ছয় দিন ধরে 'নিখোঁজ' ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা আবু আসিফ আহমেদ ভোটের পরদিন ঢাকায় তার বসুন্ধরার বাসায় ফিরে এসেছেন বলে খবর দিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন জানান, আসিফের নিখোঁজের বিষয়ে আশুগঞ্জ থানায় করা জিডির তদন্ত চলছিল। তদন্তের ফাঁকে বৃহস্পতিবার (২ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তার স্ত্রী মেহেরুন নিছার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আশুগঞ্জ থানার ওসিকে জানান, তিনি স্বামীর খোঁজ পেয়েছেন। তিনিও ঢাকায় আছেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে রওনা হয়েছেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তিনি আসিফের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেহেরুন নিছা তাকে বলেছেন, তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে কথা বলবেন। তবে এতোদিন আসিপ কোথায় ছিল, তা ব্রাহ্মণবাড়িয়োতে গিয়ে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিছা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী না থাকার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আসিফ। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন; উপজেলা পরিষদেরও সাবেক চেয়ারম্যান তিনি। ভোটে দাঁড়ানোয় তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
বুধবার এ আসনে দিনভর ভোট শেষে রাতে বিএনপির পদত্যাগী নেতা আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পী এবং মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এ ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কলারছড়ি প্রতীকে উকিল আব্দুস সাত্তার পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাষানী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন নয় হাজার ৬৩৫ ভোট।জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৮১৮ ভোট। আর ‘নিখোঁজ’ আবু আসিফ আহমেদ মোটরগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ২৬৯ ভোট।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ 'নিখোঁজ' আছেন বলে দাবি করে আসছিল তার পরিবার। আসিফের সন্ধান ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুন নিছা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন।
গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত থেকে আসিফ নিখোঁজ রয়েছেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি করে হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা যাওয়া করছে।
ভোটোর আগে আসিফ নিখোঁজ হওয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই তাকে উদ্ধারের জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আসিফের আত্মগোপনের থাকা বিষয়ে তার স্ত্রী এবং গাড়ির ড্রাইভারের একটি অডিও কথপোকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আবু আসিফ আহমেদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।