ইনসাইড বাংলাদেশ

অপারেশন সার্চলাইট: যেভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছিল হানাদার বাহিনী

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

২৫ মার্চ, ১৯৭১। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একরাতের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে সেই সেনা অভিযানের পরিকল্পনা হয়েছিল তারও এক সপ্তাহ আগে, ১৮ই মার্চ।

রাজনৈতিকভাবে সময়টা ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত করায় তখন বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকা। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে বাঙালি পেয়েছে নতুন দিকনির্দেশনা। ডামি রাইফেল নিয়ে ঢাকার রাস্তায় মিছিল করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। শহরে ওড়ানো হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

ঢাকায় তখন চলছে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক। আলোচনায় অংশ নিতে জুলফিকার আলী ভুট্টোও রয়েছেন বাংলাদেশে। তবে শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনায় কর্তৃত্ব ফলানোর দাবি খাটবে না, তা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলেন পাকিস্তানি নেতারা। একারণে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর পরিকল্পনা করে পশ্চিম পাকিস্তান।

‘কালরাত্রি’র সেই বর্বর অভিযানের পরিকল্পনা কীভাবে হয়, তা জানা যায় সেসময় ঢাকায় দায়িত্বরত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিকথা থেকে।

যেভাবে হয়েছিল 'অপারেশন সার্চলাইটের' পরিকল্পনা

‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৪তম ডিভিশনের জিওসি ছিলেন তিনি।

‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওউন কান্ট্রি ইস্ট পাকিস্তান, ১৯৬৯-১৯৭১’ নামে একটি স্মৃতিচারণমূলক বইয়ে অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান টেলিফোনে তার উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এবং মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজাকে কমান্ড হাউজে ডেকে পাঠান।

সেখানে পৌঁছালে টিক্কা খান তাদের বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আলোচনায় ‘প্রত্যাশিত অগ্রগতি’ হচ্ছে না। তাই সামরিক ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট। আর সে কারণে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সেই অনুযায়ী ১৮ মার্চ সকাল থেকে ক্যান্টনমেন্টের বাসায় খাদিম হুসাইন রাজা রাও ফরমান আলীর সঙ্গে অপারেশন সার্চলাইটের খসড়া তৈরি করেন।

খাদিম হুসাইন রাজা লিখেছেন, ১৮ মার্চ সকালে তিনি তার স্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন যেন বাঙ্গালি এডিসি’কে ব্যস্ত রাখেন এবং অফিস থেকে দূরে রাখেন। রাও ফরমান আলী সকাল সকাল খাদিম হুসাইন রাজার অফিসে কী করছেন এমন সন্দেহ যেন বাঙ্গালি এডিসির মনে উদয় না হয়, সেজন্যই স্ত্রীকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

অল্প সময়ের মধ্যেই দুই সেনা কর্মকর্তা পরিকল্পনার পরিসর নিয়ে একমত হন এবং দুজনে দুটি আলাদা পরিকল্পনা লেখেন। ঢাকা অঞ্চলে সামরিক অভিযানের দায়িত্ব নেন রাও ফরমান আলী এবং দেশের বাকি এলাকায় অভিযানের দায়িত্ব খাদিম হুসাইন রাজার।

সন্ধ্যায় খসড়া পরিকল্পনা নিয়ে তারা কমান্ড হাউজে যান। সেখানে খাদিম হুসাইন রাজা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন এবং কোনও আলোচনা ছাড়াই সেই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন সিদ্দিক সালিক। ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ শিরোনামে একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, জেনারেল রাও ফরমান আলী হালকা নীল কাগজের অফিসিয়াল প্যাডে সাধারণ কাঠ পেনসিল দিয়ে ওই পরিকল্পনা লিখেছিলেন। সিদ্দিক সালিক নিজের চোখে সেই খসড়া দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন।

খসড়ায় সামরিক অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলা হয়েছিল, শেখ মুজিবের ডিফ্যাক্টো শাসনকে উৎখাত এবং সরকারের (পাকিস্তানের) কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনার খসড়ায় ছিল ১৬টি প্যারা এবং পাঁচটি পৃষ্ঠা। তাৎক্ষণিকভাবে সেই পরিকল্পনা অনুমোদিত হলেও কবে অভিযান চালানো হবে, তাতে সেই দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল না।

খাদিম হুসাইন রাজা লিখেছেন, ২৪ মার্চ দুটি হেলিকপ্টার নিয়ে তিনি এবং রাও ফরমান আলী ঢাকার বাইরে অবস্থানরত ব্রিগেড কমান্ডারদের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিতে রওয়ানা হন। তারা চেয়েছিলেন গোপনীয়তা বজায় রেখে বিভাগীয় কমান্ডারদের সরাসরি নির্দেশনা দেবেন এবং মাঠপর্যায়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে সেটি কৌশলে সমাধান করবেন।

এ দুই কর্মকর্তা যশোর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যান। সিলেট, রংপুর ও রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে পাঠানো হয় সিনিয়র স্টাফ অফিসারদের।

অভিযানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ব্রিগেড কমান্ডারদেরদের জানানো হয়েছিল, আঘাত হানার সময় পরে জানানো হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল সব গ্যারিসনকে একসঙ্গে অভিযান শুরু করতে হবে।

অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো ছিল এমন-

* যেকোনও ধরনের বিদ্রোহ বা বিরোধিতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

* বাঙ্গালি সেনা সদস্য ও পুলিশকে নিরস্ত্র করা হবে। বিশেষ করে পিলখানায় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অস্ত্রাগার, রাজারবাগের রিজার্ভ পুলিশ এবং চট্টগ্রামে ২০ হাজার রাইফেলের অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ আগেভাগে নিতে হবে।

* অভিযান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সবধরনের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে যাচাই-বাছাই করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ফের চালু করা হবে।

* অস্ত্র এবং অপরাধীদের খোঁজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ঘিরে তল্লাশি চালাতে হবে।

* শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবিত অবস্থায় আটক করতে হবে। আরও ১৫ জন আওয়ামী লীগ ও কম্যুনিস্ট পার্টির নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে হবে। তাদের কাউকে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করতে হবে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন ব্যারাকে ঘুরে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যবস্থার তদারকি করলেও অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর কারো কাছেই কোনও লিখিত আদেশ পাঠানো হয়নি।

অভিযানের সময় জানিয়ে মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজার কাছে টিক্কা খানের ফোনটি এসেছিল ২৫ মার্চ সকাল ১১টায়। সংক্ষেপে বলা হয়েছিল, ‘খাদিম, আজ রাতেই।’ সময় রাত ১টা।

এরপরের ইতিহাস তো সবার জানা!



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড়ের খয়খাটপাড়া সীমান্তে গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ৮ মে ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফের ১৭৬ ব্যাটালিয়নের ফকিরপাড়া ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে এই দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হন।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে মরদেহ দুটি ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ তেতুঁলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তাসহ নিহত দুজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিহত দুই যুবকের মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে ময়নাতদন্ত হওয়ায় আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দুই পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছি।


বাংলাদেশি   বিএসএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি কর্মচারীরা সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ‘সরকার আমাদের যে বেতন-ভাতা দিচ্ছে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এ দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনার কাছে আমাদের একটাই দাবি: সচিবালয়ের মতো আমরা যারা বাহিরে কর্মরত, আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করুন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়িভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো –

১. পে কমিশন গঠন করে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে কর্মচারীদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।

২. রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩. সচিবালয়ের মতো সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

৪. টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগবিধি ২০১৯-এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৬. প্রাথমিক শিক্ষার দপ্তরি কাম প্রহরীসহ আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত-কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর বেতনস্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

৭. বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী,  সেক্রেটারি ও সমন্বয়ক খায়ের আহম্মেদ মজুমদার প্রমুখ।


সরকারি   কর্মচারীরা   দফা   দাবি   আন্দোলনে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লোহাগড়ায় গুলিবিদ্ধ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল (৪৩) ।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুন্দশী এলাকায় তাকে গুলি করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহত মোস্তফা কামাল শিকদার উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম হোসেন শিকদারের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থেকে নিজ বাড়ি মঙ্গলহাটার দিকে যাচ্ছিলেন সিকদার মোস্তাফা কামাল। এসময় কুন্দশী-মঙ্গলহাটা গ্রামীণ সড়কের সমীর সিকদারের বাড়ির সামনে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল। তবে পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে মোস্তফা কামাল শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। একটি গুলি তার বুকে লেগেছিল। তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়েছি তিনি মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।


লোহাগড়া   গুলিবিদ্ধ   ইউপি   চেয়ারম্যান   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে সাত সকালে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা তীব্র তাপদাহের পর বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুড়ি গুড়ি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাত সকালে বজ্রসহ বৃষ্টি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতে।

শনিবার (১১ মে) ভোর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে ঢাকাজুড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি।

এর আগে ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


রাজধানী   ঢাকা   বৃষ্টি   বজ্রপাত   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হায়দার আকবর খান রনো আর নেই

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ মে) রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেয়ার কথাও এক ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন এই চিকিৎসক।

হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠক একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।


হায়দার আকবর খান রনো   বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন