ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে যুক্তরাজ্য, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বজুড়েই বর্তমানে আলোচিত বিষয়। বিশ্বের সামনে এখন যেসব হুমকি রয়েছে, এটি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে এটি মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর খুব বেশি ফল মেলেনি।

এমতাবস্থায় জলবায়ু সংকটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে যুক্তরাজ্য- এক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছে মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’। শুক্রবার পত্রিকাটির মতামত বিভাগে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এই দাবি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে অনেকেই এখন রেকর্ড-উচ্চ তাপমাত্রায় বা বন্যার পানির কারণে কষ্ট পাচ্ছেন, তবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ব্রিটেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য ‘আশ্চর্যজনকভাবে অপ্রস্তুত’। ব্রিটিশ সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির গত বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপসংহারে এই কথাই বলা হয়েছে। ওই কমিটি জলবায়ু নীতি সম্পর্কিত যুক্তরাজ্যের স্বাধীন উপদেষ্টা সংস্থা।

এটি বেশ আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে যে, যুক্তরাজ্যের মতো একটি ধনী দেশ এই ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্য এতটা প্রস্তুত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন দুর্যোগসহ আবহাওয়া এখন আরও চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠেছে। মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্বল জনগোষ্ঠীই জলবায়ু পরিবর্তনের এই ক্ষতিকর প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছে। 

তবে এর বিপরীতে সাধারণত অভিযোজন বা মানিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কথা শোনা যায়, যা মূলত জলবায়ু সংকটের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রভাব মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া ও কাঠামোর পরিবর্তন বুঝিয়ে থাকে।

কিন্তু জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব বনের উন্নয়নমূলক ভূগোলের অধ্যাপক লিসা শিপার এই ধরনের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি বলছেন, “বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এমন একটি ছবি আঁকা হয়েছে, যেখানে কার্যত দেখানো হয়েছে- দরিদ্র দেশগুলোতেই কেবল জলবায়ু বিপর্যয় ঘটে থাকে।” আর এটি মানুষকে আত্মতুষ্টির দিকে পরিচালিত করেছে যা থেকে আমরা সম্ভবত জেগে উঠছি।

তবে বেশিরভাগ সময়ই সংকটের মধ্যে থাকা দরিদ্র দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের অভিযোজন প্রক্রিয়ায় আরও স্পষ্টভাবে নজর দিয়েছে। ২০২১ সালে জার্মানির বিপর্যয়কর বন্যায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বন্যার প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’র ডিরেক্টর সালেমুল হক পত্রিকার নিবন্ধে লিখেছিলেন, কীভাবে ধনী দেশগুলো তার নিজের দেশ (বাংলাদেশ) থেকে শিখতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যা নিয়মিতভাবে আঘাত হানায় ওই ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণহানি কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা ও আশ্রয় দেওয়ার সক্ষমতাসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ‘সর্বোত্তম দুর্যোগ সতর্কীকরণ ব্যবস্থা’ নিশ্চিতের বিষয়টি বাংলাদেশ এখন গর্বের সঙ্গে বলে থাকে।

এর অর্থ এই নয় যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও সাহায্যের প্রয়োজন নেই, বা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে অপ্রস্তুত। সাম্প্রতিক ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ রিপোর্টের সারাংশ অনুযায়ী, নীতির ফাঁক-ফোকর সব জায়গায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে।

যদিও অভিযোজন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ছে, তারপরও প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়ে সেটি এখনও বেশ কম এবং হাতে থাকা বিশাল কাজের জন্য অপর্যাপ্তও। আমরা যেসব সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি সেখানেও অর্থ আটকে থাকছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়লে ভবিষ্যতের সুরক্ষা নিশ্চিতের চেয়ে ক্ষতি মেরামতের কাজেই আরও বেশি অর্থ ব্যয় হয়ে যায়।

চরম তাপমাত্রার কারণে একে অপরের ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা দু’টি ডেটা সেন্টার এসময় অকার্যকর হয়ে যায়। এতে লন্ডনের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এবং কমিউনিটি পরিষেবা কেন্দ্রের বেশিরভাগ ক্লিনিকাল আইটি সিস্টেম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে রোগীর সেবা-যত্নে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে। এমনকি অন্য দেশের পরিবর্তিত অবস্থার কারণেও ক্ষতির মুখে পড়েছে ইংল্যান্ড: যেমন, স্পেনে অসময়ের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সালাদ পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

উদ্বেগজনকভাবে, বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে তা কেবল শুরু। সিসিসি-এর অভিযোজন কমিটির প্রধান জুলিয়া কিং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি আরও ক্রমবর্ধমান প্রভাব সৃষ্টি করবে এবং যতক্ষণ না আমরা নেট জিরো-তে না পৌঁছাই ততক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি বন্ধ হবে না।”

আমরা মোটামুটি আরও তিন দশক ধরে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করছি। আর তাই গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়ায় ছাড়িয়ে যাওয়া মোটামুটি স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগবে না।

অবশ্য পরিচিত এই ঝুঁকির জন্য প্রস্তুতি এবং সংকট মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ‘একটি দশক’ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন কিং। যুক্তরাজ্যে সরকারি ব্যয় বহু বছর ধরে অনেক কম, যার মানে হলো- অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলো পুরোনো ও দুর্বল। তবে জ্বালানিখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করার জন্য বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা একটি সরকারি পরিকল্পনায় সামান্য কিছু নতুন ব্যয় রয়েছে।

বৈশ্বিকভাবে এবং অভ্যন্তরীণভাবে যেকোনও দুর্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউনিভার্সিটি অব বনের অধ্যাপক লিসা শিপার জোর দিয়ে বলছেন, সকল অভিযোজন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে সমতা। আর সেটি না হলে ছোট অংশের লোকদের সাহায্য করতে গিয়ে সম্ভবত অন্যদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলার মতোই কাজ হবে।

সিসিসি-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্রিস স্টার্কের মতে, যুক্তরাজ্যের লোকেরা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন, বিশেষ করে যাদের অনেকেই প্লাবনভূমিতে বা অত্যধিক গরম হয়ে যাওয়া বাড়িতে বাস করেন এবং তারা এখন এই বিষয়ে পদক্ষেপ চাইছেন। আর তাই অর্থনীতিকে আরও জলবায়ু সহনশীল করার দায়িত্ব পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক বিভাগের।

যেমন শহুরে নকশায় গাছকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা বন্যার ঝুঁকি কমাতে পারে, শহরকে শীতল রাখতে সাহায্য করতে পারে, সুস্থতা ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং বায়ু দূষণও কমাতে পারে।

ব্রিটিশ সরকার ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার তৃতীয় জাতীয় অভিযোজন প্রোগ্রাম প্রকাশ করবে। আশা করা যায়, ওই প্রোগামে সিসিসি-এর সুপারিশগুলো গ্রহণ করা হবে এবং সেইসব দরিদ্র দেশগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে সরকার শিখবে যারা এই বিষয়ে আদর্শ দেশে পরিণত হয়েছে। 

বাংলাদেশ   যুক্তরাজ্য   ব্লুমবার্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার, খুশি নন ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে।

ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক। তারা নোভা মিউজিক উৎসবে নিহত হয়েছিলেন এবং হামাস লাশগুলো গাজায় নিয়ে গিয়েছিল বলে ইসরায়েল দাবি করছে।

শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ওই তিন ব্যক্তির লাশ সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইতের অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জীবিত হোক বা মৃত হোক, গাজা থেকে সকল জিম্মিকে মুক্ত করে আনব।

গত সপ্তাহে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বন্দী নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। গ্রুপটি জানায়, এক মাস আগে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ওই ক্ষত থেকেই তিনি মারা গেছেন।

জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর ঘরোয়া চাপ বাড়ার মধ্যে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আরও কিছু করার জন্য তারা নেতানিয়াহুর প্রতি দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।

এদিকে শুক্রবার জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, তিন লাশ উদ্ধার নিয়ে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তাতে জিম্মিদের পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইসরায়েল সরকার নিষিদ্ধ করায় আল জাজিরাকে এখন বাইরে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গঠিত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দি ব্রিং দেম হোম ক্যাম্পেইন বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কিছু করছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। সেসময় নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনও ছিল। তখন আরো ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।


জিম্মি   মরদেহ   উদ্ধার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।


শয়তানবাদ   ইরান   গ্রেফতার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস: বিশ্বের শীর্ষ আইকনিক জাদুঘর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ। দিনটিতে জাদুঘরের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়— যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং নাগরিকরা তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইসিওএম)। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে।

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতো ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘরের ইংরেজি মিউজিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মিউজয়ন থেকে, যার অর্থ কাব্যাদির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দির। বাংলায় জাদুঘর কথাটির অর্থ হলো, যে গৃহে আদ্ভুত পদার্থসমূহ সংরক্ষিত আছে এবং যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। চলুন বিশ্বজুড়ে কিছু বিখ্যাত যাদুঘরের ভার্চুয়াল সফর করি।

ল্যুভর মিউজিয়াম, প্যারিস

ফ্রান্সের প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের উল্লেখ না করে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের কোনো তালিকা সম্পূর্ণ হবে না। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনা লিসার আইকনিক পেইন্টিংয়ের বাড়ি, দ্য ল্যুভর হল বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর এবং শিল্প উৎসাহীদের জন্য একটি অবশ্যই দেখার গন্তব্য৷ প্রাচীন সভ্যতা থেকে একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ৩৮,০০০ টিরও বেশি শিল্পকর্মের সাথে, ল্যুভর হল মানুষের সৃজনশীলতা এবং কল্পনার ভান্ডার। 

স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন, ওয়াশিংটন, ডিসি

ওয়াশিংটন, ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন হল বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর, শিক্ষা এবং গবেষণা কমপ্লেক্স, যেখানে ১৯ টি জাদুঘর এবং গ্যালারী, ন্যাশনাল জুলজিক্যাল পার্ক এবং নয়টি গবেষণা সুবিধা রয়েছে। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি থেকে ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম পর্যন্ত, স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী এবং অভিজ্ঞতার অফার করে যা সব বয়সের এবং আগ্রহের দর্শকদের জন্য পূরণ করে। 

ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন

১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহটি মানব ইতিহাস এবং সংস্কৃতির দুই মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত, প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক শিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী সহ। রোসেটা স্টোন, পার্থেনন ভাস্কর্য এবং মিশরীয় মমি যাদুঘরের সবচেয়ে আইকনিক এবং জনপ্রিয় প্রদর্শনী। 

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, নিউ ইয়র্ক

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, যা দ্য মেট নামেও পরিচিত, এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যাপক শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত, দ্য মেটের সংগ্রহটি ৫,০০০ বছরেরও বেশি বিশ্ব সংস্কৃতি এবং শিল্পকে বিস্তৃত করে, যেখানে প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্যের প্রদর্শনী রয়েছে। মেটের ছাদের বাগান এবং কস্টিউম ইনস্টিটিউট হল এর কিছু জনপ্রিয় আকর্ষণ। 

ভ্যাটিকান মিউজিয়াম, ভ্যাটিকান সিটি

ভ্যাটিকান সিটির ভ্যাটিকান মিউজিয়াম হল জাদুঘর এবং গ্যালারির একটি সংগ্রহ যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এবং উল্লেখযোগ্য শিল্প ও নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরের সংগ্রহে মাইকেলেঞ্জেলো, রাফেল এবং অন্যান্য বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ, সেইসাথে প্রাচীন রোমান এবং মিশরীয় শিল্পকর্ম রয়েছে। সিস্টিন চ্যাপেল, মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা তার চমৎকার ছাদ সহ, ভ্যাটিকান যাদুঘরের সবচেয়ে পরিদর্শন করা এবং আইকনিক আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি।

অ্যাক্রোপলিস মিউজিয়াম, এথেন্স

গ্রীসের এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস যাদুঘরটি প্রাচীন দুর্গ এবং এর চারপাশের স্মৃতিস্তম্ভ, পার্থেনন, এথেনা নাইকির মন্দির এবং এরেকথিয়ন সহ নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প এবং অন্যান্য নিদর্শন যা অ্যাক্রোপলিস এবং আশেপাশের এলাকা থেকে খনন করা হয়েছিল। যাদুঘরের কাঁচের মেঝে দর্শকদের বিল্ডিংয়ের নীচে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে দেয়, একটি অনন্য এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করে। 

জাতীয় প্রাসাদ যাদুঘর, তাইপেই

তাইওয়ানের তাইপেই ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম হল চীনের শিল্প ও নিদর্শনগুলির বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহ ওভার নিয়ে গঠিত প্রাচীন চীনা চিত্রকর্ম, মৃৎশিল্প, ক্যালিগ্রাফি এবং জেড খোদাই সহ ৭০০,০০০ বস্তু। জাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল জাদেইট বাঁধাকপি, জেডের একটি ছোট টুকরো যা বাঁধাকপির মাথার মতো খোদাই করা হয়েছে এবং এটি কিং রাজবংশের জেড খোদাইয়ের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

হারমিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পিটার্সবার্গ

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের হারমিটেজ মিউজিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ত্রিশ লাখেরও বেশি আইটেম, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে শুরু করে আধুনিক শিল্প, বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে প্রদর্শনী সহ। শীতকালীন প্রাসাদ, রাশিয়ান রাজাদের প্রাক্তন বাসস্থান, এটিও যাদুঘরের একটি অংশ এবং এটি রাশিয়ান রাজপরিবারের ঐশ্বর্যময় জীবনধারার একটি আভাস দেয়।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ নৃবিজ্ঞান, মেক্সিকো সিটি

জাতীয় জাদুঘর মেক্সিকো সিটিতে নৃবিজ্ঞানের একটি বিশ্ব-বিখ্যাত জাদুঘর যা মেক্সিকো এবং মেসোআমেরিকার প্রাচীন সভ্যতার জন্য নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে অ্যাজটেক, মায়া এবং অন্যান্য প্রাচীন সংস্কৃতির শিল্পকর্ম রয়েছে, যেখানে প্রাক-কলম্বিয়ান শিল্প থেকে সমসাময়িক মেক্সিকান লোকশিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী রয়েছে। যাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল অ্যাজটেক ক্যালেন্ডার স্টোন, একটি বিশাল পাথরের চাকতি যা অ্যাজটেকরা ক্যালেন্ডার এবং আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসেবে ব্যবহার করত। 

উফিজি গ্যালারি, ফ্লোরেন্স

ইতালির ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারি হল বিশ্বের প্রাচীনতম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, যেখানে মিকেলেঞ্জেলো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং অন্যান্য ইতালীয় রেনেসাঁর মাস্টারদের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ পর্যন্ত ইতালীয় শিল্পের বিবর্তন প্রদর্শনের জন্য কালানুক্রমিক ক্রমে সাজানো প্রদর্শনী সহ যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকলা। জাদুঘরের ছাদের টেরেস ফ্লোরেন্স এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।


আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস   বিশ্ব   আইকনিক জাদুঘর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প নাকি বাইডেন, বিশ্বের স্বার্থে কে এগিয়ে

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মতামত জরিপে জানা গেছে বেশিরভাগ মার্কিন জনগণ উভয় প্রার্থীর কাউকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে তেমন আগ্রহী নন। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প-বাইডেনের মনোনয়ন পাওয়াকেই স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই দুই প্রার্থীর কাকে বিশ্বের স্বার্থে এগিয়ে রাখা যায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা শ্রম ও পেনশন কমিটির চেয়ারম্যান বার্নি স্যান্ডার্স 
দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। 

বার্নি স্যান্ডার্স দ্য গার্ডিয়ানে লিখেছেন যে,  আমি জানি বাইডেন তেমন জনপ্রিয় নন এবং আমিসহ অনেক প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ইসরায়েলের চলমান বিপর্যয়কর যুদ্ধ–সম্পর্কিত তার অনুসৃত নীতির সঙ্গে একেবারেই একমত নন।

তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাইডেন আসন্ন ভোটে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প যদি পুনরায় নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি আগের চেয়ে খারাপ আচরণ করবেন। সেই দিক তুলনা করে বলছি, বাইডেন যেকোনো বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে হাজার গুণ ভালো হবেন।

আপনি যদি জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা আলোচনা হয়ে থাকে, সেটি একটি ‘ফালতু আলাপ’।

অন্যদিকে বাইডেন টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতায় ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করেছেন।

ইসরায়েলের বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে যদি আপনার নেতিবাচক ধারণা থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

বাইডেন একজন প্রথাগত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, যিনি গণতন্ত্র, অবাধ নির্বাচন এবং ভিন্নমতের অধিকারে বিশ্বাস করেন। আর ট্রাম্প এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করেন না। যারা ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেছিলেন, সেই আট শতাধিক আক্রমণকারীকে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্ষমা করে দেবেন বলে ভাবছেন।



জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন