ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য সনাক্ত ও গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহীতে বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষার জাল প্রশ্নপত্র ও প্রবেশপত্র তৈরি করে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পরীক্ষার প্রবেশপত্র, জীবন বৃত্তান্ত, নাগরিক সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

গ্রেফতারকৃতের নাম নয়ন ইসলাম (২৫)। তিনি রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার অচিনঘাট এলাকার আজগর হোসেন মন্ডলের ছেলে। নয়ন রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার বসবাস করতেন। গত ৬ মার্চ বেনাপোল থেকে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে এ চক্রের মুল হোতা নয়নকে হস্তান্তর করে বেনাপোল থানা পুলিশ।

আজ বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) বিজয় বসাক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে বলা হয়, সারাদেশব্যাপী আসন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া ও বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দিয়ে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এবং চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এ চক্রের সদস্যরা নগরীর বোয়ালিয়া থানার নিউমার্কেট সংলগ্ন পিজি টাওয়ার বিল্ডিংয়ের ১০ম তলায়  অবস্থান  করে এ কাজ করছে। এখান থেকেই তারা নগরীর বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মালিকদের সহযোগিতায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক ও চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিকট হতে পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি এবং চুক্তি মোতাবেক অর্থের বিনিময়ে তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল সনদপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহসহ প্রাথমিক খরচ বিকাশ, রকেট এবং নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নগদ টাকা সংগ্রহ করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আল মামুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক: মশিয়ার রহমান, এসআই আশরাফুল ইসলাম ও তার টিম জালিয়াত চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি  বিকেল সাড়ে ৪ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওই টিম নগরীর পিজি টাওয়ারের ১০ম তলায় অভিযান করলে জালিয়াত চক্রের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ভবনের মালিকের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, ভাড়াটিয়ার নাম নয়ন ইসলাম। তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে বসবাস করতো। বাড়ির মালিক আরও জানায় নয়ন নিজেকে কখনও ডাক্তার, কখনও সরকারি কর্মকর্তা বা এনজিও কর্মী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থী ও ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করে। অনেকে এখানে আশা যাওয়া করে।

পরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) বিজয় বসাক, গোয়েন্দা পুলিশ প্রতারক চক্রের মূল হোতাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করেন। এচক্রের সদস্যরা যেনো  বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের সব বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহে বিশেষ চিঠি দেন। কিন্তু তার পূর্বেই প্রতারক নয়ন ভারতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে নয়ন ইসলাম গত ৬ মার্চ বিকেলে যশোর জেলার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় উক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল ইমিগেশন পুলিশ তাকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন।পরে এ  বিষয়টি  অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) জানান।

গত ৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ পুলিশ কমিশনার নির্দেশক্রমে গোয়েন্দা পুলিশের ওই টিম যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় গিয়ে নয়নকে নিয়ে আসে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তিনি ও তার সহযোগী পলাতক  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলর বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র সনেট এবং আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সহযোগী পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে চাকরিপ্রার্থী ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনের এ্যাপস (হোয়াটস অ্যাপস, ভাইবার, টেলিগ্রাম) এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের চাকরি  দেওয়ার কথা বলে।  বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিবে মর্মে আশ্বাস দিয়ে ডিজাটাল ডিভাইস (মোবাইল ফোন) ব্যাবহার করে মোবাইল ফিন্যান্স (বিকাশ, রকেট, নগদ) অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামি-সহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পেনাল কোডে একটি মামলা দায়ের করা করা হয়েছে।


প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্র   রাজশাহী   গ্রেফতার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারত-চীন উভয় কেন শেখ হাসিনাকে চায়?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত বিশ্বে বিরল এবং একমাত্র রাজনীতিবিদ যাকে ভারত এবং চীন উভয়ই পছন্দ করে। ভারত এবং চীন বিশ্ব রাজনীতিতে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। শুধু পরস্পর বিরোধী অবস্থানই নয়, এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই তাদের মধ্যে প্রকাশ্য। ভারত এবং চীনের বিরোধ এখন কোনো নতুন বিষয় নয়। বরং দুই দেশের কূটনীতি এবং বাণিজ্য নীতি একে অন্যকে ঘায়েল করবার জন্যই ব্যবহৃত হয়। অথচ সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে এবং উপমহাদেশের কর্তৃত্বে লড়াইয়ে থাকা চির শত্রু দুই দেশ মাত্র একটি বিষয়ে একমত। তা হল বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাখা। এই একটি বিষয়ে ভারত এবং চীন অবিশ্বাস্যভাবে অভিন্ন  অবস্থান গ্রহণ করছে। এই অভিন্ন অবস্থান তারা কোনো রাখঢাক ছাড়াই ঘোষণা করেছে। 

চীন ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে পরম বন্ধু ছিল ভারত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের মুক্তি এবং বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সব ধরনের তৎপরতাই চালিয়েছিল। তাই ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের একটি দূরত্ব। বিভিন্ন সময় ক্ষমতার পালাবদল পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, পঁচাত্তরের পর থেকেই চীন বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। খুনি মোশতাক দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। আবার বিএনপি যখনই ক্ষমতায় থেকেছে তখনই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয়েছে। কিন্তু এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম। গত এক যুগে বাংলাদেশ এবং চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়ছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানামুখী চাপ দিচ্ছে তখন চীন বর্তমান সরকারের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছেন। একাধিকবার চীন আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মার্কিন হস্তক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপে সামিল হিসেবেও উল্লেখ করেছে। চীন মনে করে, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তা অব্যাহত রাখা দরকার। চীন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনা বিনিয়োগ গুলো সুরক্ষিত রাখতে চায় দেশটি। আর এই কারণেই তারা মনে করে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাংলাদেশের যে অগ্রগতি উন্নতি এই এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে বা অন্য কেউ এলে চীনের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে তারা মনে করে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছে সেটাতেও ভাটার টান হতে পারে। চীন এটি চায় না। এ কারণে চীন শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প দেখছে না। শেখ হাসিনার পক্ষে তারা প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছেন। 

অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। একাত্তরে এই বন্ধুত্ব রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের মতো ভারতও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প দেখছে না এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ আলোচনা এবং কথাবার্তাও বলছেন। ভারতের হিসেবে নিকেশ অবশ্য অন্য। ভারত মনে করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন জন্যই ভারত বিচ্ছিন্নতাবাদী মুক্ত এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। ভারত এটাও মনে করে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটা শুধুমাত্রই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক। এটি কোনভাবেই রাজনৈতিক নয়। বরং রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনা কখনোই চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হবেন না। আর এরকম বিবেচনা থেকেই এই বাস্তবতা থেকেই ভারত এবং চীন দুটি দেশই এখনো বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা চায় এবং শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায়।

চীন   ভারত   বাংলাদেশ   নির্বাচন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৈকতের আকাশে রয়েল বেঙ্গল টাইগার

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের মুক্ত আকাশে  উড়ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ রং-বেরঙের রঙিন ঘুড়ি। এই দৃশ্য দেখে শৈশব স্মৃতি খুঁজছে লাখ পর্যটকসহ নানা বয়সের মানুষ। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পর্যটন মেলার পঞ্চম দিন রোববার (১ অক্টোবর) বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে চলে ঘুড়ি উৎসব।

বিকেল সাড়ে ৪টা দেখা যায়, সৈকতের আকাশ দখলে নিয়েছে বিশাল আকৃতির রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যার ভয়ে আশপাশে ভিড়তে পারছে না জেলিফিশ, স্কুইড, ঈগল, উড়োজাহাজ, ডরিমন, পকেট কাইট, কচ্ছপ, সিংহ, ডলফিনসহ রঙ-বেরঙের ঘুড়ি। কিন্তু রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে মেতে উঠেছে পর্যটকসহ নানা বয়সের মানুষ। ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। 

পড়ন্ত বিকেলে বালুকালয়ে শুধু রয়েল বেঙ্গল টাইগার নয়; সামুদ্রিক প্রাণী, কার্টুন, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন আদলে তৈরি দেশি-বিদেশি ঘুড়ি যেন দখল করে নেয় সৈকতের নীল আকাশ। বালুকাময় সৈকতের আকাশে শোঁ শোঁ করে উড়ছে লাল, নীল, বেগুনি, সাদা, রং-বেরংয়ের সব ঘুড়ি। পর্যটকদের কাছে অন্যরকম আবেগতো রয়েছেই, বিশেষ করে শিশুরা মেতে উঠে বর্ণিল আনন্দে। 

শিশু ইমরান বলেন, অনেক ভালো লাগছে। নীল আকাশে অনেক রঙের ঘুড়ি। বাঘ রয়েছে, কিন্তু আমি উড়াচ্ছি প্রজাপতি। বালিয়াড়িতে ঘুড়ি উড়াতে খুব ভালো লাগছে। এই প্রথম বালিয়াড়িতে ঘুড়ি উড়াচ্ছি।ঢাকার ধানমন্ডির যুবতী তানিয়া বলেন,কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি আজ অন্যরূপ ধারণ করেছে। মানুষের আনাগোনা বেড়েছে, বেড়েছে স্থানীয় শিশু কিশোর, কিশোরী ও বয়স্করাও।

চট্টগ্রামের মিরশরাইয়ের রফিকুল বাহার বলেন, প্রথমে ঈগলের ঘুড়ি উড়িয়েছি। তারপর ডরিমনের ঘুড়ি উড়িয়েছি। বেশ মজা পেয়েছি। অনেক দৌড়াদৌড়ি করছি। 

দুরন্ত শৈশব, ঘুড়ি-লাটাই, মুক্ত আকাশ, গ্রামের বিস্তৃত মাঠ-সবই এখন স্মৃতি। কিন্তু ঘুড়ি উৎসবে ঘুড়ি-লাটাই হাতে যেন সেই হারানো শৈশবকে ফিরে পেয়েছেন অনেকে।

সৈকতে বালিয়াড়িতে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন নাসরিন সুলতানা।  তিনি বলেন, আগে কোনদিন ঘুড়ি উড়ায়নি। এই প্রথম ঘুড়ি উড়াচ্ছি, বেশ মজা পাচ্ছি। আর সাগরপাড়ে ঘুড়ি উড়াতে অন্যরকম মজা পাচ্ছি। রঙ-বেরঙের ঘুড়িতে সৈকত আকাশটা অসাধারণ লাগছে।

বালিয়াড়িতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ঘুড়ির সঙ্গে ছবি তুলছেন জান্নাতুল নাঈম। তিনি বলেন, আমার ঘুড়ি উড়ানো এবারই প্রথম। নানা রঙের ঘুড়ি উড়ছে আকাশে দেখতে খুব ভালো লাগছে। আর বিশাল আকৃতির রয়েল বেঙ্গল টাইগার ঘুড়ির সঙ্গে ছবি তুলে আরো বেশি মজা পেয়েছি। রয়েল বেঙ্গল টাইগারটা অসাধারণ লাগছে, মূলত রয়েল বেঙ্গল টাইগার তো দেখি নিচে চলাফেরা করে। কিন্তু এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখি আকাশে উড়ছে। সত্যিই অসাধারণ সব ঘুড়ি।

নুর হোসেন এসেছেন টেকনাফ থেকে তিনি বলেন, কক্সবাজারের আকাশ হরেক রকম ঘুড়িতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে। বিচিত্র রং এবং বিশাল বিশাল ঘুড়ির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি ও ছবি তুলে অনেক খুশি লাগছে।এসেছি স্বপরিবারে পর্যটন মেলার নানা আয়োজন দেখতে।

সানজিদা নামের এক পর্যটক বলেন, ঢাকার আকাশে ঘুড়ি উড়ানোর পরিবেশ নেই। ইচ্ছা করলেও ঘুড়ি ওড়ানো যায় না। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে বিশাল এই সমুদ্রসৈকতের আকাশে ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুব ভাল লাগছে।

আরেক পর্যটক ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, দুরন্ত শৈশব, ঘুড়ি-লাটাই, মুক্ত আকাশ, গ্রামের বিস্তৃত মাঠ- সবই এখন স্মৃতি। আজ জীবনের এই মধ্যবেলায় ঘুড়ি-লাটাই হাতে যেন সেই হারানো শৈশবকে ফিরে পেয়েছি।

ঘুড়ি যেন নির্মল এবং অনাবিল আনন্দের নাম। আর আগত পর্যটকদের আনন্দ দিতে পারায় বড় অর্জন বলে জানিয়েছে জাতীয় ঘুড়ি ফেডারেশন।

জাতীয় ঘুড়ি ফেডারেশনের স্বেচ্ছাসেবক রানা সোহেল বলেন, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের আনন্দ দিতে ভিন্ন ধরণের ঘুড়ি আনা হয়। যার অধিকাংশই চীন থেকে আনা। বিশেষ করে স্কুইড, টিকটিকি, ঘোড়া, হাতি, জাতীয় পতাকাসহ এক’শোর বেশি ঘুড়ি উড়ানো হয়েছে। আমরা খুব আনন্দিত, পর্যটকদের আনন্দ দিতে পেরেছি। এটাই আমাদের বড় পাওয়া।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ঘুড়ি উড়ানো এমন একটি হৃদয়স্পর্শী খেলা যা আমার মনে হয় প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে এই খেলাটি মিশে আছে। কিন্তু বর্তমানে বাঙালির প্রাণের এই খেলাটি এখন হারাতে বসেছে। তাই গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় এই খেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন। আর ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে ঘুড়ি ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে এই প্রত্যাশা করছি।

সপ্তাহব্যাপি পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালের ৫ম দিনে রোববার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে এই ঘুড়ি উৎসব চলে ৩ ঘন্টাব্যাপি। আগামী কাল শেষ হচ্ছে পর্যটন মেলা। এখনো প্রায় দুই লক্ষাধিক পর্যটক ও লক্ষাধিক স্থানীয় নারী পুরুষ শিশুর কলরবে সমুদ্র সৈকতে অন্য রকম আবহ তৈরী হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন ধরনের নির্বাচন ভাবনা: কোনটাতে কি ফল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা, আলাপ-আলোচনা চলছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তাও রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তিন ভাবে এই নির্বাচন হতে পারে। এই তিন রকম নির্বাচনে তিন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যে তিন ভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে-

১. সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। তিনি বিভিন্ন দলীয় বৈঠকে, ঘরোয়া আলোচনাতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এবারের নির্বাচনে কোনো রকম কারচুপি করা যাবে না। এটি তার জাতির কাছে কমিটমেন্ট (অঙ্গিকার)। কাজেই নির্বাচন যে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে সেটি বলাই বাহুল্য। আর সেই নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ করে পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধে বা রাজনৈতিক সমঝোতার পক্ষে তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সব ধরনের সংকট থেকে মুক্তি পাবে। সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন হবে না, বিতর্ক হবে না। 

বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন যে ২০১৪ বা ২০১৮’র মতো হবে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এরকম নির্বাচন হলে নির্বাচনে যারাই জিতুক না কেন সেই সরকার আন্তর্জাতিকভাবে সহজে স্বীকৃতি পাবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় এটি হবে একটি নতুন মাইল ফলক। কিন্তু এভাবে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরও কথা থাকে, যদি শেষ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনও হয় সেই নির্বাচন কতটুকু মেনে নেবেন যারা পরাজিত হবেন তারা। নির্বাচনের পরে কারচুপির অভিযোগ বা অন্যান্য অভিযোগ আনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি চিরায়ত রীতি। সেই রীতি পাশ কাটিয়ে এই ধরনের নির্বাচনকে মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি বাংলাদেশে আদৌ চালু হবে কিনা তা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। 

২. বিএনপির আংশিক অংশগ্রহণে নির্বাচন: বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নে ভেঙে যেতে পারে। এমনকি খালেদা জিয়ার মুক্তি-চিকিৎসা প্রশ্নেও বিএনপির মধ্যে সংকট দেখা দিতে পারে। তাছাড়া তৃণমূল বিএনপি বিএনপির জন্য একটা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে বিএনপির একটি অংশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে পারে এমন একটি আলোচনা সর্বত্রই রয়েছে। বিএনপির মধ্যেও এই আলোচনা রয়েছে। 

বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন, বিএনপিকে ভাঙার চক্রান্ত চলছে এবং বিএনপির মধ্যে মীরজাফর তৈরি করা হচ্ছে। এরকম আংশিক বিএনপির অংশগ্রহণে যদি নির্বাচন হয় সেই নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় তাহলে পরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই কম হবে বা শেষ পর্যন্ত তারা এই নির্বাচনকে মন্দের ভালো হিসেবে গ্রহণ করবে। নির্ভর করছে সেই নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকায় কি হয়, নির্বাচন কতটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় এবং এ ধরনের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কেমন হয়। সবকিছু মিলিয়ে এ ধরনের একটি নির্বাচন মন্দের ভালো। এই ধরনের নির্বাচনের পর শেষ পর্যন্ত হয়তো সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তেমন কোনো সংকট দেখা দেবে না।

৩. বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচন: এমন একটি সম্ভাবনাও রয়েছে যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ করলো না, বিএনপির খন্ডিত অংশও অংশগ্রহণ করলো না সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে যে সমস্ত দল নির্বাচনে যাবে তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। এই ধরনের নির্বাচনের করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি ৫০ ভাগ বা তার বেশি থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে হবে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে হবে। তারপরও এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা তা অনিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত এই ধরনের নির্বাচন যদি হয় তাহলে নির্বাচনের পরে সরকারকে আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং গ্রহণযোগ্যতা আদায়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

নির্বাচন   আন্তর্জাতিক মহল   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

প্রকাশ: ০৭:২৭ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫.৩ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে এর কম্পন। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেমের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। 

অন্যদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরতায় আঘাত হেনেছে বলে জানায় তারা।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল চার দশমিক ২। ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনে যেতে বিএনপিকে পশ্চিমাদের পাঁচ আশ্বাস

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো চায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হোক। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু এসব আশ্বাসের পরও বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল। তারা মনে করছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এবং এ ধরনের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না বলেও এখন পর্যন্ত তাদের অবস্থান জানিয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপিকে আশ্বস্ত করছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও এবার সরকার ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন করতে পারবে না। এই ধরনের নির্বাচন মোকাবিলা করার জন্য এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আর তাই বিএনপিকে আস্বস্ত করা হচ্ছে, তাদেরকে নির্বাচনে যেতে বলা হচ্ছে। নির্বাচনে গেলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে এমন আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে। 

নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপিকে পাঁচটি আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে-

১. অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন: বিএনপিকে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবারের নির্বাচনের প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ অবস্থান পালন করবে বা নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণে বাধ্য হবে। তারা যে সমস্ত পদক্ষেপ গুলো নিচ্ছে, এই সমস্ত পদক্ষেপের ফলে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করার কোনো সুযোগ থাকবে না। এই ধরনের আচরণ করলে নির্বাচন স্বীকৃতি পাবে না এবং আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। তখন সরকার আরও বড় ধরনের সংকটে পড়বে। 

২. আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টি বিবেচনা: বিএনপিকে আস্বস্ত করা হয়েছে যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে রাজি হয় তাহলে সরকারের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি ব্যবস্থা করা হবে এবং যে সমস্ত রাজনৈতিক হয়রানির কারণে মামলা রয়েছে সেই মামলা গুলো স্থগিত করা বা প্রত্যাহার করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা পশ্চিমা দেশগুলো গ্রহণ করবে। তারা মনে করছে যে, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর জন্য এটি করা উচিত এবং নির্বাচনের আগে যেন রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী দলের ওপর কোনো রকম হয়রানি না করা হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য তারা সব ধরনের
পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 

৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। সকল দল বিশেষ করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যেন সমান ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় সে ব্যাপারে তৎপর রাখা হবে এবং এই তৎপরতা নিশ্চিত করার জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার সে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

৪. কারচুপি হলেই ব্যবস্থা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো আশ্বস্ত করছে যে, এবারের নির্বাচনে যদি জনমতের প্রতিফলন না ঘটে, কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা দলকে যদি জেতানোর জন্য কারচুপি করা হয় বা পক্ষপাতিত্ব করা হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। কাজেই এরকম পরিস্থিতি নির্বাচন করলে সেই সরকার বৈধতা পাবে না এবং আন্তর্জাতিক ভাবে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে সরকারের জন্য টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

৫. নির্বাচনের পর্যবেক্ষণ এবং নির্বাচন পরবর্তী ব্যবস্থা: অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য নির্বাচনে যথাযথ পর্যবেক্ষকরা থাকবেন এবং এই পর্যবেক্ষক ছাড়াও নির্বাচনের কারচুপি হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর নানা রকম বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যার ফলে আবার পুনর্নির্বাচন করতে হবে অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বা সরকারকে পুনর্নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।

বিএনপি   পশ্চিমা   নির্বাচন   বাংলাদেশের নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন