কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, ‘ধান উৎপাদনে যান্ত্রিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ধান আমাদের প্রধান খাদ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা ধান বা চালের নিরাপত্তাকেই বুঝি। তাই ধান উৎপাদনে ব্রি কৃষিযন্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি ) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চলমান “যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (এসএফএমআরএ)”- শীর্ষক প্রকল্পের মধ্যবর্তী কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএফএমআরএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত চারটি কৃষিযন্ত্র যেমন- ব্রি বীজ বপন যন্ত্র, ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টার, ব্রি সোলার লাইট ট্র্যাপ ও ব্রি দড়ি পাকানোর যন্ত্র উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রি ম্যানুয়াল রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, পাওয়ার উইডারসহ আরো প্রায় ৮টি যন্ত্রপাতি তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত ও উন্নয়নকৃত যন্ত্রপাতির কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসএফএমআরএ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দেশের সাতটি বিভাগের ১২টি জেলার ১২টি উপজেলায় এ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এবং এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ০১ জুলাই ২০১৯ হতে ৩০ জুন ২০২৪।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, পৃথিবীর প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে ব্যবহারিক দিককে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করতে হবে। আমদানী নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজের যে বিশাল বাজার তা নিজেরাই ব্যবহার করতে হবে। তাহলে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক, দেশীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী কৃষক সকলেই লাভবান হবেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এসএফএমআরএ প্রকল্পের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রকল্পের সুফল কৃষকের দৌড়গোড়ায় পৌছে দিতে পারলে আগামীতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। এসএফএমআরএ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো টেকসই ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে লাগসই কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ।
গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ ভবনে এ কর্মশালাটির আয়োজন করে ব্রির খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগ। ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বডুয়া, ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানমসহ ব্রির সকল বিভাগীয় প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীগণ।
কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব ওয়াহিদা আক্তার ব্রি কর্মশালা
মন্তব্য করুন
আইন,
বিচার ও সংসদ বিষয়ক
মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংসদীয়
গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী যখন
মনে করবেন নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি একটি ছোট
সরকার করতে চান, এই
সময়ে তিনি পদত্যাগ করবেন
এবং তার পরে তিনি
তার সরকার গঠন করবেন।
তিনি বলেন,
আমার মনে হয় এ ব্যাপারে
কোনো অস্পষ্টতা নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী
ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছেন নির্বাচনকালীন
সরকারের কথা। নির্বাচনকালীন সরকারের
কারা কারা থাকতে পারেন
এই রূপরেখা তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
আজ রোববার
(৪ জুন) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হল রুমে সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা
বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। উপস্থিত
ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার।
অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান
মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যক্তিকে শানিত করে। প্রশিক্ষণ অনেক
বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং
ভুলে যাওয়া অনেক বেশি মনে
করিয়ে দেয়। পৃথিবীর সব
দেশেই দুর্নীতি আছে, তবে মাত্রায়
পার্থক্য আছে।
তিনি
বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য যেহেতু অভিন্ন সে কারণে প্রশিক্ষণ
ভালো ভূমিকা রাখবে। আমাদের প্রলোভন থেকে মুক্ত থাকতে
হবে। নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়েও পারিবারিক সামাজিক জীবনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখে যেতে হবে।
দুর্নীতির মামলা প্রমাণ করে চার্জশিট দেওয়া
অনেক কঠিন। তারপরেও আমাদের কাজ করে যেতে
হবে একসাথে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে এরশাদুল (২৪) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ওই আসামিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাতে মৃত ঘোষণা করেন।
কুড়িগ্রাম
জেলা কারাগারের জেলার আবু ছায়েম হাজতি
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা
যায়, গত বৃহস্পতিবার (১
জুন) মাদক পরিবহনের সন্দেহে
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ তাকে
আটক করে। নিহতের পরিবারের
দাবি, ওইদিন আটকের পর পুলিশ এরশাদের
কাছে কিছু পায় নি।
পুলিশ তাকে ‘শারীরিক নির্যাতন’ করেছে। এ কারণে কারাগারে
থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এরশাদুল
(২৪) ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত
আঙ্গারিয়া গ্রামের মৃত শওকত আলীর
ছেলে। এলাকায় তিনি চিহ্নিত মাদক
ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
তার নামে একাধিক
মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভূরুঙ্গামারী
থানা পুলিশ।
নিহতের
বড় বোন শিউলি বেগম
অভিযোগ করে বলেন, নতুন
বউ নিয়ে সীমান্ত এলাকা
দেখতে গেছেন তারা। একটি অটোরিকশায় পরিবারের
অনেক ছিলেন। পথে পুলিশ তাদের
অটোরিকশার গতিরোধ করে তল্লাশি চালায়।
এ সময় তাদের কাছে
কিছু না পাওয়ায় তাদের
সাথে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়।
পুলিশ এসে তাকে ধরে
পেটাতে পেটাতে নিয়ে গেছে। আমার
ভাইয়ের কাছে কোনও কিছু
পায় নাই। থানায় নিয়ে
গিয়ে আবার পিটিয়েছে। আমার
ভাই তর্ক করেছে বলে
তার জীবন নষ্ট করে
দিতে চেয়েছে। আমার ভাইকে টর্চার
করার কারণে সে মারা গেছে।
আমরা এর বিচার চাই।’
এরশাদের
স্ত্রী আদুরি বেগম বলেন, ‘আমার
স্বামীর সাথে অন্যায় হইছে।
আমি এর বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল
ইসলাম বলেন, ‘এরশাদকে আটকের সময় সে পুলিশের
সাথে ধস্তাধস্তি করে পড়ে গিয়ে
আঘাত পায়। এজন্য তাকে
হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া
হয়। পরে তাকে ১৫১
ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে কোন প্রকার
নির্যাতন করা হয়নি।
কুড়িগ্রাম
জেলা কারাগারের জেলার আবু সায়েম জানান,
ওই আসামিকে হাসপাতালের কাগজসহ (চিকিৎসাপত্র) কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কাগজে ফিজিক্যাল এ্যাসল্ট লেখা ছিল। আমরা
তাকে কারা হাসপাতালে রেখেছিলাম।
শনিবার দুপুরে সে অসুস্থ্য হয়ে
পড়লে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল
হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
মন্তব্য করুন
নীলফামারীর
চিলাহাটি থেকে রাজধানী ঢাকার
পথে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন
‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধন করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার
সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নতুন এই
আন্তঃনগর টেনের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো.
হুমায়ুন কবির ছাড়াও সংশ্লিষ্ট
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নীলফামারী প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ
সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃনগর
‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় চিলাহাটি
থেকে ছেড়ে বিকাল ৩টা
১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছবে। আবার সোয়া ৪টায়
কমলাপুর থেকে ছেড়ে রাত
১টায় চিলাহাটি পৌঁছবে। আর এ ট্রেনের
সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা
হয়েছে শনিবার। অর্থাৎ শনিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয়
দিন ট্রেনটি এ রুটে চলাচল
করবে।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁও থেকে মো. সেন্টু
মিয়া (৩২) নামের এক
চিহ্নিত পরিবহন ডাকাত ও চাঁদাবাজকে আটক
করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটককৃত
মো. সেন্টু মিয়া সোনারগাঁয়ের সোনাখালি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার
(৩ জুন) রাতে উপজেলার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরের নয়াবাড়ী এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গে চলাচলকারী
একটি পরিবহন বাস থেকে ভয়ভীতি
দেখিয়ে জোরপূর্বক ক্যাশ লুটকালে তাকে আটক করা
হয়। এসময় তার নিকট
থেকে লুটকরা ৫ হাজার ৫০০
টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো.
ইব্রাহিম জানান, সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে আসছিল। উত্তরবঙ্গের
যানবাহনগুলো থেকে ক্যাশবাক্স লুট
করা তার প্রধান টার্গেট
ছিল। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের
বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা
রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ
কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মোবাইল ফোন
কানের দিয়ে রেললাইনে হাঁটা এবং রেলগেট পড়ার পরও গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সতর্ক থাকার
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এর ফলে অল্প খরচে মানুষ যাতায়াত করতে
পারে। আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারে।
রোববার (৪জুন)
সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,
রেল দুর্ঘটনা ঘটে, ভারতে কী ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, আপনারা দেখেছেন। এরকম দুর্ঘটনা
সচরাচর চোখে দেখা যায় না। একসঙ্গে তিনটি রেল দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ২৮৮ জন মারা গেছেন।
আমি তাদের ও পরিবারের প্রতি শোক জানাচ্ছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে
চিঠি দিয়ে শোক বার্তা জানিয়েছি। এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দুজন বাংলাদেশিও আহত
আছেন। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা সত্যি চিন্তার বিষয়।
মন্তব্য করুন