ইনসাইড ইকোনমি

‘আইএমএফের ঋণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না, বরং টার্নিং পয়েন্ট’

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ পাচ্ছে, তা সংকট মোকাবিলায় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে অর্থনীতিবদদের একটি সম্মেলনে মত প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঋণ অনুমোদনের পর বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকেও সহায়তা আসবে বলে ধারণা তাদের।

এতে অংশ নিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, আইএমএফের ঋণ দেয়ায় অন্য দাতা সংস্থাগুলোও এখন এগিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ যে শর্তগুলো দিয়েছে, সেগুলোও দেশের জন্য ভালো হবে বলেই বিশ্বাস তার।

অর্থনৈতিক এই সংকট থেকে বের হয়ে আসতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে সরকার যে ঋণ নিচ্ছে, সেটি দেশের জন্য ইতিবাচক হবে বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আইএমএফ আমাদের আর্থিক খাতে যেসব সংস্কার প্রস্তাব করেছে সেগুলো যৌক্তিক। তাদের (আইএমএফ) পরামর্শে আর্থিক খাতে ধারাবাহিক সংস্কার করা হচ্ছে। এসব প্রস্তাব আমরা ইতিবাচকভাবে নেওয়ায় এখন অন্যান্য দাতা সংস্থাও ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে।”

আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি জমা পড়ার দুই দিন পর শনিবার ঢাকায় মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়া উইথ এ স্পেশিয়াল এম্ফেসিস অন ইকোনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ষষ্ঠ বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বৈশ্বিক সংকটে দেশের অর্থনীতিতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে তা মোকাবেলা ও উত্তরণের উপায় নিয়েই সানেমের এবারের সম্মেলনে আলোচনা করেন বক্তারা। সম্মেলনের প্রথম সেশনে সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, “আইএমএফের ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না, বরং টার্নিং পয়েন্ট। এই ঋণ পাওয়ার ফলে এখন অন্যান্য দাতা সংস্থা বাংলাদেশের ব্যাপারে আস্থা পাবে। তাদের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া সহজ হবে।”

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে অর্থনীতির যে চাপ, তার নেপথ্যে বৈশ্বিক পরিস্থিতির চেয়ে অভ্যন্তরীণ দায়ই বেশি দেখছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অর্থনৈতিক সংকট যতটা না বৈশ্বিক সৃষ্টি, তার চেয়ে বেশি অভ্যন্তরীণ।”

সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দায়ী করা হলেও এই প্রথম অন্য একটি কারণ তুলে ধরলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তবে এই ‘অভ্যন্তরীণ সংকটের’ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তার বক্তব্যে তিনি দেননি।

সম্মেলনে বিশ্বের অন্যান্য অনেক বেশের মতো গত একটি বছর ভীষণ কঠিন যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্যও। বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যতে আরও বেশি প্রভাব, ডলার সংকট, রিজার্ভের ক্রমাগত পতন, প্রবাসী আয়ে ভাটা, ইত্যাদির কারণে গত এক যুগের মধ্যে অর্থনীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনীতি ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে বলে যে সমালোচনা করা হয়, সেটিও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই আছে, তবে সংসদে অনেক সদস্যই ব্যবসায়ী।”

গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। দুই দিন পরেই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার জমা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। এই ঋণ নিতে সংস্থাটির ৩০টি শর্ত মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এর অন্যতম হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানো। তাই এক মাসের মধ্যে দুইবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, আবাসিক ও পরিবহন ছাড়া অন্য খাতের গ্যাসের দাম আড়াই গুণ করে দেয়ার পেছনে এই শর্তই দায়ী বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। 

তবে আইএমএফ মনে করে, ভর্তুকি কমিয়ে দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য সামনের সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক হবে। এটি সামাজিক ও উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য আরও অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করবে। আইএমএফের অন্য শর্তের মধ্যে আছে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো। সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সরকার একমত পোষণ করেছে।

দেশের অর্থনীতি ঠিক করতে চারটি বিষয়ের উপর জোর দিতে বলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, “সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেসব আঘাত এসেছে সেগুলোর কোনটিতে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তা খোঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে এসব আঘাতের প্রভাব কেমন, তার উপর জোর দিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, দুই দিনের এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দেড়শ অর্থনীতিবিদ অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ২৩টি অধিবেশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অর্থনীতি-গবেষকরা ৮০টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।


রাজনীতি   রাজনীতিবিদ   সংসদ সদস্য   ব্যবসায়ী   সানেম   অর্থনীতিবিদ   বৈশ্বিক পরিস্থিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

যেসব সেবা পেতে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে এমন করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও বা বার্ষিক আয় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে হলেও আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে ন্যূনতম করের পরিমাণ দুই হাজার টাকা হবে।

সে ক্ষেত্রে ৪৪ ধরনের সেবা নিতে হলে করদাতাকে দুই হাজার টাকা ন্যূনতম আয়কর দিয়ে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এখন পর্যন্ত এই ৩৮ ধরণের সেবা নিতে হলে আয়কর রিটার্ন রসিদ জমা দিতে হয়।

বর্তমানে যে ৩৮ ধরনের সেবা নেওয়ার জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়, সেগুলো হলো:

১. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের ঋণের আবেদন করলে;

২. কোম্পানির পরিচালক বা উদ্যোক্তা পরিচালক হলে;

৩. আমদানি ও রপ্তানি নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্র পেতে;

৪. সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অধীনে ট্রেড লাইসেন্স লাভ বা নবায়ন;

৫. সমবায় সমিতির নিবন্ধন লাভের ক্ষেত্রে;

৬. সাধারণ বীমা কোম্পানির সার্ভেয়ার হিসেবে লাইসেন্স পেতে বা তালিকাভুক্ত হতে;

৭. নিবন্ধন, স্থানান্তর চুক্তি, বায়নানামা, আমমোক্তারনামা, জমি বিক্রয়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা সদরে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, যেখানে চুক্তি মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি;

৮. ক্রেডিট কার্ড নেওয়া বা ধারাবাহিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে (শিক্ষার্থীদের জন্য দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড়);

৯. চিকিৎসক, ডেন্টিস্ট, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার বা অন্যান্য সমজাতীয় পেশাদারদের পেশাদার সংগঠনের সদস্যপদ লাভ বা টিকিয়ে রাখতে;

১০. মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইনের অধীনে লাইসেন্স লাভ ও টিকিয়ে রাখতে;

১১. বাণিজ্য ও পেশাদার সংগঠনের সদস্যপদ লাভ ও টিকিয়ে রাখতে;

১২. ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স পাওয়া ও টিকিয়ে রাখা, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ক্লিয়ারেন্স পেতে;

১৩. যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় গ্যাসের আবাসিক সংযোগ;

১৪. ভাড়ায় চালিত লঞ্চ, স্টিমার, ফিশিং ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, ডাম্ব বার্জ ইত্যাদিসহ যেকোনো জলযানের জরিপ সার্টিফিকেট লাভ বা তার মেয়াদ অব্যাহত রাখার চালিয়ে যাওয়া;

১৫. জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্বারা ইট তৈরির অনুমতি প্রাপ্তি বা অনুমতি নবায়ন করা, যেখানে যেটা প্রযোজ্য;

১৬. সিটি করপোরেশন, জেলা সদর দপ্তর ও পৌরসভা এলাকায় আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের ইংরেজি সংস্করণের অধীনে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে সন্তান বা পোষ্যের ভর্তির ক্ষেত্রে;

১৭. সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ পাওয়া;

১৮. কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাওয়া ও অব্যাহত রাখা;

১৯. অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া বা অব্যাহত রাখা;

২০. আমদানির উদ্দেশ্যে একটি ঋণপত্র খোলা;

২১. পাঁচ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের পোস্টাল সঞ্চয়ী হিসাব খোলা;

২২. ১০ লাখ টাকার বেশি ক্রেডিট ব্যাল্যান্স যেকোনো ধরনের ব্যাংক হিসাব খোলা ও অব্যাহত রাখা;

২৩. পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়;

২৪. যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যেমন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন বা জাতীয় সংসদ;

২৫. মোটর গাড়ি, স্থান, বাসস্থান বা অন্য কোনো সম্পদ দিয়ে অভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা;

২৬. ব্যবস্থাপক বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিযুক্ত বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক পদে নিযুক্ত যেকোনো ব্যক্তির ‘বেতন’ হিসেবে অর্থ গ্রহণ;

২৭. বছরের যেকোনো সময় ১৬ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল বেতন গ্রহণ করলে, সরকারি বা কর্তৃপক্ষের, করপোরেশনের, আইন দ্বারা সৃষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য;

২৮. মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর বা মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টের রিচার্জের ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো কমিশন, ফি বা অন্য ন্যূনতম প্রাপ্তির ক্ষেত্রে;

২৯. কোনো উপদেষ্টা বা পরামর্শ পরিষেবা, ক্যাটারিং পরিষেবা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পরিষেবা, জনবল সরবরাহ বা নিরাপত্তা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোনো সংস্থার কাছ থেকে কোনো নিবাসীর অর্থ গ্রহণ;

৩০. মাসিক পেমেন্ট অর্ডারের (এমপিও) অধীনে সরকারের কাছ থেকে কোনো পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা, যদি তার পরিমাণ প্রতি মাসে ১৬ হাজার টাকার বেশি হয়;

৩১. বিমা কোম্পানির এজেন্সি প্রত্যয়নপত্রের নিবন্ধন বা নবায়ন;

৩২. দুই-তিন চাকার গাড়ি ব্যতীত যেকোনো ধরনের মোটর গাড়ির ফিটনেস নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা নবায়নের ক্ষেত্রে;

৩৩. এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে নিবন্ধিত বেসরকারি সংস্থাকে বা মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির লাইসেন্সধারী ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থার বিদেশি অনুদান দেওয়া;

৩৪. বাংলাদেশের ভোক্তাদের কাছে যেকোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করা;

৩৫. কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) ও সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ (১৮৬০ সালের আইন নং XXI) এর অধীনে নিবন্ধিত ক্লাবের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে;

৩৬. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে একজন নির্বাহীর দরপত্র নথি জমা দেওয়া;

৩৭. আমদানি বা রপ্তানির জন্য বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া;

৩৮. রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ বা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় যেকোনো ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা জমা দেওয়া।

আয়কর আইন অনুযায়ী আগে থেকে এই ৩৮ ধরণের সেবা নিতে আয়কর রিটার্নের নমুনা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রদর্শন করা প্রয়োজন ছিল। এক্ষেত্রে ব্যক্তির বাৎসরিক আয় করমুক্ত সীমার নীচে হলে কোনো কর দিতে হতো না। প্রস্তাবিত বাজেটে শূন্য (০) আয়কর হলেও তাকে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

শ্রমিক কল্যাণবান্ধব চা শিল্প গড়ে তুলতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

শ্রমিক কল্যাণবান্ধব চা শিল্প গড়ে তোলার জন্য চা বাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার (৩ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ টি বোর্ড আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহবান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর ঢাকায় চা দিবসের অনুষ্ঠান করলেও এবছর চা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট চা বাগান মালিক-শ্রমিকসহ প্রত্যক্ষ অংশীজনদের নিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।’

এ সময় দেশে প্রথমবারের মত চালুকৃত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিতরণ করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়) (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান (৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি: (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি: (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)- উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রেখে চা পাতা উত্তোলন, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

চা উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব চা বাগান রয়েছে সেগুলোতে আগের তুলনায় চা উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এছাড়া, দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে পঞ্চগড়ে মোট উৎপাদনের প্রায় ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। যে কারণে দেশে দিন দিন চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে ৯০-৯৫ মিলিয়ন কেজি চায়ের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা দেশে উৎপাদিত চায়ের মাধ্যমেই পূরণ করা যাচ্ছে। এ বছর দেশে ১০০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দাম শুধু বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা নয়। সারাবিশ্বে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশ থেকে আমরা ভালো আছি। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার সাবসিডি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এক কোটি পরিবারের নিকট নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।


সংবাদ সম্মেলন   বাণিজ্যমন্ত্রী   টিপু মুনশি   চা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এনআইডি নয়, টিআইএনের বিপরীতে দিতে হবে কর

প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে টিআইএনের বিপরীতে ২ হাজার টাকা ন্যূনতম কর আদায়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘অংশীদারিত্বমূলক অংশগ্রহণ দেশের জনসাধারণের মাঝে সঞ্চারণের লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে রয়েছে, অথচ সরকার হতে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে- এমন সব করদাতার ন্যূনতম কর ২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।’ কিন্তু একটি বিশেষ গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য  গুজব ছড়ানো হচ্ছে এমনভাবে যে ১৭ কোটি মানুষকেই কর দিতে হবে বা যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তাদের কর দিতে হবে। যা অসত্য এবং এটি সম্পূর্ণ একটি গুজব।

কারা ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর দেবে এ বিষয়টি গতকাল বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘যাদের ক্ষেত্রে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক, সেই শ্রেণির মানুষদের জন্য এই ন্যূনতম কর বোঝা হওয়ার কথা নয়।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি আগে রিকোয়েস্ট করব আপনাদের, কাদের টিআইএন থাকতে হয়, টিআইএন বাধ্যতামূলক কাদের, সিই লিস্টটা যদি সামনে নেন, তাহলে সেখানে দেখবেন টিআইএন বাধ্যতামূলক আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ট্রেড লাইসেন্সধারীর জন্য, কমিশন এজেন্সির জন্য। টিআইএন বাধ্যতামূলক পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য। সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি, গাড়ির জন্য। আপনি যেটা বললেন, সাধারণ গরিব মানুষের কোনো অসুবিধা হবে কিনা, সাধারণ গরিব মানুষেরতো টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়।’

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমি যে ক্যাটাগরিগুলো বললাম, আপনারা লিস্টে দেখবেন, এই ধরনের ক্যাটাগরিতে যে মানুষগুলো আছে, তাদের জন্য দুই হাজার টাকা বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হওয়া, এটি একটি গর্বের বিষয় হওয়ার কথা। বোঝা মনে করার কথা নয়।’ 

গত অর্থবছরের বাজেটে সরকারি ৩৮টি সেবা পেতে হলে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। সেবাগুলো হলো–

পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কিনতে হলে;

ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার আবেদন করলে;

ব্যাংক জমার সুদ আয় থেকে উৎস কর কর্তনে টিআইএন সনদ থাকলে ১০ শতাংশ কাটা হয়ে থাকে। না থাকলে ১৫ শতাংশ কাটা হয়। এখন থেকে টিআইএনের পরিবর্ততে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে;

সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের পৌর এলাকা অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১০ লাখ টাকা বেশি মূল্যের জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি, বিক্রি, দলিল হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হলে;

যে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে;

গাড়ি ক্রয়, মালিকানা পরিবর্তন: দুই বা তিন চাকা ছাড়া যেকোনো মোটরগাড়ি নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন করতে;

সিটি করপোরেশন বা জেলা সদর, পৌরসভায় সন্তান বা পোষ্যদের আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের আওতায় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের আওতায় ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি করাতে হলে;

দেশের যেকোনো স্থানে বাণিজ্যিক বা শিল্প-কারখানায় গ্যাসের সংযোগ নিতে হলে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় বাসা বাড়ির গ্যাসের সংযোগ নিতে বা আগের সংযোগ বজায় রাখতে হলে;

সিটি করপোরেশন বা সেনানিবাস এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে;

জমি বা বাড়ি ভাড়া দিয়ে অনেকে আয় করে থাকেন। আয় যাই হোক না কেন, এই ধরনের আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সরকার বা সরকারি কোনো সংস্থা, করপোরেশন থেকে বেতন হিসাবে মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা বা বেশি হলে;

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নেওয়ার সময়;

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি অংশ বা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আয় মাসে ১৬ হাজার টাকার বেশি হলে;

ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী শহরে ভবন নির্মাণের অনুমোদন চাইলে;

জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলায় কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে;

পেনশন ফান্ড, অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি ফান্ড, স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড, অনুমোদিত সুপারএন্যুয়েশন ফান্ড এবং শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ছাড়া অন্যান্য ফান্ডের রিটার্ন দাখিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে হলে;

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে হলে;

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা ইলেকট্রনিক উপায়ে অর্থ হস্তান্তরে কমিশন, ফি জাতীয় অর্থ পেতে;

সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় কোনো সমিতি বা ক্লাব গঠিত হলে বা এ ধরনের ক্লাবের সদস্য হলে;

ডাক্তার, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি ইত্যাদি পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য হলে বা সদস্য হতে চাইলে;

পরামর্শক, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল বা নিরাপত্তা সেবা দিয়ে অর্থ গ্রহণ করতে;

বিবাহ নিবন্ধক বা কাজী হিসেবে লাইসেন্স পেতে চাইলে;

আমদানি-রপ্তানির সনদ পেতে চাইলে;

আমদানির এলসি খুলতে চাইলে;

কোম্পানি পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার পদ পেতে হলে;

ব্যবসা বা বাণিজ্য সংগঠনের বা সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ;

বীমা কোম্পানির এজেন্ট হিসাবে তালিকাভুক্তি বা নবায়ন করতে হলে;

বীমা বা সার্ভেয়ার হিসেবে নিবন্ধন নিতে হলে;

অস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার আবেদন করলে;

ওষুধ ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স থাকলে বা করাতে চাইলে অগ্নিনিরাপত্তা লাইসেন্স,

পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স পেতে চাইলে;

লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলার, কার্গো, বার্জ ইত্যাদি নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেটের জন্য;

ইটভাটার অনুমোদন নিতে হলে পরিবহণ সেবার ব্যবসা করলে;

কোনো কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর বা এজেন্টশিপ চাইলে;

পণ্য সরবরাহের ঠিকাদারি কাজে টেন্ডার জমা দিতে হলে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দিতে হবে;

এনজিও বা মাইক্রো ক্রেডিট সংস্থার জন্য বিদেশি অনুদানের ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

টিআইএন   কর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট করিনি: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বাজেট প্রণয়নের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট প্রণয়ন করিনি।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে সরকার আইএমএফের দেওয়া শর্তের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করেছে— এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের প্রেসক্রিপশনে বাজেট করিনি। তাদের পরামর্শের যেটুকু গ্রহণ করা যায় সেটুকু করবো। সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে যারা কাজ করে সেটি ভালো। তারা শুধু অর্থ দিয়ে সাহায্য করে না, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সংস্কারে সহায়তা করে। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখারও থাকে।’

তিনি বলেন, আমরা এখন বিশ্বের সবার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেউ আলাদাভাবে বসবাস করার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। আপনি যদি আমদানি করেন, তাহলেও কাউকে লাগবে, রফতানি করলেও কাউকে লাগবে।

এসময় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএমএফ   বাজেট   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিটার্ন দাখিলে দিতেই হবে ২ হাজার টাকা: অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৬:৩৬ পিএম, ০১ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন অথচ করযোগ্য আয় নেই- এমন ব্যক্তিদের ওপরও ন্যূনতম কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেছেন। এর আগে দুপুর ৩ টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

এই প্রস্তাব পাস হলে করমুক্ত আয়সীমার নিচে আয় থাকলেও নির্ধারিত সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) ধারীদের রিটার্ন দাখিলে ন্যূনতম ২ হাজার কর দিতে হবে। 

এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।


রিটার্ন দাখিল   আয়কর   অর্থমন্ত্রী   প্রস্তাব  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন