ইনসাইড টক

‘স্কুলগুলোর বাণিজ্যিক মানসিকতা দূর করবে নতুন শিক্ষাক্রম’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন স্কুলে মডেল টেস্ট নেয়ার প্রচলন রয়েছে। এ ধরনের প্রচলন থাকার কারণে আবার ওই স্কুলগুলো বিভিন্ন ধরনের কোচিংও চালায় এবং এগুলো এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। স্কুলগুলোতে এ ধরনের বাণিজ্যিক মানসিকতা দূর করবে ২০২৩ সালে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম।

চলতি বছর চালু হওয়া ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে কোনো ধরনের মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। যদি কেউ এর ব্যতয় ঘটায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। 

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দিতে চলতি বছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ দুটি শ্রেণিতে পাঠদান করাতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শ্রেণির মতো এখানেও মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নেওয়া প্রস্তুতি চলছে। এসব অভিযোগ সামনে আসার পর সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

তিনি বলেন, সাধারণত নিয়ম হলো স্কুলগুলো অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা। অথবা তিন মাস পর একটা এরপর ছয় মাস পর আরেকটা টার্মিনাল পরীক্ষা এবং বছর শেষে বার্ষিক পরীক্ষা। এটাই প্রচলিত নিয়ম ছিল। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের নাম দিয়ে মডেল টেস্ট নেয়া শুরু করেছে। এটি বন্ধ করতে গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশনা দিয়েছে যে, শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা/মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। এই নির্দেশনা আরও আগেই দেয়া দরকার ছিল।

তিনি আরও বলেন, সরকার নিশ্চিয় এটা ফলোআপ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নিশ্চিয় নির্দেশনা দেয়া হবে বছরে কয়টা, কিভাবে পরীক্ষা হবে। শিক্ষকগণ শ্রেণি কক্ষে না পড়িয়ে যদি সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের মডেল টেস্ট আর পরীক্ষাই নেয় সেটা প্রকৃত শিক্ষা নয়। এতে করে বরং ছাত্রদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘সম্পদ, আয়, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন বৈষম্য নিরসনের বাজেট হওয়া উচিৎ’


Thumbnail অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত।

‘আমাদের যে মূল্যস্ফীতি, গত বছরের যে বাজেট ছিল- তা ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, এই চলমান অর্থ বছরে। ওইটা ছিল প্রস্তাবিত বাজেট। এখন এবার যখন বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী, তখন সেটা সংশোধীত বাজেট বলবেন। আগে যেটা বলা হয়েছিল, তার থেকে সংশোধীত বাজেটটা আসলে কত হলো? আমার ধারণা, যেটা সংশোধীত বাজেট হবে, যেটা প্রস্তাব করা হয়েছিল চলমান বছরে (২০২২-২৩)। সেখানে সংশোধীত বাজেটটা কম হবে, কত কম হবে-সেটা আমি জানি না। সেটার তুলনায় এখনকার বাজেটটা কত হবে সেটা এখনও আমি জানি না। তবে প্রকৃত মুল্যস্ফীতি যা আছে, সরকার যা বলছেন, সেটা প্রকৃত মূল্যস্ফীতি না-ও হতে পারে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি যা আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে নূন্যতম বাজেটটা সেরকম হওয়ার কথা। সেই ক্ষেত্রে নূন্যতম বাজেটটা ৭ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা হওয়া উচিৎ। কিন্তু বাজেটটা হওয়া উচিৎ সম্প্রসারণশীল। তার মানে এর চাইতে অনেক বেশি। তবে কত বেশি হহওয়া উচিৎ সেটাও আমি জানি না।’ - বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত।                   

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন। গতকাল বুধবার (৩১ মে)  বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার কেমন হওয়া উচিৎ, অর্থনৈতিক মন্দা নিরসন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ জনগোষ্ঠীর সম্পদ, আয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, আবাসন, কর্মসংস্থানসহ সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণে এবারের বাজেটের আকার কেমন হওয়া প্রয়োজন- এসব বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন এবারের বাজেট সম্পর্কে। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য থেকে শুরু করে বৈষম্য। বৈষম্যের মধ্যে সম্পদ বৈষম্য, আয় বৈষম্য, পুষ্টি বৈষম্য। পুষ্টি বৈষম্য বলতে আমি বলছি, মানুষ সম্ভবত গত এক বছরে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম- এগুলো ভোগ কমিয়েছেন। এগুলো যেন মানুষ আগের মতোই ভোগ করতে পারেন। তাহলে পুষ্টি বৈষম্য আগের মতোই হবে। সেগুলো যদি ঠিক রাখি- তার সঙ্গে, স্বাস্থ্য বৈষম্য, শিক্ষা বৈষম্য, আবাসন বৈষম্য- এগুলো যদি বিচার করা হয়, তাহলে আদর্শগতভাবে বাজেটটা হওয়া উচিত- এখন যে বাজেটটা আছে- ৬ লক্ষ্য ৭৮ হাজার কোটি টাকা, এটা অনেক বেশি হওয়া উচিৎ। এটা কত বেশি হবে সেটা আমি এখনও জানি না।’ 

তিনি বলেন, ‘তবে নীতিগতভাবে বৈষম্য যদি প্রধান বিষয় হয়ে থাকে, দ্রব্যমূল্য যদি বড় বিষয় হয়ে থাকে, তবে বাজেটটা অনেক বড় হওয়া দরকার- এটা হলো এক নম্বর বিষয়। দ্বিতয়ত হলো, এই বাজেটে বৈষম্য হ্রাস করার পথ এবং পদ্ধতিগুলো। বাজেট-তো একটি রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দলিল, এখানে বৈষম্যগুলো হ্রাস করার জন্য পদ্ধতিগুলো বাজেটের মধ্যে প্রতিফলিত হতে হবে। এই প্রতিপ্রফলনটা হওয়া উচিৎ বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ রেখে। এই মোট কথা।’ 

‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি থেকে আপনারা একটি বিকল্প বাজেট তুলে ধরেছিলেন, সেখানে যে ধরনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, সে প্রস্তাবনার আলোকে এই বাজেট কেমন হলে ভালো হতো?’ - এমন প্রশ্নে ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবনার মধ্যে কতগুলো বিষয় ছিল, প্রথম ছিল- বাজেটের ব্যয় খাত কি কি হওয়া উচিৎ। বাজেটের ব্যয় খাতে আমরা পরিষ্কার করে বলেছিলাম যে, জনগণের যে জনচাহিদা- এই জনচাহিদাটা সংবিধানে যে জনচাহিদার কথা বলা আছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করা উচিৎ। সেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, সামাজিক নিরাপত্তা,কৃষি সংস্কার, ভূমি সংস্কার ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ। এগুলো ব্যয়ের খাত। দ্বিতীয় হচ্ছে আয়ের খাতে কতগুলো বিষয় থাকা উচিৎ। এর মধ্যে প্রধান চারটি বিষয় হচ্ছে- প্রথমত- সম্পদ কর, দ্বিতীয় হচ্ছে- অতিরিক্ত মুনাফার উপর কর, তৃতীয় হচ্ছে- কালো টাকা এবং তার থেকে প্রাপ্তি, অর্থাৎ কালো টাকা উদ্ধার করতে হবে। চতুর্থ হচ্ছে- অর্থ পাচার রোধ। এগুলো যদি করা হয়, এগুলো হচ্ছে আয়ের খাত। এই আয়ের খাতগুলো বাজেটে চিহ্নিত করা উচিৎ। এবারে এগুলো হচ্ছে কি হচ্ছে না আমি জানি না। যদি এগুলো চিহ্নিত করা হয়, তাহলে বাজেট একটা বৈষম্য নিরসনমুখী, জনগণের কল্যাণের জন্য একটা বাজেট হতে পারে।’ 

তিনি বলেন, ‘সম্পদ, আয়, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা,আবাসন বৈষম্য নিরসনের জন্য এবারের বাজেট হওয়া উচিৎ। কতটুকু কি হচ্ছে তা আমি জানি না। এগুলো বাজেট পেশ করার পর বোঝা যাবে।’


অর্থনীতিবিদ   অধ্যাপক   ড. আবুল বারাকাত   বাজেট   অর্থমন্ত্রী   সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘গাজীপুরে ব্যর্থতার কারণ মূল্যায়ন করা হবে’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

‘বিষয়টায় কিছু অ্যাকশন নিতে হবে। আর ওই জায়গায় নিম্ন পর্যায়ে যে কমিটিগুলো আছে, যেখানে সম্মেলন করার সুযোগ আছে, সেগুলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় নাই এবং এগুলো আহবায়ক কমিটি সবগুলোই। যেসব কমিটির লোকেরা বিদ্রোহ করেছে- এরা সবাই আহবায়ক কমিটির লোক।  অতএব দ্রুত সম্মেলন করে, যেগুলো বিশ্বাসঘাতক- এগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন করে ঢেলে সাজালেই হবে। খুব সহজ কাজ। সম্মেলনের তারিখ দিয়ে এগুলোকে বাদ দিয়ে দিলেই হবে। কোনো সমস্যা নেই।’- বলছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।      

‘গাজীপুর নির্বাচন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলটাকে প্রকাশ্য রূপ দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এখন সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আপনি এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলটাকে কি রকম চ্যালেঞ্জ মনে করেন এবং কোন্দলটা মোকাবেলায় কি করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন, আপনার পরামর্শ কি?’ -এমন প্রশ্নের উত্তরে কথাগুলো বলছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

সম্প্রতি শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলের কারণেই দলীয় প্রার্থীর নাটকীয় পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল সুস্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম -এর সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন এই নির্বাচনে পরাজয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা এবং এই কোন্দল নিরসনে কি করণীয়-সেসব কথা। পাঠকদের জন্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম -এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার -এর নিজস্ব প্রতিনিধি।

মির্জা আজম বলেন, ‘এই নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তারা নিজেরাও, এমপি, মন্ত্রী যারা আছে, তাদের সাথে নিয়ে একটা পর্যালোচনা বৈঠক সিরিজ, আসছে ১, ২, ৩ তারিখে করবে তারা।’ 

‘এটাতো হলো গাজীপুর। কিন্তু সারা বাংলাদেশেই এই রকম আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই কোন্দলতো আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের একটা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’- এমন প্রশ্নে মির্জা আজম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা অনেক বড় দল। এ জায়গায় আসলে কোন্দলটা ঠিক ওইভাবে নাই। গাজীপুরের ব্যাপারটা একটু আলাদা, ভিন্ন। সে জায়গায় আমাদের একজন লোককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে মেয়র ছিল। সবকিছু মিলিয়েই এটা হয়েছে। কিন্তু অন্য জায়গায় যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেটা ছোটখাটো বিষয়। ওই জায়গায় বড় ধরনের কোনো কোন্দল নেই। নোমিনেশন যখন ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে, সবাই একসাথে কাজ করছে, কোনো বিষয় হবে না, ইনশাল্লাহ।’

‘একটা বিষয়- বিএনপি এখন রাজপথে আন্দোলন করছে এবং বিএনপি এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করবে বলে তারা জানিয়েছে- এ রকম অবস্থায় আপনাদের প্রস্তুতি কি?’ -এই প্রশ্নে মির্জা আজম বলেন, ‘বিএনপি যেটা নিয়ে আন্দোলন করতেছিল, তাদের আন্দোলনতো এখন অটো ফল্ট করবে। কারণ হচ্ছে, তাদের যে প্রভু, সে প্রভু তাদের যা বলছে, সে অনুযায়ী তাদের আবার কিসের জন্য আন্দোলন। ওদের প্রভুরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে কোনো কিছু উল্লেখ করে নাই। তারা বলেছে, যারা নির্বাচনে বাধাদান করবে, তাদেরকেও তারা ভিসা দিবে না। আমরাতো- আমেরিকা যা চাচ্ছে, ওই ধাঁচেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমেরিকার পক্ষ থেকে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, সে ভিসা নীতিতে বিএনপি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তার জন্য তারা বাধার সৃষ্টি করছে। বিএনপি এখন এক দফা বলেন, সাত দফা বলেন- কিসের জন্য আন্দোলন করবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার? আমেরিকা যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেইতো। তাহলে তারা কি নিয়ে আন্দোলন করবে। অতএব, তারা এখন নির্বাচনে আসবে নাকে ক্ষত দিয়ে। কাজেই এই নির্বাচনে আসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা তাদের জন্য এখন বুদ্ধিমানের কাজ।’ 

‘একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আপনি কি মনে করেন, দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে?’- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে গাজীপুরের নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে- গাজীপুর নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে।’ 

‘বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়- তাহলে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে আপনারা জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?’- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২০০৮ সালে, তখনতো কোনো বাধা দেওয়া হয় নাই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তারা ২৯ আসন পেয়েছে। এবার নির্বাচন করছে, সুন্দর। ২৯ দু’গুণে ৫৮ আসন পেতে পারে। এর বেশি আমরা আশা করি না।’                  

‘একটি কথা আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের প্রচুর প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে। কারণ যারা গত দুইটা নির্বাচনে এমপি হয়েছেন, তারা অনেকেই এলাকায় যায় না।’- এমন প্রশ্নে মির্জা আজম বলেন, ‘এটা নেত্রী প্রকাশ্যে মিটিংয়ের মধ্যে বলেছেন যে, এবারের মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সজাগ থাকবেন এবং যারা এলাকায় জনপ্রিয়- তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। যারা এলাকায় বিতর্কিত এবং দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করে আত্মীয়-স্বজন এবং হাইব্রিডদের নিয়ে পুণর্বাসন করেছে, দলের মধ্যে আবার দল অ্যান্টি দল বানিয়েছে, তাদেরকে  নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না, নেত্রী বলে দিয়েছেন।’

‘গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে কি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো মূল্যায়ন করবে বা এটার ব্যাপারে কোনো আলাপ-আলোচনা হবে?’- প্রশ্নে মির্জা আজম বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে-তো মূল্যায়ন হবেই। আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সাথে কথাবার্তায়- তখনতো যার যার অভিমত ব্যক্ত করবেই। যদি সুযোগ থাকে আমরাও আমাদের অভিমত ব্যক্ত করবো। তবে ইতিমধ্যেই জেলার পক্ষ থেকে, মহানগরের পক্ষ থেকে এই নির্বাচনে পরাজয়ের বিভিন্ন মূল্যায়নটা আগামীকাল থেকে টানা তিন দিন- বিভিন্ন থানায় থানায় মিটিং করে, আমাদের এমপি, মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে আলোচনা করে, পর্যালোচনা করে মূল্যায়নটা করা হবে যে- কি কি কারণে, কি ব্যর্থতার কারণে আমরা ফেল করেছি।’


আওয়ামী লীগ   সাংগঠনিক সম্পাদক   মির্জা আজম   গাজীপুর নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আওয়ামী লীগ যারা পছন্দ করে না, তাদেরতো একটি জায়াগায় যেতে হবে’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

যারা সরকার, আওয়ামী লীগ বা নৌকা পছন্দ করে না, তাদেরতো একটি জায়াগায় যেতে হবে। তাই আমি সবাইকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ধরেই ২১ জুনের নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।‘– কথাগুলো বলছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। 

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তবে বিএনপি এই নির্বাচনে কোন প্রার্থী দেয়নি। শেষ মুহুর্তে নির্বাচন করবে না বলে জানান আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপি’র প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এই নির্বাচনকে কতটা গুরুত্বের সাথে দেখছেন এবং সিলেট নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাডারের সাথে কথা হয় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর। পাঠকদের জন্য আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান খান।

সিলেট সিটি নির্বাচনে যেহেতু বিএনপি’র কোন প্রার্থী নেই, এই নির্বাচনটিকে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে করছেন? - এমন প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি সিলেট নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে। আমি প্রত্যেক প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেই কাজ করছি। আমি কখনোই মনে করছি না যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। বিষয়টি হচ্ছে, যারা সরকার, আওয়ামী লীগ বা নৌকা পছন্দ করে না, তাদেরতো একটি জায়াগায় যেতে হবে। তাই আমি সবাইকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ধরেই ২১ জুনের নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

যেহেতু লম্বা সময় আপনি দেশের বাইরে ছিলেন, সেহতু সিলেটের মানুষের সাথে আপনার সংযোগ নেই বলে অনেকে মনে করছে। এ বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন? – এমন প্রশ্নে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল। সিলেটের মানুষের সাথে আমার সংযোগ আগেও ছিল, এখনও আছে। মানুষজন আমাকে উল্টো ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। যেহেতু আমি বিদেশে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং লোকাল গভর্মেন্টে ভলেন্টিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি এটিকে সবাই ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছে। আর আমি কিন্তু রাজনীতি থেকে কখনোই অনুপস্থিত ছিলাম না। আমি একজন তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী। আমার জন্ম সিলেটে, আমার স্কুল কলেজও সিলেটেই। আমি রাজনীতি শুরু করেছি সিলেটে। সেই হিসেবে বিগত প্রত্যেকটি নির্বাচনে আমি কাজ করেছি। ড. এ কে মোমেন সাহেবের নির্বাচনে আমি কাজ করেছি। সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সাহেবের পক্ষেও আমি কাজ করেছি। 

সিলেট শহরকে আপনি কিভাবে দেখতে চান, আপনার পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলেটের প্রধান সমস্যা হল নালা-নর্দমার ময়লা-আবর্জনা। সিলেট নগরটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। সিলেটে জলাবদ্ধতাও একটি বড় সমস্যা, একটু বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যায়। আমরা চাই এই জলাবদ্ধতা থেকে সিলেটবাসীকে মুক্ত করতে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, সুরমা নদি খনন, শহর রক্ষা বাধ ইত্যাদি ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। 

তিনি বলেন, নগরবাসীর নিরপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো শহরকে সিসিটিভি’র আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে আমাদের। আমাদের ১ হাজারের মত লোক এখন আউটসোর্সিং করছে, আমাদের টার্গেট এই সংখ্যাকে ৫০ হাজারে নিয়ে যাওয়া। সিটিতে আমরা একটি হাব খুলে দিব এবং আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পে-পালকে নিয়ে আসার একটি পরিকল্পনা আমাদের আছে। এতে করে টাকা নিয়ে আসতে তাদের সুবিধা হবে। আমাদের সিলেটে যেহেতু কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই, সে হিসেবে আমরা পর্যটন খাতকে আরও প্রাধান্য দিব। যাতে পর্যটন নগরী হিসেবে সিলেট আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘এখন সবচেয়ে জরুরী হলো দলকে এক কেন্দ্রে নিয়ে আসা’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি এখন একটা ফানুসে পরিণত হয়েছে, একটা সার্কাসে পরিণত হয়েছে। তারা জনগণের যে অভিব্যক্তি, সেটা বুঝতে পারছে না। গাজীপুরের জনগণ একটি জিনিস প্রমাণ করেছে যে জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সংকল্পের সাথে তারা এক এবং অভিন্ন। যেকারণে বিএনপি এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র জনগণ ব্যর্থ করে দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। ভোটাররা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রেড কার্ড দেখাবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি সিটি নির্বাচন রয়েছে এবং এরপর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসমস্ত বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপচারিতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জয়-পরাজয় এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিরোধী দলগুলো বিদেশীদের কাছে বুঝানোর অপচেষ্টা করেছে যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরপেক্ষে নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এখানে সত্যের জয় হয়েছে, এখানে বাংলাদেশের সংবিধানের জয় হয়েছে, এখানে শেখ হাসিনার জয় হয়েছে।

গাজীপুরের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ করার কি সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন তো এমনি হওয়া উচিত। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে কারণ জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং শান্তি পেয়েছে এবং যে স্বপ্ন দেখেছে, স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখেছে কাজেই জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষেই থাকবে। এখানে আমি একটি বিষয় বলে রাখতে চাই সেটি হলো ১৯৭০ সালে নির্বাচন হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নৌকার নির্বাচন আর এবারের নির্বাচনের প্রতীক হবে শেখ হাসিনার নৌকার নির্বাচন। শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে যে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দাঁড়াবেন তাকে মানুষ বিপুল ভোট জয়যুক্ত করবে।

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে দলের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, চেষ্টা করলে যে কোনো ব্যাপারে সফল হওয়া যায়। আমি সিলেটের উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি সিলেটে বহু যোগ্য প্রার্থী সিটি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলো, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলো। লোকে বলে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মরহম বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান সাহেব পরাজিত হয়েছে আমাদের দলীয় কোন্দলের কারণে। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি এবার সিলেট রাজনীতিতে যে কোনো সময়ের চেয়ে দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে। দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, কাউন্সিল করা এটা কিন্তু আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যার যার দায়িত্ব তাকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং দায়িত্ব পালন করলে ফল যে আসে তার প্রমাণ সিলেটে নির্বাচনে পাবেন। 

তিনি আরও বলেন, সিলেটের এর চেয়েও শোচনীয় পরিবেশ ছিলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। সে নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি যে ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নেতাকর্মীরা প্রভাবিত হয় না। নেতাকর্মীরা কারও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরা তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বেকে সামনে রেখে এক কেন্দ্রে উপস্থিত করা হল আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমরা গিয়ে শুধু ভাষণ দিয়ে আসলাম এটি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয়। এখন সবচেয়ে জরুরী হলো দলকে এক কেন্দ্রে নিয়ে আসা। শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে এক কেন্দ্রে নিয়ে আসা। তাহলে যে কোনো পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগই জয় লাভ করবে। দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং আগামী নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিশ্চিত হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আমার বিশ্বাসের জায়গাটা ভঙ্গ হয়েছে’


Thumbnail

‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। যারা অপপ্রচার করেছিল, মিথ্যাচার করেছিল যে, এই সরকারের আমলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায় না। অতীতেও তাদের সে কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গাজীপুরের নির্বাচনে সেটা আরও মিথ্যা প্রমাণিত হলো যে, তারা যে অপ্রপচার করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, নির্বাচন অবাধ হয় না, সুষ্ঠু হয় না, গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে- সেটা জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের এই মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। তাদের মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে।’- বলছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।      

সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। কিন্তু এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী  আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন, নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এতো কিছুর পরও কেন পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান? সর্বোপরি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেমন হয়েছে?- এসব বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন -এর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গ। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন -এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন। 

গাজীপুর নির্বাচনে আজমত উল্লা সাহেবের পরাজয়ের কারণ কি? - এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘এটা আমরা আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জানাবো। যারা ওইখানে টিম লিডার ছিল, সমন্বয়কারী ছিল, তারা এটা মূল্যায়ন করবেন, মূল্যায়ন করার পরে এ বিষয়ে আমরা জানাবো।’ 

‘আপনি কি মনে করেন দলীয় যে শীর্ষ নেতারা এই নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের কি কোনো ধরনের অবহেলা, কোনো ধরনের গাফিলতি কিংবা শুধু দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপরই এই নির্বাচন নিয়ে নির্ভর করা- এসব কারণে কি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় ঘটতে পারে বলে আপনি মনে করেন?’- এমন প্রশ্নে এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ- বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে যা করেছেন, সেই ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের যে আস্থা, ভালোবাসা আছে, আমরা যদি তৃণমূলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে নৌকাকে কেউ হারাতে পারবে না। এটা হচ্ছে আমার ধারণা। সেই ক্ষেত্রে এখানে কি হয়েছে, তা টিম লিডার বা সমন্বকারী- তা জবাব দিবে।’

‘গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম তার মায়ের নির্বাচনের সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি নিজে, একজন একক একা মানুষ, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত একজন নেতা। বিগত সময়ে গাজীপুরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, সেটা জাহাঙ্গীর আলম মেয়র থাকাকালীন সময়েই হয়েছে। আওয়ামী লীগের সময়েই গাজীপুরের এই উন্নয়ন সাধন হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে অনেক বয়জেষ্ঠ্য নেতারা সেখানে নির্বাচনী প্রচারে থাকা সত্বেও জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন কেন পাশ করলেন, এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?’- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বললাম তো- টিম লিডার মন্তব্য করবে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

‘কেন পাশ করলেন জাহাঙ্গীর আলমের মা?’- প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়েছে, তাই পাশ করেছে।’

‘সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাদের পেছন থেকে গোপনে কোনো ইন্ধন আছে কি না?’- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বললাম তো, ওইখানকার যে সমন্বয়কারী মির্জা আজম সাহেব, তিনি এই ব্যাপারে একটা রিপোর্ট দিবেন, সেই রিপোর্টের আলোকে তখন কথা বলব।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথা বলতে পারি, আমার যে বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে- আমি মনে করি,আমার বিশ্বাসের জায়গাটা ভঙ্গ হয়েছে।’

এস এম কামাল হোসেন   গাজীপুর   সিটি নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন