ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদি নায়ক নাকি খলনায়ক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

সেদিনের চা বিক্রেতা আজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই দুর্গম দীর্ঘ পথ পারি দিতে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়েছেন ভারতের বর্তমানে এই সরকারপ্রধান। বলছি নরেন্দ্র মোদির কথা। তিনি ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, বলেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। তবে একই সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন নীতি ও তাঁর দলের নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমর্থনের জন্য সমালোচনাও কম হয়নি।

ভারতের জনগণ মনে করে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় যুব সমাজের কাছেও নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা বর্তমান যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের থেকে বেশি। মোদির এই জনপ্রিয়তার রহস্য কী?

নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাতে সহজেই দৃশ্যমান এমন পরিবর্তনগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এতে উন্নয়নের কাজ এবং উন্নয়নগুলো সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে। শুধু তাই নয় মোদি উন্নয়ন কাজগুলোতে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছন। যেমন তিনি মন্ত্রিপরিষদ ছোট রেখে ১২৫ কোটি রুপি সাশ্রয় করেছেন। এই উদ্যোগে তার মন্ত্রিপরিষদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।

মোদির সেতু ভারত কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ সাল নাগাদ ভারতের হাইওয়েগুলোতে কোনো রেলওয়ে ক্রসিং থাকবে না। এই উন্নয়নটি মানুষ সরাসরি ভোগ করতে পারে। এবং এটি সব সময়ই দৃশ্যমান।

২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের ১৮ হাজার ৪৫২ টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোদি সরকার। মানুষ এর সুবিধা পেতেও শুরু করেছে।

স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা, জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, স্মার্ট সিটি যোজনা, অতল পেনসন যোজনা, সুরক্ষা বীমা যোজনার মত মোদি সরকারের অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডে মানুষকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এবং এই কর্মকাণ্ড গুলোকে মানুষ সব সময়ই দেখতে পারছে।

দেশের অর্থনীতিকে কালো টাকা মুক্ত করতে মোদি সরকার ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করে। এমন পদক্ষেপে তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। আর ভারতের দেশপ্রেমিক জনগণও শত দুর্দশার মধ্যেও বিষয়টিকে সমর্থন দেয়।

নরেন্দ্র মোদির কথাবলার ঢং, উচ্চারণ সব কিছুই সধারণ ভারতীয়দের মতোই। তাঁর চেহারাতে আভিজাত্যের ছোঁয়া নেই। খুবই সাধারণ পোশাক পরেন। তিনি বক্তৃতাতে প্রথমে কোনো সঙ্কট ও এতে জনগণ কী রূপে প্রভাবিত হবে তা বর্ণনা করেন। তারপর দেশের ধনীক শ্রেণি এই অবস্থায় কীভাবে লাভবান হবে তা বোঝান। এরপর সংকট থেকে উত্তরনে তিনি ও তার সরকার কি করেছেন তা বলেন। এর পর জনগনকে নিজ স্বার্থে কী করতে হবে তা কৌশলে আরোপ করেন। তাঁর বক্তৃতার ঢং হলো, ‘প্রথম প্রথম আপনাদের কষ্ট হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে আপনাদের সহ্যও করতে হবে।‘ এবং এর মঝেই তিনি জনগণের নীপিড়ন ও দুঃখের ঘটনাগুলো মানুষের মনোযোগ ও আবেগকে প্রভাবিত করেন। তিনি যে বাকপটু আর ১০ জন বিখ্যাত নেতার মতোই মানুষকে প্রভাবিত করতে পেরেছেন তা সবাই মেনে নেবে।

নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ইতিহাস যতটা না রোমাঞ্চকর তার থেকে বেশি সরকার বিরোধী। ১৯৭১ সালের শেষে মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যোগ দেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন। তখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নরেন্দ্র মোদি গ্রেপ্তারি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করেন। গোপনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পুস্তিকা বিতরণ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে জরুরিকালীন অবস্থা আন্দোলনে সামিল হন। এই সময় তিনি গুজরাট লোকসংঘর্ষ সমিতি নামক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন তিনি গুজরাটে বিভিন্ন আন্দোলনকারীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতেন। এই সময় তিনি গুজরাটি ভাষায় ‘সংঘর্ষ্ মা গুজরাট’ (গুজরাটের সংঘর্ষ) নামে একটি বই লেখেন যেখানে তিনি এই সময়ে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ১৯৮৫সালে নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।

ভারতীয় জনতা পার্টি একটি কট্টরপন্থী হিন্দুত্ত্ববাদী রাজনৈতিক দল। ২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান। ২০০২ তে হিন্দু তীর্থ যাত্রী বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন লেগে ৬০ জন নিহত হয়য়। এই ঘটনায় গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায়। গোধরা অগ্নিকান্ডে মৃত করসেবকদের দেহ আমেদাবাদ নিয়ে যাওয়ার মোদির নির্দেশকে দাঙ্গায় উস্কানি দেয় মোদি সরকার। পরে শহরে কার্ফু জারী করা হয়য় এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধর্মীয় সহিংসতায় মোদি সরকারকে বারবারই পক্ষপাতিত্ত্বমুলক আচরণ করতে দেখা যায়।

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার গোড়া হিন্দুত্ববাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে। গোঁড়া হিন্দুত্ত্ববাদী সংগঠন গুলোও মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। এতে ভারতে বসবাসকারী মুসলমান অধিবাসীরা নিপীড়নের শিকার হয়েছে বার বার। দেশটির একাধিক স্টেটে গরু সহ বিভিন্ন গবাদি পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়। কোরবানি ঈদে দেশটির মুসলমান অধিবাসিদের পশু কোরবানির মাধ্যমে তাদের ধর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া হয়। কোরবানিকে কেন্দ্রকরে মুসল্লিদের উপর হামালাও চালনো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও মোদির অবস্থান স্পষ্ট নয়। এক মাস আগেই ভারত সফরে এসেছিলেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়ানহু। এই সফরে মোদির ও নেতানিয়ানহুর বন্ধুত্ত্বই বিশ্ববাসী দেখল। আবার ফিলিস্তিন সফরকালে মোদি বললেন ভারত ফিলিস্তিনকে দ্রুত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতকে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবতীর্ণ হতে দেখা গিয়েছে। ভারত পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনাকে দেশ দুটির এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সাথেও ভারত যে সুপ্রতিবেশির মত আচরণ করছে তা নয়। ট্রাঞ্জিট সহ বিভিন্ন সুবিধা তারা নিচ্ছে। কিন্তু এখনো তিস্তার পানি দিতে তারা রাজি নয়। ভারতে মোদি সরকার বিশ্ব রাজনীতিতে বার বার মন্তব্য করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোকে গুলি করার রহস্য উন্মোচন হচ্ছে না

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিৎসোকে হত্যাচেষ্টার ঘটনা মধ্য ইউরোপের দেশটিতে আলোড়ন তৈরি করেছে। চলছে ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ।

প্রধানমন্ত্রী ফিৎসোকে গুলি করার ঘটনায় যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার নাম এখনো প্রকাশ করেনি স্লোভাকিয়া সরকার। তবে দেশটির গণমাধ্যমে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ৭১ বছর বয়সী জুরাজ সিন্টুলা হিসেবে।

স্লোভাকিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর লেভিসের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ব্লকে থাকতেন জুরাজ সিন্টুলা। ওই ব্লকের অন্যান্য বাসিন্দার মতো মাইল লুডোভিটও সিন্টুলাকে একজন আস্থাভাজন প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে দেখতেন। ৪০ বছরের বেশি সময় তাঁরা পাশাপাশি বসবাস করছেন। লুডোভিট কখনো কল্পনাও করতে পারেননি যে ৭১ বছর বয়সী সাবেক নিরাপত্তারক্ষী কবি সিন্টুলা আধুনিক স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক হামলার জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তি হবেন।

লুডোভিট একা নন; বরং স্লোভাকিয়ার বড় অংশের মতো পুরো লেভিসবাসী বৃহস্পতিবার এই হামলার কারণ বোঝার চেষ্টা করে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না।

হামলাকারী কেন হামলা করলেন, সেই রহস্য স্পষ্ট না হলেও এমন সময়ে হামলাটি হয়েছে, যখন স্লোভাকিয়ার সমাজে বিভক্তি বাড়ছে।

লুডোভিট জানান, মাঝেমধ্যে সিন্টুলার সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতেন তিনি। তবে কখনো তাঁর শক্ত রাজনৈতিক মত রয়েছে বলে তাঁর মনে হয়নি। তবে ফিৎসো সরকারের আমলে বাক্স্বাধীনতার ওপর ক্রমেই আক্রমণ বাড়তে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, একটিনিঃসঙ্গ নেকড়ে, যে সম্প্রতি কট্টরপন্থী হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর’, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, সিন্টুলা স্থির নন, তাঁর মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান কাজ করে। ফিৎসোর সমালোচক সহিংসতার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। আবার মাঝেমধ্যেঅতি জাতীয়তাবাদী বয়ানেরসঙ্গেও তাঁকে একাত্ম হতে দেখা গেছে।

এক বছর পর ২০১৬ সালে সিন্টুলাকেস্লোভাক কন্সক্রিপ্টনামের রুশপন্থী একটি আধা সামরিক সংস্থার সভায় দেখা যায়। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে তিনিদেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষার জন্যগোষ্ঠীটির প্রশংসা করেন।

ফৌজদারি অপরাধবিষয়ক আইনের সংশোধনে ফিৎসো সরকারের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় এক বিক্ষোভে সিন্টুলাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। সংশোধনীতে দুর্নীতি অর্থনৈতিক অপরাধের শাস্তি কমানোর প্রস্তাব করা হয়। কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয় ফিৎসো সরকারের বিরুদ্ধে স্লোভাকিয়ায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা এই সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করবে।

গত কয়েক বছরে স্লোভাকিয়ার রাজনৈতিক পরিমণ্ডল ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থী এবং ফিৎসো নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর বিভক্তি আরও তীব্র হয়েছে। সমালোচকেরা বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফিৎসো তাঁর সমর্থকেরা ভুয়া তথ্য এবং প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী   ফিৎসো   উন্মোচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, নিহত ৮

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে যাত্রীবাহী এক বাসে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কীভাবে বাসটিতে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  

জানা গেছে, শুক্রবার রাত দেড়টা দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সময় বাসে ছিলেন ৬০ জন। তাদের বেশিরভাগই তীর্থযাত্রী। মৃতদের মধ্যে ৬ জন নারী রয়েছেন। এরই মধ্যে এই ঘটনার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলোতে দেখা গেছে, একটি ফ্লাইওভারের ওপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটি।

একজন জানিয়েছেন, বাসটির পিছনে একটি বাইক আ আসেন। পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দমকলের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। আগুন নিভলে দেখা যায় বাসটির আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কীভাবে বাসটিতে আগুন লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


ভারত   বাস   আগুন   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিন-সির ছবি নিয়ে হোয়াইট হাউসের কৌতুক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি চীন সফরে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বেইজিং সফরে থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একে অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। এটুকু ছাড়া চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কে বিস্ময়কর কোনো অগ্রগতি দেখেনি বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সদর দফতর হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'একে অন্যকে আলিঙ্গন? ভালো, এটা তাদের জন্য চমৎকার।' যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিপক্ষের আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় একটি ছবি দেখিয়ে এর তাৎপর্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কিরবি এ কথা বলেন।

কিরবি কৌতুক করে আরও বলেন, শারীরিক ভালোবাসা প্রকাশ নিয়ে কথা বলতে তিনি স্বচ্ছন্দ নন। তারা কেন একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা ভালো মনে করেছেন, সেটা নিয়ে তাদের কথা বলাই ভালো হবে।

যুক্তরাষ্ট্র বারবারই চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে দেশটির।

কিরবি বলেন, পুতিনের সফরে এ ধরনের সম্পর্কে কোনও অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছে না যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সশস্ত্র বাহিনীকে শিগগিরই শি জিনপিং সহায়তা করতে চান বলেও মনে করে না ওয়াশিংটন।

কিরবি আরও বলেন, এই বৈঠকে আমাদের বিস্মিত হওয়ার মতো খুব বেশি কিছু ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি না।


ভ্লাদিমির পুতিন   সি চিন পিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা। 

শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, 'আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।'  

ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র দাবি করেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনেও সফল হয়েছে তারা; কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।

প্রায় দু'সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।  

ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।'

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। 


গাজা   যুদ্ধ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার, খুশি নন ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে।

ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক। তারা নোভা মিউজিক উৎসবে নিহত হয়েছিলেন এবং হামাস লাশগুলো গাজায় নিয়ে গিয়েছিল বলে ইসরায়েল দাবি করছে।

শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ওই তিন ব্যক্তির লাশ সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইতের অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জীবিত হোক বা মৃত হোক, গাজা থেকে সকল জিম্মিকে মুক্ত করে আনব।

গত সপ্তাহে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বন্দী নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। গ্রুপটি জানায়, এক মাস আগে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ওই ক্ষত থেকেই তিনি মারা গেছেন।

জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর ঘরোয়া চাপ বাড়ার মধ্যে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আরও কিছু করার জন্য তারা নেতানিয়াহুর প্রতি দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।

এদিকে শুক্রবার জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, তিন লাশ উদ্ধার নিয়ে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তাতে জিম্মিদের পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইসরায়েল সরকার নিষিদ্ধ করায় আল জাজিরাকে এখন বাইরে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গঠিত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দি ব্রিং দেম হোম ক্যাম্পেইন বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কিছু করছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। সেসময় নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনও ছিল। তখন আরো ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।


জিম্মি   মরদেহ   উদ্ধার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন