ইনসাইড ইকোনমি

‘আইএমএফের ঋণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না, বরং টার্নিং পয়েন্ট’

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ পাচ্ছে, তা সংকট মোকাবিলায় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে অর্থনীতিবদদের একটি সম্মেলনে মত প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঋণ অনুমোদনের পর বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকেও সহায়তা আসবে বলে ধারণা তাদের।

এতে অংশ নিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, আইএমএফের ঋণ দেয়ায় অন্য দাতা সংস্থাগুলোও এখন এগিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ যে শর্তগুলো দিয়েছে, সেগুলোও দেশের জন্য ভালো হবে বলেই বিশ্বাস তার।

অর্থনৈতিক এই সংকট থেকে বের হয়ে আসতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে সরকার যে ঋণ নিচ্ছে, সেটি দেশের জন্য ইতিবাচক হবে বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আইএমএফ আমাদের আর্থিক খাতে যেসব সংস্কার প্রস্তাব করেছে সেগুলো যৌক্তিক। তাদের (আইএমএফ) পরামর্শে আর্থিক খাতে ধারাবাহিক সংস্কার করা হচ্ছে। এসব প্রস্তাব আমরা ইতিবাচকভাবে নেওয়ায় এখন অন্যান্য দাতা সংস্থাও ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে।”

আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি জমা পড়ার দুই দিন পর শনিবার ঢাকায় মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়া উইথ এ স্পেশিয়াল এম্ফেসিস অন ইকোনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ষষ্ঠ বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বৈশ্বিক সংকটে দেশের অর্থনীতিতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে তা মোকাবেলা ও উত্তরণের উপায় নিয়েই সানেমের এবারের সম্মেলনে আলোচনা করেন বক্তারা। সম্মেলনের প্রথম সেশনে সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, “আইএমএফের ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না, বরং টার্নিং পয়েন্ট। এই ঋণ পাওয়ার ফলে এখন অন্যান্য দাতা সংস্থা বাংলাদেশের ব্যাপারে আস্থা পাবে। তাদের কাছে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া সহজ হবে।”

এদিকে গত কয়েক মাস ধরে অর্থনীতির যে চাপ, তার নেপথ্যে বৈশ্বিক পরিস্থিতির চেয়ে অভ্যন্তরীণ দায়ই বেশি দেখছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অর্থনৈতিক সংকট যতটা না বৈশ্বিক সৃষ্টি, তার চেয়ে বেশি অভ্যন্তরীণ।”

সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দায়ী করা হলেও এই প্রথম অন্য একটি কারণ তুলে ধরলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তবে এই ‘অভ্যন্তরীণ সংকটের’ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তার বক্তব্যে তিনি দেননি।

সম্মেলনে বিশ্বের অন্যান্য অনেক বেশের মতো গত একটি বছর ভীষণ কঠিন যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্যও। বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যতে আরও বেশি প্রভাব, ডলার সংকট, রিজার্ভের ক্রমাগত পতন, প্রবাসী আয়ে ভাটা, ইত্যাদির কারণে গত এক যুগের মধ্যে অর্থনীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনীতি ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে বলে যে সমালোচনা করা হয়, সেটিও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই আছে, তবে সংসদে অনেক সদস্যই ব্যবসায়ী।”

গত ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। দুই দিন পরেই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার জমা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। এই ঋণ নিতে সংস্থাটির ৩০টি শর্ত মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এর অন্যতম হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানো। তাই এক মাসের মধ্যে দুইবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, আবাসিক ও পরিবহন ছাড়া অন্য খাতের গ্যাসের দাম আড়াই গুণ করে দেয়ার পেছনে এই শর্তই দায়ী বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। 

তবে আইএমএফ মনে করে, ভর্তুকি কমিয়ে দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য সামনের সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক হবে। এটি সামাজিক ও উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য আরও অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করবে। আইএমএফের অন্য শর্তের মধ্যে আছে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো। সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সরকার একমত পোষণ করেছে।

দেশের অর্থনীতি ঠিক করতে চারটি বিষয়ের উপর জোর দিতে বলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, “সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেসব আঘাত এসেছে সেগুলোর কোনটিতে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তা খোঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে এসব আঘাতের প্রভাব কেমন, তার উপর জোর দিতে হবে।”

প্রসঙ্গত, দুই দিনের এই সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দেড়শ অর্থনীতিবিদ অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে ২৩টি অধিবেশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অর্থনীতি-গবেষকরা ৮০টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।


রাজনীতি   রাজনীতিবিদ   সংসদ সদস্য   ব্যবসায়ী   সানেম   অর্থনীতিবিদ   বৈশ্বিক পরিস্থিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ আরও কমলো

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, গত ২১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত ১ সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার।

এছাড়া দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই মেথডে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

মূলত, প্রতি মাসে পণ্য কেনা বাবদ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ বর্তমানে শেষ প্রান্তে রয়েছে।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। ইতোমধ্যে বাইরের ছোট দায় পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি অর্থের মজুত হালকা ক্ষয় হয়েছে।

রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কোন দেশের মুদ্রার দাম কত

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য  সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-














মুদ্রা   টাকা   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

একনেকে ৪১ প্রকল্প উঠছে আজ

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ১১টি।

এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি। অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।

নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি) (১ম সংশোধিত)।

এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স, আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয় বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।


একনেক   জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ   দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করে)। এই হিসেবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

রোববার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চ মাসে প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এ বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে ১৮ দশমিক ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পাবে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) আইডিএ।

আইডিএ ঋণের সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সুদহার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। দুটি মিলিয়ে ২ শতাংশ হয়। অউত্তোলিত অর্থায়ন স্থিতির ওপর বছরে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বা কিস্তি অব্যাহতি ৫ বছর। আর পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশ চার হাজার কোটি ডলারের বেশি আইডিএ ঋণ নিয়েছে। বর্তমানে দেশের চলমান প্রকল্পগুলোতে আইডিএ তহবিল রয়েছে ১৬০০ কোটি ডলারের বেশি।

ইআরডি’ প্রকাশিত ‘ডেবট লাইয়াবিলিটিস টু মেজর ডেভলপমেন্ট পার্টনার’ থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বব্যাংকের পরই বাংলাদেশের কাছে বেশি ঋণ পাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ১৩ দশমিক ২৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঋণ দেওয়ার দিক থেকে তিন নম্বরে জাপান, ৯ দশমিক ২১৩ বিলিয়ন ঋণ দিয়েছে দেশটি।

এছাড়া রাশিয়া ৫, চীন ৪ দশমিক ৭৬, ভারত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ৭৪৩ মিলিয়ন, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ৬৬৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। মোট ১০টি উন্নয়ন সহযোগী ৫৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশের কাছ থেকে।

বিশ্বব্যাংক   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন