ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে গতকাল মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় আগে ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর থেকে দৃশ্যত এখন পর্যন্ত রুশ–মার্কিন বিবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ্য ঘটনা হয়ে উঠেছে এটি।

এ ঘটনা একই সঙ্গে যেমন অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, সেই সঙ্গে এক বিপৎসংকুল মুহূর্তও তুলে ধরেছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) জন কিরবি বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে (যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে) বাধা দেওয়ার অন্যান্য ঘটনাও ঘটেছে। তবে ওই ঘটনা একেবারেই ভিন্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরের ওপর দিয়ে রাশিয়ার দুটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপার ড্রোন উড়ছিল। এ সময় একটি যুদ্ধবিমান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ড্রোনের সামনে যায় ও এটির প্রপেলারে আঘাত করে।

এ বিষয়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল জেমস বি হেকার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তাঁদের ওই ড্রোন আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় নিয়মিত অভিযানে ছিল। তখন সেটিকে আঘাত করে রুশ যুদ্ধবিমান।’

এটি কি কোনো দুর্ঘটনা?

‘রাশিয়ার বিমানচালকদের নেওয়া পদক্ষেপের ভিত্তিতে এটি পরিষ্কার, ওই ঘটনা ছিল রাশিয়ার একটি অনিরাপদ ও অপেশাদার পদক্ষেপ’, বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পদক্ষেপ তাদের (রাশিয়ার) নিজেদের কথাই বলছে।’  

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী, রুশ যুদ্ধবিমান ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটির সামনে যায় এবং সেটির যাত্রাপথে কয়েকবার জ্বালানি তেল ফেলে। এরপর যুদ্ধবিমানটি ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এ ঘটনা কি দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়ে যাওয়াকেই নির্দেশ করছে?

পেন্টাগন বলেছে, পুরো ঘটনার স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। জেনারেল রাইডার বলেন, এ সময়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি।

কিছু মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের ধারণা, রাশিয়ার এসইউ–২৯ যুদ্ধবিমানের যেটি সংঘর্ষে জড়িয়েছে, সম্ভবত সেটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি এ ইঙ্গিত করে, ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ছিল না।

‘আমি জানি, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ ঘটনাকে ঘিরে আমাদের উদ্বেগ সরাসরি রুশ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করছে’, বলেন জেনারেল রাইডার।

কৃষ্ণসাগরে মার্কিন ড্রোনের তৎপরতার ভবিষ্যৎ ও ইউক্রেনকে দেওয়া নজরদারিমূলক সহায়তার ক্ষেত্রে এ ঘটনার তাৎপর্য কি? উঠেছে এমন প্রশ্নও।

জন কিরবি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে (ভিওএ) বলেন, ‘এ ঘটনার যদি এটিই বার্তা হয় যে তারা (রাশিয়া) কৃষ্ণসাগরের আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা বা উড়োজাহাজের উড্ডয়ন প্রতিহত করতে বা এসব থেকে আমাদের নিবৃত্ত করতে চায়; তবে এ বার্তা ফলপ্রসূ হবে না। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু মানবে না।’

বিস্ময়কর না হলেও রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোকে কৃষ্ণসাগরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনাকে যতটা সম্ভব কঠিন করে তুলবে।

অবশ্য ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ওয়াশিংটন এ পর্যন্ত শক্তভাবেই মুখ আটকে রেখেছে।

রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর দূরবর্তী অবস্থানে থাকা মার্কিন বিমানের পাইলটরা ড্রোনটিকে ভূপাতিত করতে বাধ্য হন।

ড্রোনটি কোথায় নামানো হয়েছে বা রুশ নৌবাহিনী এটিকে জব্দ করার চেষ্টা করছে কি না, সে বিষয়ে জেনারেল রাইডার কিছু বলেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু অডিও রেকর্ডিংয়ে দৃশ্যত এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ড্রোনটি জব্দ করতে অভিযান চালাচ্ছে রুশ নৌবাহিনী। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এটি স্পষ্ট, রাশিয়ার হাতে এমন স্পর্শকাতর প্রযুক্তি গেলে ওয়াশিংটনের জন্য তা স্বস্তিদায়ক হবে না। আর ইউক্রেনের জন্য ‘যত দিন প্রয়োজন’ সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনে জন্য বর্তমান মুহূর্তটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

এসব ড্রোন শুধু পশ্চিমা অস্ত্রই নয়; এগুলো রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেও সহায়তা করছে ইউক্রেনকে।

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌযানের চলাচল ও ইউক্রেনকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ  রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিটি পদক্ষেপের তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্যের এক বিশাল ভান্ডারও এসব ড্রোন।

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অবকাঠামো টিকিয়ে রাখা থেকে শুরু করে নিজস্ব আক্রমণ পরিচালনার পরিকল্পনা পর্যন্ত নানা বিষয়ে কিয়েভ নিরবচ্ছিন্ন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

অনিবার্য কারণেই মার্কিন কর্মকর্তারা এখন নজরদারি কার্যক্রমে বাড়তি কিছু যুক্ত করতে চাইবেন না। ওয়াশিংটন স্বাভাবিক নজরদারি কার্যক্রমই চালু রাখতে চাইবে। তবে শক্তি প্রয়োগ এড়ানো ও মস্কোর সঙ্গে আরও সরাসরি সংঘাতে যুক্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে তার।    

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই নজরদারির কাজে কৃষ্ণসাগরের আকাশসীমায় রিপার ড্রোন দিয়ে অভিযান চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী রুশ জঙ্গি বিমানকে দোষারোপ করলেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ভিন্ন কথা। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিমান কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি বা ড্রোনটির সংস্পর্শে আসেনি।

মস্কো বলেছে, রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্সেসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে কৃষ্ণসাগরে একটি মার্কিন এমকিউ–৯ ড্রোন শনাক্ত করে। সেটি রুশ ফেডারেশনের সীমান্ত বরাবর এগোচ্ছিল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য যে অস্থায়ী আকাশপথ তৈরি করা হয়েছে, তা সেটি লঙ্ঘন করছিল। তখন অনুপ্রবেশকারী ড্রোনটিকে চিহ্নিত করার জন্য জঙ্গি বিমান পাঠানো হয়। কিন্তু দ্রুত বাঁক বদল করতে গিয়ে এমকিউ–৯ ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সাগরে গিয়ে পড়ে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চুক্তি সই পরিকল্পনা, চীনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সরকার একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করার যে পরিকল্পনা করেছে তার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন।

তাইপের (তাইওয়ান) সঙ্গে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক লেনদেনের ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে বেইজিং।

বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং  বলেন, “চীনের সঙ্গে যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে তাইওয়ানের সঙ্গে সেসব দেশের যে-কোনো ধরনের লেনদেনের বিরোধী বেইজিং।”

ওয়াশিংটন ও তাইপে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করার লক্ষ্যে গতমাসে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। এক বছরেরও কম সময় ধরে আলোচনা শেষে তারা ওই সমঝোতায় পৌঁছে। ২০২১ সালে জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সই করার ব্যাপারে সমঝোতা হলো।  

‘এক চীন’ নীতির অধীনে তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌম ক্ষমতা রয়েছে চীনের। আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু চীনকে দুর্বল করে ফেলার লক্ষ্যে ওই নীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে ওয়াশিংটন।

তাইওয়ান   যুক্তরাষ্ট্র   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করলেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করলেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স।

রাজকীয় আয়োজন ও ধুমধাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিয়ে করেছেন জর্ডানের ক্রাউন প্রিন্স হোসেন বিন আব্দুল্লাহ। সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সেইফকে নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন যুবরাজ হোসেন বিন আব্দুল্লাহ। 

তাদের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাজপরিবারের সদস্যরা। রাজকীয় এ বিয়েটি হয় রাজধানী আম্মানের মধ্য শতকের জাহরান প্রাসাদে। ঐতিহ্যগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ প্রাসাদেই বিয়ে হয়েছিল জর্ডানের বর্তমান রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এবং রানি রানিয়ার। এছাড়া রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর বাবা সাবেক রাজা হোসেন বিন তালালের বিয়েও এই একই প্রাসাদে হয়েছিল।


নব দম্পতি হোসেন বিন আব্দুল্লাহ এবং রাজওয়া আল সেইফ দু’জনের বয়সই বর্তমানে ২৮ বছর। তাদের এ বিয়েতে মোট ১৪০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে রয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এবং ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন।

এছাড়া নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার রানি ম্যাক্সিমা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং ক্রাউন প্রিন্সেস এলিজাবেথ, ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডরিক এবং ক্রাউন প্রিন্সেস ম্যারি এতে যোগ দিয়েছিলেন।


যুবরাজের বিয়ে নিয়ে জর্ডানের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। নতুন দম্পতিকে কাছ থেকে এক নজর দেখতে অনেক মানুষ প্রাসাদের বাইরে ভীড় করেন।


মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদের দায়িত্বে রয়েছে রাজপরিবার। বর্তমান রাজা আব্দুল্লাহ দুইয়ের শাসন অবসান হলে আল-আকসার দায়িত্ব পাবেন ক্রাউন প্রিন্স হোসেন বিন আব্দুল্লাহ।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের তুলনায় জর্ডানের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে কিছুট অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা গেছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা


রাজকীয়   আয়োজন   বিয়ে   জর্ডান   ক্রাউন প্রিন্স  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিয়ের মঞ্চে বরের ফোনে এলো কিছু ছবি-ভিডিও, ওঠে গেলেন বর, তারপর....

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail বিয়ের মঞ্চে বরের ফোনে এলো কিছু ছবি-ভিডিও, ওঠে গেলেন বর, তারপর....

বিয়ের আসর। বসে আছেন বর ও কনে, শুরু হয়েছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও। হঠাৎই বেজে উঠল বরের মোবাইল ফোন। সেই ফোন পেয়েই বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে উঠে গেলেন বর। তার অভিযোগ, ফোনটি করেছেন কনের প্রাক্তন প্রেমিক। তাকে বিয়ে না করার জন্য হুমকি দিয়েছেন। এরপর কনের পরিবারের অনুরোধেও কাজ হয়নি। বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান তরুণ। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কনের বাড়ি সিদ্ধার্থনগরে। সম্প্রতি ওই তরুণের সঙ্গে তার বিয়ে স্থির হয়। নির্ধারিত দিনে বিয়ে করতে আসেন বর। বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। মালাবদল হয়। এরপরই বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে যান বর। তিনি অভিযোগ করেন, তার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে একটি কল আসে। ফোনে তাকে বলা হয়, ‘আপনি যাকে বিয়ে করছেন, সে আমার। বিশ্বাস করতে না চাইলে কিছু ছবি এবং ভিডিও, পাঠালাম, দেখুন।’ 

এরপরই তরুণের মোবাইলে কিছু ছবি এবং ভিডিও পাঠানো হয়।

তারপর বিয়ের বাকি অনুষ্ঠান শেষ না করে বেরিয়ে যান বর। বিয়ের আসর থেকে কেউ একজন থানায় ফোন করেন। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। কনের পরিবার, গ্রামের প্রধানের সঙ্গে মিলে পুলিশ বরকে বোঝানোর চেষ্টা করে, বারবার অনুরোধ করে, যাতে বিয়েটা তিনি না ভাঙেন। যদিও লাভ হয়নি। বিয়ের আসর থেকে বরযাত্রীদের নিয়ে বেরিয়ে যান ওই তরুণ। যিনি বিয়ে ভাঙিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন কনের বাবা। ইতোমধ্যে সেই ‘প্রেমিক’ যিনি বরের মোবাইলে ছবি এবং ভিডিও পাঠিয়েছিলেন, তাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

সূত্র: ওড়িশা টিভি 


বিয়ের মঞ্চ   বর   ফোন   ছবি   ভিডিও  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘মা’য়ের ভুলে গরমে প্রাণ গেলো শিশুর!

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail ‘মা’য়ের ভুলে গরমে প্রাণ গেলো শিশুর!

একজন নারী তার এক বছরের শিশুকে ভুল করে গাড়ির ভিতরে ফেলে রেখে অফিসে চলে গিয়েছিলেন। সেটি ছিল সকাল আটটার ঘটনা। বিকেল পাঁচটায় অফিস শেষ হয় তার। দীর্ঘ এই ৯ ঘণ্টা তার মনেই পড়েনি সন্তানের কথা। কাজ শেষে গাড়ির দরজা খুলতেই ধাক্কা খান ওই নারী। কারণ, এই সময়ে ওই শিশুটি তখনও ওই গাড়ির পিছনের সিটেই শুয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে তার দেহ নিথর হয়ে গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।  ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ওই দেশের ওয়াশিংটনের পুয়ালাপে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ জানিয়েছে, অসহ্য গরমে বদ্ধ গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা প্রায় ১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছুঁয়ে ফেলেছিল। ৯ ঘণ্টা ধরে ওই বদ্ধ গাড়ির গরমে থেকেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।

পুলিশ আরও জানায় জানায়, শিশুটিকে ভুলে গাড়িতে রেখেই কর্মক্ষেত্রে চলে যান ওই নারী। তবে তিনি তার জন্মদাত্রী মা নন। শিশুটির পালক-মা তিনি। পুয়ালাপের গুড সামারিটান হাসপাতালে ওই নারী একজন অস্থায়ী কর্মী। শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালেই কাজ করতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ভুলে সন্তানকে গাড়িতে ফেলে রেখেই কাজে চলে যান।

ফিরে এসে শিশুটিকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যান ওই নারী। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। 

সূত্র: সিএনএন


মা   ভুল   গরম   প্রাণ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মঞ্চে হঠাৎ পড়ে গেলেন বাইডেন

প্রকাশ: ১০:৪৯ এএম, ০২ জুন, ২০২৩


Thumbnail

মঞ্চে হঠাৎ পড়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমির স্নাতক অনুষ্ঠানে ডিপ্লোমা (ডিগ্রি) হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মঞ্চে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যান বাইডেন। এরপর নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে দু’হাত ধরে টেনে তোলেন।

তবে এ ঘটনায় তিনি কোনও আঘাত পাননি বা তার কোনও ক্ষতি হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

জো বাইডেনের বর্তমান বয়স ৮০ বছর। তিনিই আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক প্রেসিডেন্ট।

জানা গেছে, বাইডেন ওই অনুষ্ঠানে ৯২১ জন গ্রাজুয়েট ক্যাডেটের প্রত্যেকের সাথে করমর্দন করেছেন। এজন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাকে পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল।

বাইডেন বর্তমানে ভাল আছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক বেন লাবোল্ট ।

বৃহস্পতিবার বাইডেনের ‘হোঁচট ও পড়ে যাওয়ার’ বিষয়ে বেন লাবোল্ট টুইটারে লিখেছেন, “যখন প্রেসিডেন্ট করমর্দন করছিলেন, সেখানে মঞ্চে একটি বালির ব্যাগ ছিল।”

ওই অনুষ্ঠান শেষে হোয়াইট হাউসে ফেরার সময় হাস্যরত বাইডেন সাংবাদিকদের কাছে মজা করে বলেন, “আমি বালির বস্তায় আটকে গিয়েছিলাম।”

হোয়াইট হাউসের একটি প্রেস পুল রিপোর্টে বলা হয়, বাইডেন মঞ্চে চলাচলের সময় একটি কালো বালির ব্যাগে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন