ইনসাইড ইকোনমি

কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে ভালোমানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্বর্ণের নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। 

এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। এর ফলে চলতি মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় সোনার দাম কমানো হলো।

অবশ্য তার আগে গত ১৫ জানুয়ারি, ৮ জানুয়ারি এবং গত বছরের ৪ ও ৩০ ডিসেম্বর এবং ১৩ ও ১৮ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে ছয় দফা সোনার দাম বাড়ে। এতে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে যায় দামি এই ধাতুটি।

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দাম বাড়ার মাধ্যমে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার ভরি ৯৩ হাজার টাকা স্পর্শ করেনি। রেকর্ড দাম হওয়ার পর এখন সোনার দাম দুই দফায় কিছুটা কমলো।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বৈঠক করে নতুন করে সোনার দাম কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আর এক দফা সোনার দাম কমানো হয়। সে সময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ২৬২ টাকা করা হয়।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা কমিয়ে ৮৮ হাজার ৬৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৯২ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৮১৬ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ৮৬৭ টাকা করা হয়। আজ রোববার পর্যন্ত এ দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

এদিকে চলতি বছর প্রথমবার সোনার দাম বাড়ানো হয় ৮ জানুয়ারি। সে সময় সব থেকে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা করা হয়।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯২৪ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬১ হাজার ৮৭৮ টাকা করা হয়।

এরপর ১৫ জানুয়ারি সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২১৭ টাকা বাড়িয়ে ৭৬ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৮০৭ টাকা বাড়িয়ে ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা করা হয়।

এখন সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপা ১ হাজার ৫০ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

স্বর্ণ   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রমশ তীব্র হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকট। এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। ঋণ করে ঘি খাওয়ার লোভে আইএমএফ-এর লোন পেতে মরিয়া সরকার শেষ পর্যন্ত আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশনেই এই ধরনের বিষয়গুলো করেছেন বলে দাবি করেন অর্থনীতিবিদরা। আর এর ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাজারে, ব্যবসা বাণিজ্যে। অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দফায় দফায় বৈঠক করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ভালো নেই, সেই চেহারাটা এখন উন্মোচিত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন যে সংকটগুলো তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ডলার সংকট। ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের আগে আইএমএফ বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নতুন সিলিং বেঁধে দিয়েছে। যা অনেকখানি কমানো হয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে টাকার মান আরেক দফা কমেছে এবং এক লাফে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি বহুমাত্রিক প্রভাব পড়বে। এর ফলে আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বেন। এর প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরেক দফা বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। 

দ্বিতীয়ত, সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়াবে এবং এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বাজারে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নতুন এই দুই সিদ্ধান্ত বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতে সরকার যে সংস্কারের প্রস্তাব গুলো গ্রহণ করেছিলেন সেই সংস্কারের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মুখ খুবড়ে পড়ে গেছে। বেসিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি। ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে যে নৈরাজ্য তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এমনি ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে যেটির প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সামনে সরকারকে বাজেট দিতে হবে। এই বাজেটের জন্য যে অর্থ আহরণ প্রয়োজন, সেই অর্থ আহরণেও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোন ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে সরকারকে আরও ঋণের দিকে ঝুঁকতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অর্থ আহরণের জন্য কর-ভ্যাট ছাড়াও যে সমস্ত উদ্যোগগুলো সরকার গ্রহণ করেছিল, সেই সমস্ত উদ্যোগে বড় ধরনের সাফল্য আসেনি। জাতীয় পেনশন স্কিমে এখন পর্যন্ত মানুষ সাড়া দেয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে রাজস্ব আহরণ একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

চতুর্থত, বাংলাদেশকে এখন ঋণ পরিশোধের দায় মেটাতে হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য যে মোটা অংকের ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তা পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ঋণ পরিশোধের হার আরও বাড়বে। এই হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নতুন সংকট আনতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে অর্থনৈতিক সংকট বিপৎসীমা অতিক্রম করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই সংকট মোকাবিলায় কী ধরনের পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে সেটি হলো দেখার বিষয়।

অর্থনৈতিক সংকট   বাংলাদেশ ব্যাংক   আইএমএফ   ডলার সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ডলারের দাম ১১৭

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এক লাফে ডলারের দাম ৭ টাকা উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে দীর্ঘদিন ১১০ টাকায় থাকা ডলারের অফিসিয়াল দাম একদিনে ১১৭ টাকা হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে চা‌হিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তের কারণে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৮ মে) একটি সার্কুলার জা‌রি করে এ দাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনা-বেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত ডলার রেট।


ডলারের দাম   বাংলাদেশ ব্যাংক   অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

কার্যকর হলো স্বর্ণের নতুন দাম

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে বেড়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। বুধবার (৮ মে) থেকে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি বিক্রি হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে এই সমন্বয় করা হয়েছে। দাম সমন্বয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ২১,১৮ ক্যারেট ও সনাতনী স্বর্ণের ক্ষেত্রেও। 

নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ৬ ও ৫ মে দু'দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। ৬ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা এবং ৫ মে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে তিন দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম বাড়লো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।


স্বর্ণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

দুদিনের ব্যবধানে ফের সোনার দাম বাড়ল

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ মে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। 

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার দাম   বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশ উন্নত হবে: পাটমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে আমরা অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ।’ 

মঙ্গলবার (৭ মে) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক  সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাকশিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। 

তিনি বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক এই শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এ দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গতবছর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। 

পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আফ্রিকার কোন নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এ দেশের উদ্যোক্তাগণ নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন। 

এবার দু'দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন