বইমেলায়
বোমা হামলার হুমকি দিয়ে জঙ্গি সংগঠনের দেওয়া চিঠির বিষয়ে শঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এ বাহিনী।
পুলিশ বলছে, চিঠিটি সাধারণ কেউ পাঠিয়েছে নাকি অন্য কোনো দল কিংবা এজেন্সি থেকে পাঠিয়েছে তা তদন্ত চলছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বোমা হামলার চিঠি নিয়ে এরই মধ্যে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। জিডির কপি র্যাব ও সিটিটিসির (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) কাছে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে তারা তদন্ত করছে।
জঙ্গি হামলার হুমকি দিয়ে দেওয়া চিঠির বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে রমনা বিভাগের ডিসি বলেন, চিঠির বিষয়টি মাথায় রেখে ছুটির দিনে বইমেলার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ ধরনের চিঠি আগেও আমরা পেয়েছি। তাই এই চিঠির ওপর ভিত্তি করে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, বলেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ।
এদিকে, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আগে থেকে চিঠি দিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর বোমা হামলা চালানোর নজির বাংলাদেশে নেই।
তিনি বলেন, পূর্বে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর বোমা হামলার নজির নেই। তবুও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হলেও কোথা থেকে এবং কীভাবে পাঠানো হয়েছে সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তর ও অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ দুর্নীতি মামলা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিন্টো রোড যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।