ময়মনসিংহের ত্রিশালের কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪’র সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪’র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান। র্যাব জানায়, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় র্যাব-১৪’র অধিনায়ক জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাকচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ আলী অন্যান্য সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সাহায্য করতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপারে সহযোগিতার কারণে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা ইউনুছ আলীকে তাদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। রাজাকার ক্যাম্পের টর্চার সেলে নির্যাতনের পর ১৫ আগস্ট সকালে তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন ২০১৫ সালে ময়মনসিংহের আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, গত ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সুলতান মাহমুদ ফকিরসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অপর তিন আসামি সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির ও নুরুল হক ফকির পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার কমান্ডার সুলতান ফকির গ্রেপ্তার র্যাব
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।