বেশ
কয়েকটি বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা নগরবাসীকে শঙ্কিত করে তুলেছে। তবে
আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক
থাকাটাই শ্রেয়। আবাসিক ভবন কিংবা কর্মস্থলে
দুর্ঘটনা এড়াতে সবার সচেতনতা আবশ্যক।
গ্যাস বা বিদ্যুৎ–সংক্রান্ত
দুর্ঘটনা যেমন ঘটতে পারে,
তেমনি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এয়ার কন্ডিশনার বা
এসি) থেকেও ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এমনিতে এই যন্ত্র থেকে
বিস্ফোরণের ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে
অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে
পারে এসি। মানসম্মত এসি
ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী ব্যবহার এবং সঠিকভাবে সেগুলোর
রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এমন
দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অভ্যন্তরে যে সামান্য পরিমাণ গ্যাস থাকে, তা থেকে যদি বিস্ফোরণ হয়ও, তা খুব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে না। এই বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় না। আর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এসি থেকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে না। বাহ্যিক আঘাত (যেমন ইটের টুকরার আঘাত) এসির জন্য ক্ষতিকর। একটানা এসি চালিয়ে রাখাও ক্ষতিকর। এবার জেনে নেয়া যাক এই যন্ত্রের যত্নআত্তি—
গরমের
শুরুতেই যে কাজটি করতে
হবে
শীতে
সাধারণত এসি চালানো হয়
না। তাই গরমের শুরুতে,
অর্থাৎ এসি ব্যবহার শুরুর
আগেই দক্ষ ব্যক্তির শরণ
নেওয়া প্রয়োজন। তিনি ঘরের ভেতর
ও বাইরের অংশে সব ঠিক
আছে কি না, দেখে
দেবেন। এসির বাইরের অংশে
পাখি, বাদুড়, ইঁদুর, টিকটিকি এমনকি সাপও আশ্রয় নিতে
পারে। কোনো প্রাণী সেখানে
থাকলে এসি চালানোর আগেই
এগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে দিতে হবে।
নিজেরাই করি
১৫ দিন অন্তর
এসির ফিল্টার নেট পরিষ্কার করতে হবে। বড়জোর মিনিট পাঁচেকের এই কাজ আপনার এসিকে রাখবে
নিরাপদ ও কর্মক্ষম। আপনার এলাকায় ধুলা কম হলে এই কাজটা মাসে একবার করলেই চলবে। কীভাবে
এই কাজটি করবেন, তা এসি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকেই শিখে নিন। এসি চালানো না হলে অবশ্য
এর প্রয়োজন নেই। ঘরের ধুলা বা ঝুল পরিষ্কার করার সময় এসি বন্ধ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা
উচিত।
কেবল যন্ত্রই
দায়ী নয়
যন্ত্রের যেমন ত্রুটি হতে পারে, তেমনি আনুষঙ্গিক সামগ্রীরও ত্রুটি থাকতে পারে। হতে পারে শর্টসার্কিট। যেসব তার বা কেব্ল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো যাতে মানসম্মত হয়। সংযোগ দিতে হবে সঠিকভাবে। এসি বরাবর ঠিক নিচে সুইচ বা প্লাগ না রাখাই ভালো। সার্কিট ব্রেকার থাকতে হবে ঠিকঠাক। ভবনের আর্থিং করানো থাকতে হবে অবশ্যই। নগরের অধিকাংশ ভবনে বহু পরিবারের বাস। জীবনকে আরামদায়ক করতে চান সবাই। এত এত যন্ত্র চালানোর মতো বৈদ্যুতিক সক্ষমতা আপনার ভবনের আছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
খেয়াল
রাখুন
ঘরের
আয়তন অনুযায়ী এসি নিন। এসি
চালানো অবস্থায় ঘরের দরজা-জানালা
বন্ধ রাখুন। এসির কাছাকাছি কোনো
দাহ্য পদার্থ কিংবা রাসায়নিক দ্রব্য রাখবেন না। গ্যাসের লাইন
থেকে এসি দূরে বসান।
৬ মাস অন্তর দক্ষ
ব্যক্তিকে দিয়ে এসির ভেতর
ও বাইরের অংশের রক্ষণাবেক্ষণ করিয়ে নিন। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান
থেকে দক্ষ কর্মীকে আনিয়ে
নিতে পারেন। এসি ঠিকভাবে কাজ
না করলে, অস্বাভাবিক শব্দ করলে, এসি
থেকে পানি পড়লে কিংবা
অন্য কোনো সমস্যা হলে
সঙ্গে সঙ্গে এসি বন্ধ করে
দিন। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিন। এসির বাইরের
দিকে ঝোপঝাড় বা ময়লার স্তূপ
হতে দেবেন না।
এসি বিস্ফোরণ সচেতনতা এসির যত্ন
মন্তব্য করুন
ত্বকের
প্রধান সমস্যাগুলো সাধারণত ধুলা-বালি, দূষণ,
বাইরের খাবার খাওয়া, পানি কম পান
করা থেকে দেখা দেয়।
তবে ত্বকের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়
সূর্যের প্রচণ্ড তাপ ও আলো
থেকে। সুর্যকে নিয়ন্ত্রণ করা না
গেলেও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ত্বক ভালো রাখতে সেদিকেই বেশি মনযোগ দেওয়া
প্রয়োজন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে, এমন কিছু খাবার আমরা নিয়মিত খাই যেগুলো সূর্যের
তাপ ও আলো থেকেও ত্বকের বেশি ক্ষতি করে।
আম
মধু মাসে আম
ছাড়া ভাবাই যায় না। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত আম খাওয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
চেন্নাইয়ের
‘অ্যাপোলো স্পেক্ট্রা হসপিটাল’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সুভাষিণী মোহন হেলদিশটস ডটকম’য়ে
প্রকাশিত বলেন, “অতিরিক্ত আম খাওয়া হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে ‘সিবাম’ উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এটা ত্বককে তৈলাক্ত করে লোমকূপ আটকে ফেলে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ ও ব্রেক আউট। এছাড়াও ব্রণ
প্রবণ ত্বকের অধিকারীরা আমের মতো বাড়তি শর্করা-জাতীয় ফল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণের
মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন।”
ভাজাপোড়া
বাইরের খাবার
মানেই তা হবে তেল-মশলাদার। এই ধরনের খাবার স্বাদের যত্ন নিলেও ত্বকের জন্য একেবারেই
উপকারী নয়। তেল চপচপে খাবার খেলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্রন হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশি
ভাজাপোড়া খেলে এমনিতেই ত্বকের ক্যানসার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
মিষ্টি
চিনি ত্বকের
জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে যেমন ওজন বেড়ে যায়, তেমন ত্বকেও
এর প্রভাব পড়ে। মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা ব্রনের সমস্যা ডেকে আনে। তাই ব্রনের ঝুঁকি এড়াতে
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা যেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট-জাতীয়
খাদ্যাভ্যাস
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট
সমৃদ্ধ খাবার বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত ‘কার্ব’ যেমন- সাদা রুটি, পাস্তা ও চিনি দেওয়া নাস্তা
দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ফলে দেহে ইন্সুলিন উৎপাদন বাড়ে (আইজিএফ ১)।
এটা হরমোনের
ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে ত্বক তৈলাক্ত করে ফেলে। আর ব্রণের সৃষ্টি করে।
ডা মোহন বলেন,
“কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার সাধারণত উচ্চ প্রোটিন ও আঁশহীন হয়। এটা অতিরক্তি
গ্লাইকেইশনের উৎপাদন কমিয়ে দেহ ও ত্বকের ওপর নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। ফলে বার্ধক্যের
ছাপ দ্রুত পড়ে।”
কম আঁশবহুল
খাবার
কম আঁশ বহুল
খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয়- রক্তের শর্করা বাড়ায় এবং অন্ত্রের অণুজীবকে
বিব্রত করে। ফলে প্রদাহ ও ব্রণ দেখা দেয়।
ডা মোহন বলেন, “উচ্চ আঁশ ধরনের খাবার যেমন- পাতাবহুল শাক, সবজি, ফল ও বাদাম হজমে উন্নত করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যারা
দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপানের
অভ্যাস লালন-পালন করে
আসছেন, তাদের পক্ষে হঠাৎ ধূমপান ছেড়ে
দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এমন অনেকেই আছেন যারা পরিবার,
বন্ধুবান্ধব, অফিসের সহকর্মী এমনকি, চিকিৎসকের নিষেধ উপেক্ষা করে এ অভ্যাস
চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বার বার সতর্ক
করছেন যে, সুস্থ জীবনযাপন
করতে ধূমপানের অভ্যাস জীবন থেকে বাদ
দিতে হবে। অনেকে আছেন
যারা ধূমপান ছাড়তে চেয়েও পারছেন না। কোন কোন
অভ্যাস ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে তার জেনে
নিন।
আপনার চারপাশের
মানুষেরও
ক্ষতি
হচ্ছে
ধূমপান
যিনি করেন, তার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি
থেকে যায়। তেমনই পরোক্ষ
ধূমপানের ফলে আশপাশে থাকা
মানুষেরও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। যা একেবারেই কাম্য
নয়। ধূমপান ত্যাগ করে নিজেকে এবং
চারপাশের মানুষজনকেও সুস্থ রাখুন। পরিবার ও সন্তানের কথা
ভেবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হন।
জীবনযাপনে বদল আনুন
গবেষণা বলছে, আমিষ এবং মাংসজাতীয়
খাবার খাওয়ার পরই মূলত ধূমপান
বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই
ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে কিছু
দিন বেশি করে ফলমূল
ও শাকসব্জি খেতে পারেন। এ
ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বিশেষ করে যোগাসন, প্রাণায়ামের
অনুশীলন বেশি করে করুন।
মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন
অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয়, নরম পানীয়, চা
বা কফি খাওয়ার পরে
যোগ্য সঙ্গত হিসাবে ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের
অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে প্রথমে
এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন।
পছন্দের চকলেট খেতে পারেন
ধূমপানের অভ্যাস বদলে ফেলুন চকলেট
খেয়ে। চকলেট বা চুউইংগাম খাওয়ার
অভ্যাস তৈরি হলে ধূমপানের
আগ্রহ চলে যাবে।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যে কোনও অভ্যাস থেকে বেরোতে খানিক সময় লাগে। তবে নিজের চেষ্টায় ধূমপানের আসক্তি ত্যাগ করতে না পারলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাদের পরামর্শে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিরও সাহায্য নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
সারা
দিনে একবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেলেন না। এ কারণে
কখনো কি এমন মনে
হয় যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ
কিছু মিস করছেন? কিংবা
অন্যরা খুব ভালো জীবন
যাপন করছেন, যা থেকে আপনি
বঞ্চিত হচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনার
মধ্যে একটি বিশেষ প্রবণতা
আছে, যেটার নাম ফিয়ার অব
মিসিং আউট (ফোমো)।
এটি এমন একটি বিষয়,
যা আপনার মধ্যে এমন এক অনুভূতির
জন্ম দেয় যে অন্যরা
হয়তো আপনার অনুপস্থিতিতে অনেক মজা করছেন
বা করবেন। অন্যদের দেখে মনে হওয়া
যে তাঁরা ভালো জীবন যাপন
করছেন, যা আপনি কোনো
কারণে পারছেন না। মোট কথা,
এটি আপনার মধ্যে এমন একটি অনুভূতির
সৃষ্টি করে যে আপনি
গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করছেন।
কিন্তু বাস্তবতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভিন্ন।
ফোমোর অনুভূতি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়। উদ্বেগটি আপনাকে বোঝায় যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ঘটনা বর্তমানে অন্য কোথাও ঘটছে, যেটি সম্পর্কে আপনি অনবরত খোঁজ না রাখলে পিছিয়ে পড়বেন। জীবনকে আরও ভালো করে তুলতে পারে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে ক্রমাগত সংযুক্ত থাকার ইচ্ছা মানুষকে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ করছে, যা তাঁকে এসব তথ্য সম্পর্কে সারাক্ষণ অবগত রাখে।
সে সম্পর্কে
মানুষ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশি জানেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের
কারণে, যা দেখে অন্যদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনকে মিলিয়ে ফেলার মতো ঘটনাও বাড়ছে। আগে
হয়তো আত্মীয়স্বজনেরাও খুব বিশেষ মুহূর্তগুলোয় উপস্থিত না থাকলে সেভাবে কেউ জানতেন না।
মুখে মুখে শুনলেও সেটা মানুষকে সেভাবে স্পর্শ করত না। আর একটু দূরের পরিচিত হলে তো
জানারও কোনো উপায় ছিল না। এখন নানা মাধ্যমে প্রযুক্তি আমাদের নিয়ে এসেছে একই ছাতার
নিচে। যেখানে কোনো বিষয়, ঘটনা, এমনকি সুখ—সবকিছুই একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে
বলে মনে হয়। মানুষ তাঁদের বাছাই করা সেরা ছবি দিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন, যা অন্যদের
উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়। নিজের মধ্যে কী কী অভাব রয়েছে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে।
নিজের মধ্যে এই ‘ফোমো’ অনুভূতি কমাতে চাইলে কিছু বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।
মনোযোগের পরিবর্তন
আপনার কিসের
অভাব রয়েছে, তার ওপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে আপনার কী আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার
চেষ্টা করুন। আপনার কী নেই, সেই তালিকা যদি বেশি লম্বা করে ফেলেন, তাহলে নিজেকে অসুখী
মনে হবে। তাই নিজের যা আছে, সেটার মধ্যে সুখ খোঁজার চেষ্টা করুন।
ডিজিটাল ডিটক্স করার চেষ্টা করুন
ডিজিটাল ডিটক্স
মানে হচ্ছে, সব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতি নেওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোমো থেকে দূরে থাকতে এবং আপনার বাস্তব জীবনের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে ডিজিটাল ডিভাইসের
ব্যবহার কমাতে হবে। এতে আপনার মধ্যে ফোমোর প্রবণতা কমে আসবে।
জার্নাল রাখুন
নানা রকম অভিজ্ঞতার
স্মৃতি ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করাটা একটা সাধারণ প্রবণতা। কিন্তু
সে ক্ষেত্রে অনলাইনে দেওয়া আপনার অভিজ্ঞতাগুলো সবাই পছন্দ করছেন কি না, সে সম্পর্কে
আপনি উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। যার ফলে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে যাবেন। যদি
এমন হয়, তাহলে এর পরিবর্তে আপনি আপনার কিছু ছবি এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যক্তিগত
অ্যালবাম বা ডায়েরি রাখুন। এই অভ্যাস আপনাকে আরও ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
বাস্তব সম্পর্ক স্থাপন
সব সময় যোগাযোগ ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ভার্চ্যুয়াল জগতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাস্তবে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করতে পারেন।
প্রযুক্তির
এই সময়ে ‘মনোযোগ অর্থনীতি’ নামক একটি নতুন বিষয়ও আলোচিত। একটি
পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তিগুলো ক্রমাগত আমাদের মনোযোগের দখল নেওয়ার
চেষ্টায় আছে। কিছু থেকে বাদ পড়ে না যাওয়ার ভয়ে সব সময় সবকিছুতে অংশগ্রহণ কিংবা
সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকার কারণে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়ার
চক্র সেই মনোযোগ অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে। তাই এটি থেকে বের হয়ে আসা মানসিক স্বাস্থ্যের
জন্য জরুরি।
মিস করা ফোমো প্রযুক্তি রোগ প্রযুক্তিগত রোগ ডিজিটাল রোগ
মন্তব্য করুন
এবারেও ঈদ-উল-ফিতরের আয়োজনে পোশাকে ট্রেন্ডি এবং ট্রেডিশনাল লুকের নান্দনিক উপস্থাপন করেছে। দেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি, ধুপিয়ান সিল্ক, তসর সিল্ক, লিলেন, কাতান, জ্যাকার্ড কাপড় ব্যবহার করেছে, রঙের ব্যবহারেও কনট্রাস্ট কালারের পাশাপাশি রঙের ‘ম্যাচিউরড টোন’ এর পরিমিত ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। কাজের মাধ্যম হিসাবে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, ডিজিটাল প্রিন্ট, মেশিন এমব্রয়ডারী, কম্পিউটার এমব্রয়ডারী, হ্যান্ড এমব্রয়ডারী, কারচুপি, নকশী কাঁথা জারদৌসীসহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল...