দুদকের করা ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার সাবেক মেয়র, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা হাজিরা দেন। এদিন মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন। বিচারক চার্জশিট আমলে নিয়ে পাসপোর্ট ও ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৬ এ বদলির আদেশ দিয়েছেন। তাদের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা আদালতে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় দুজনেই জামিনে রয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ প্রকৃত পক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অর্জন করেছেন। কেননা আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসেবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ মিলেছে। মির্জা আব্বাস ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য, মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদক আফরোজা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ী এমএনএইচ বুলুর কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ ও বাবা-মা এবং বোনের কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসেবে নিয়েছেন। তবে ওই টাকাসহ মোট সম্পদের হিসাবের স্বপক্ষে কোনো রেকর্ড দেখাতে পারেননি।
অন্যদিকে আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী। কিন্তু তার স্বামী মির্জা আব্বাস বিভিন্ন খাতের টাকা স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন। আফরোজা আব্বাস নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।
দুদকের তদন্তে অবৈধ ওই সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপনকরণে কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আফরোজা আব্বাস ও তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সঙ্গে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন।
আব্বাস দম্পতি দুদক মামলা চার্জশিট মুচলেকা জামিন
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের উপ-নির্বাচন
স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ
দেন।
গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মারা যান। শূন্য হওয়া এই আসনে আগামী ৫ জুন উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
মন্তব্য করুন
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য
বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১ মাসের মধ্যে তাকে
দেশে ফিরতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল
বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ৩০ এপ্রিল ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ৩০ মার্চ আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আদালতে আবেদন করেন।
গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের
মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি
ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার
বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন।
পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন
খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ
অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই
বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড
দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের
১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল
বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে
আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন
সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল
ও সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রোববার বন্ধ থাকবে সুপ্রিম
কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ।
রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর
আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চ বসবেন না।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্তের
কথা জানান। তিনি বলেন, আইনজীবীরা শুধু আজ তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের
সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ সকাল ১১ টা পর্যন্ত বসবেন।
এর আগে, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান
বিচারপতির নেতৃত্বে চারজন বিচারপতি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে বসেন।
গত ২ মে মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান তিনি।
সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫
থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট বিচারকাজ
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী লিগ্যাল নোটিশ মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন