ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রশংসা করে মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বীকৃতির প্রশংসা করে একটি  প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। গত ২৯ মার্চ এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের পক্ষ থেকে সাউথ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান জো উইলসন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) ঢাকায় পিআইডির তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটি উত্থাপনকালে কংগ্রেসম্যান উইলসন ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও স্মরণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের  মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী এবং এর দোসরদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কথা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এতে বলা হয়, বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, যার মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪৫৭ মার্কিন ডলারে, যা এখন তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।

রেজুল্যুশনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪শ’ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে এবং বয়স্ক সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থসামাজিক খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।

প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ সফলভাবে মডারেট মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা বজায় রেখেছে, উগ্রবাদ দমন করেছে এবং দেশটির জনগণ বন্দুকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরিবর্তে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের একটি বৃহত্তম উৎস। বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, বাণিজ্যিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতেও অবদান রেখে চলছে।

রেজুল্যুশনে বলা হয়, প্রতিবেশী মিয়ানমার দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা রোধে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, আমেরিকার জনগণ তার প্রশংসা করে। মিয়ানমার সৃষ্ট এই সঙ্কট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ যা আমেরিকার জনগণের কাছে সর্বদা প্রশংসা অর্জন করেছে। উভয় দেশই অর্জিত সমৃদ্ধি বিনিময়ের জন্য তাদের জনগণের সাথে জনগণ এবং সরকারের সাথে সরকারের সম্পর্ক আরো উন্নত করতে চায়।

প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশের জনগণকে ১০ কোটি ডোজেরও বেশি কোডিভ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

প্রস্তাবে উল্লে করা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার ৫১ বছর উদ্যাপন করছে তখন আমেরিকার জনগণ বাঙালি জাতির ভূয়সী প্রশংসা ও স্বীকৃতি  প্রদান করে। বর্তমান ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গঠনমূলক অংশীদার থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বলেও রেজুল্যুশনে মন্তব্য করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ৭৫ ভাগ শেষ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

 

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে ২১৪ একর জমিতে বসানো হয়েছে ২৭ হাজার পিলার। এই পিলারের উপর বসানো হচ্ছে শক্তিশালী সোলার প্যানেল। ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা খরচের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি। এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানী আমদানীর উপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২৭ হাজার পিলারে দেড় লাখ সোলার প্যানেল উৎপাদন হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চরের জমিতে করা যাবে মৌসুমি আবাদও।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে পতিত চরের জমিতে সারিবদ্ধ ও সুউচ্চ ২৭ হাজার পিলার বসানো হয়েছে। আর এসব পিলারের উপর বসানো হয়েছে দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেলের নিচের জমিও সম্পূর্ণ কৃষিবান্ধব। এই জমিতে করা যাবে মৌসুমি ফসলের আবাদ। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।'

 

প্রকল্প ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তিকালীন ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৯২১ কোটি টাকা) । যৌথ অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। আর বাকি অর্ধেক মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)

 

চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) এর ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ৭৫ ভাগের উপরে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে ২৭ হাজার পিলার স্থাপন করা হয়েছে। পিলারের উপরে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শেষের দিকে। ভবন গুলোর কাজও ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আমাদের প্লান আছে জুনের প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনে যাবো।’

 

বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাম এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দিন রাত শ্রমিকরা কাজ করছেন। কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিসার ডরমিটরি, রেস্টহাউস, নিরাপত্তা ভবনসহ অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যতিক্রম। কেন্দ্রটিতে উঁচু পিলারের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর কারনে নিচে বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজি চাষ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ ও উৎপাদন হবে আবার ফসলের চাষাবাদ করা যাবে।'


সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র   বিদ্যুৎ উৎপাদন   জাতীয় গ্রীড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড়ি ছড়ায় গোস করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় মৃতরা হলো, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর (১২) এবং একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)

দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চেইন্দা ইউপি সদস্য জাফর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় জমে থাকা পানিতে স্থানীয় কয়েকটি শিশু গোসলে করতে নামে। এক পর্যায়ে শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতেই আছে।


কক্সবাজার   রামু   পাহাড়ি ছড়া   শিশু মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

''রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ'' এই স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাগরপুর এর আয়োজনে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৬ মে) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

 

নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে এ দুর্নীতিবিরোধী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল মোঃ নুর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাদির আহম্মদ।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুন নাহার ভূইয়া, সদস্য জাহানারা আক্তার, মোঃ সালাউদ্দিন। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুল হাসান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুল হুদা। এছাড়াও ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নাগরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বাবু।  

উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত রাউন্ডে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিচারকগণ শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘোষণা করেন।


বিতর্ক প্রতিযোগিতা   দুর্নীতি বিরোধী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযো‌গিতা চেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলনেতা হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের অধিবেশনে পশ্চিম আফ্রিকার স্থানীয় সময় রোববার অপরাহ্নে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে গাম্বিয়ার বিচারবিষয়কমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালও ওআইসি নেতাদের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন।

অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   রোহিঙ্গা গণহত্যা   আন্তর্জাতিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি


Thumbnail জামালপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন

সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের পেশাগত সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কারনে কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত, ষ্ট্যান্ড রিলিজ ও বাপবিবোতে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে এবং ১৬ দফা দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য জামালপুরে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 

 

আজ সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে দেশব্যাপী কর্মবিরতির অংশ হিসেবে শহরের বেলটিয়া এলাকায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মবিরতি শুরু করে।

 

কর্মবিরতি চলাকালে অনন্ত কুমার দাস, হাবিবুর রহমান, হামিদুর রহমানসহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহকের পেশাগত সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কারনে ৬ এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, ষ্ট্যান্ড রিলিজ এবং বাপোবিবোতে সংযক্তি করার প্রতিবাদ করে পদ-পদবী ও পদমর্যাদার বৈষম্য, চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকে স্থায়ী করা, পদোন্নতির সুযোগ রাখা, ছুটি ভোগের সুবিধা, ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনাসহ ১৬ দফা দাবি তুলেন।

 

তারা বলেন, পদোন্নতি, চাকুরী স্থায়ী না হওয়াসহ নানা সমস্যায় তাদের পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে, এসব কারনে অনেকে তাদের সাথে আত্মীয়তা পর্যন্ত করতে চায়না। তাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য দূরীকরণে এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তারা। 


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি   কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন