বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান উদ্ধারের ঘটনার মামলা কীভাবে রাজনৈতিক হয় সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় কাতার সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে- সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে গণভবনে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে এসে এ প্রশ্ন তোলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা রাজনৈতিক হয় কীভাবে? এই ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ই কিন্তু তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। এমনকি খালেদা জিয়ার মন্ত্রীরাও সাজাপ্রাপ্ত। এরা যদি এটাকে রাজনৈতিক বলে তাহলে জনগনই এর বিচার করবে। এটা জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি। এরা সব সময়ই জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করে। জনগণের সঙ্গে মোনাফেকি করে। এই অস্ত্র চোরাকারবি করাই তাদের ব্যাবসা। সেটাও তারা রাজনৈতিকভাবে দেখছে। এ বিষয়ে কী আর বলবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে ওদের (বিএনপি) জন্মই হয়েছে অস্ত্র হাতে নিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। একজন সেনা বাহিনীর প্রধান আবার সেই অবস্থায় নিজেকে রাষ্টপতি ঘোষণা দেন ক্ষমতা দখল করে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদের (বিএনপি) কাছে জনগণ কী আশা করে লুটপাত করা, দুনীতি করা ছাড়া। কারণ বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের দুনীতির কথা আমাদের না, আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে। তাদের পাচার করা ৪০ কোটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। এটা সকলের মনে রাখা উচিৎ। সেটাও রাজনৈতিক বলবে? সরাসরি অস্ত্র চোরাকারবারি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলা...এটাও কি রাজনৈতিক!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে, তাই তো। ওরা রাজনীতির কী জানে? ওদের রাজনীতির মধ্যে জন্ম না তো । জন্ম তো অস্ত্র হাতে নিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। সেটা মনে রাখলেই চলবে। ওদের কাছে জনগণ কিছুই আশা করতে পারে না।’
সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।