সুপ্রিম
কোর্ট বার কাউন্সিল নির্বাচনের
ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (১৪
মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট
বার ভবনে ব্যালট ছিনতাই, হট্টগোল ও ধাওয়া পালটা
ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন
পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন
উপ কমিটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন উপ কমিটি
গঠনের কথা আসে। এই
নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি
সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হট্টোগোল, ধাওয়া – পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ
সময় ভোটের ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে।
ফেসবুকে
ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে
দেখা যায়, বিএনপির প্রার্থীর
পক্ষের লোকজন ব্যালট ছিনতাই করছে। একাধিক আইনজীবী অভিযোগ করেন, তারা বিএনপিপন্থী আইনজীবী
খোকনের লোকজন।
এদিকে
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামিকাল বুধবার ভোটগ্রহণ শুরু হবে কিনা
বা নির্বাচন পরিচালনায় নতুন উপ কমিটি
গঠন হবে কি না
সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জায়া যায়নি।
এ ঘটনা সম্পর্কে
জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ
বলেন, এ সংক্রান্ত কোন
তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আমরা
খোঁজ নিচ্ছি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক
চৌধুরী গত সোমবার (১৩
মার্চ) পদত্যাগপত্র জমা দেন। ব্যক্তিগত
কারণ দেখিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বার সম্পাদকের কার্যালয়ে
এ পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
১৫ ও ১৬ মার্চ
(বুধ ও বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত
হতে যাওয়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা
প্যানেলে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন
ফকির, সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক
অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা
প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন—
সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ আলী
আজম ও জেসমিন সুলতানা,
ট্রেজারার পদে মাসুদ আলম
চৌধুরী, সহ-সম্পাদক পদে
নুরে আলম উজ্জ্বল, হারুনুর
রশিদ।কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মনোনীত সাত
প্রার্থী হলেন— মো. সাফায়েত হোসেন
সজীব, মহিউদ্দিন রুদ্রু, শফিক রায়হান শাওন,
সুভাষ চন্দ্র দাস, নাজমুল হোসেন
স্বপন, মো. দেলোয়ার হোসেন,
মনিরুজ্জামান রানা।
আর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি
পদে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব
উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক
পদে রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই প্যানেলের অন্য
প্রার্থীরা হলেন— সহ-সভাপতি পদে
অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির মঞ্জু, অ্যাডভোকেট
সরকার তাহমিনা সন্ধ্যা, সহ-সম্পাদক পদে
ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল করিম,
কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট রেজাউল
করিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আশিকুজ্জামান
নজরুল, অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট ফজলে এলাহি অভি,
ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট
রাসেল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত ২৩
ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২০২৪ সেশনের
কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী
১৫ ও ১৬ মার্চ
বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমিতির সম্পাদক
মো. আবদুন নূর দুলাল এ
তফসিল ঘোষণা করেন। কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে দুটি, সম্পাদক
পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহ-সম্পাদক পদে দুটি এবং
কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে সাতটি পদ-সহ সর্বমোট ১৪টি
পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনার
জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে
সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি গঠন
করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন ভাঙ্গচুর ব্যালট ছিনতাই
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী লিগ্যাল নোটিশ মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এ
জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকালে সিঙ্গাাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম
সজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টে এবং ১৯৮৫ সালে
আপিল বিভাগে অনুশীলনের জন্য তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি
জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত
হন।
তিনি ২৪ জানুয়ারী ২০০৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ, জে, মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট বার
মন্তব্য করুন
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত
হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায়
হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক
পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল
ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান
ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক
গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর
দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ
করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের
২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩
জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী
হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড.
মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার
(০২ মে) দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের
আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক
পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল
ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান
ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক
গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর
দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ
করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের
২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩
জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী
হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন