয়েছে, যদি এরকম নির্বাচানের ‘ষড়যন্ত্র’কেউ করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলত: তারেকের ভয়েই নির্বাচন নিয়ে নিয়ে প্রবীণ নেতারা কথাবার্তা কম বলছে। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই কর্মীদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরাও জানাচ্ছেন ‘মাঠের খবর ভালো।’ এরকম পরিস্থিতিতে লন্ডন থেকে তারেকের মোবাইল হুমকি দলের বন্ধনকে কতটা অটুট রাখবে সেটাই দেখার বিষয়।
Read In English: http://bit.ly/2stp4XG
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন