কোভিড-১৯ সত্ত্বেও গত অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মসূচির সরাসরি সুবিধাভোগী প্রায় ১২ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বেশি। এছাড়া করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ৩০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ শেষে প্রত্যাবর্তনকৃত অর্থে গঠন করা ‘রিভলভিং তহবিল’ থেকে ঋণ বিতরণ চলছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরো অর্থ প্রয়োজন।’
রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশনে ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালক পর্ষদ এবং সাধারণ পর্ষদের সদস্যদের কাছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাস্তবায়িত কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন ফাউণ্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।
ড. মো. মফিজুর রহমান জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ, পণ্য বাজারজাতকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং দেশে ও বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এসএমই ফাউন্ডেশনের নানামুখী কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৮০জন উদ্যোক্তা। এর মধ্যে নারী-উদ্যোক্তা ৫৬৫২জন, পুরুষ উদ্যোক্তা ৬২২৮জন।
ড. মফিজুর রহমান বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ-৩টি বিভাগে বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা এবং ৪র্থ হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল ২০২২ আয়োজনের পাশাপাশি নেপালে আন্তর্জাতিক মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে সহায়তা করে এসএমই ফাউন্ডেশন, যা উদ্যোক্তাদের পণ্য বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদযাপন, ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলন আয়োজন, উদ্যোক্তা-ব্যাংকার ঋণ ম্যাচমেকিং ও ফাইনান্সিয়াল লিটারেসি কর্মশালা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এসএমইবান্ধব বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, কর্মশালা, মতবিনিময় সভা, ওয়েবিনার, এসএমই খাতের উন্নয়নে গবেষণাসহ ৬৬০টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ফাউন্ডেশন।’
পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদনের ওপর মতামত ও সুপারিশ প্রদান করেন সাধারণ পর্ষদের সদস্যরা। তারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে আরো এসএমই উদ্যোক্তাকে এসব কর্মসূচির আওতায় আনতে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দেরও দাবি জানান তারা।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও গ্রহণ, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুমোদন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসএমই ফাউন্ডেশন রিভলভিং তহবিল ঋণ বিতরণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসাব অনুযায়ী, চলতি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।