ইনসাইড বাংলাদেশ

‘হয় তাঁরা অশিক্ষিত অথবা অতিচালাক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া তাঁর দলের আইনজীবীদের উপর আস্থা হারিয়েছেন। লন্ডন থেকে টেলিফোনে স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্যকে তারেক বলেছেন, ‘ আইদ্যার দে আর ইললিটারেট অর ভেরি ক্লেভার ( হয় তাঁরা অশিক্ষিত অথবা অতিচালাক) । আজ ( রোববার ) দুপুরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বেগম জিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় বেগম জিয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে জেলে যান। রায়ের পর বেগম জিয়ার আইনজীবীদের ভূমিকা এবং তৎপরতা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল। আইনজীবীরা দলীয় ফোরামে তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়েন। আর রোববার আদালতের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ তারেক জিয়া। তারেক জিয়া দুপুর থেকেই বিভিন্ন নেতাকে ফোন করে জামিনের শুনানির বিষয়ে জানতে চাইছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। আদালত শুরুর আগ মুহূর্তে তারেক ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। সবাই তাঁকে বলেছেন, জামিন অবশ্যই হবে। জামিন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আজ আদালতে শুনানি শেষে দেখা গেল, মামলার নথিই হাইকোর্টে পৌঁছেনি ।

সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ তদবির করে দ্রুত এই নথি উচ্চতর আদালতে নিয়ে আসেন বলে বিভিন্ন আইনজীবী জানিয়েছেন। তারেক জিয়াও একজন স্থায়ী কমিটির সদস্যকে বলেছেন, ‘নথির তো পাও নেই,পাখাও নেই। নথিটা উচ্চ আদালতে দ্রুত নিয়ে আসার দায়িত্ব নিম্ন আদালতের আইনজীবীদের। তাঁরা কি করেছে?’ জানা গেছে কোনো আইনজীবী উচ্চ আদালতে নথিটি যেন তাড়াতাড়ি পৌঁছে এজন্য চেষ্টা তদবির করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন আইনজীবী জানালেন, ‘সাধারণত নথি নিম্ন আদালত থেকে আনতে নিচের দিকে একটু খরচাপাতি করতে হয়। কিন্ত সবাই তো শুধু ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়। পকেট থেকে কয়েকটা টাকা খরচ করতে কেউ রাজি নয়।‘ অন্য একজন বিএনপি নেতা বললেন, ‘আমাদের দলে তো সব বিখ্যাত ব্যারিস্টার আইনজীবী রয়েছেন। তাঁরা কেউ একবারও খেয়াল করলেন না যে, নিম্ন আদালত থেকে নথি এসেছে কিনা। জামিনের শুনানির আগে এই বিষয়টা তো খেয়াল করা উচিৎ ছিল।‘ বিরক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য মন্তব্য করেন, ‘এরা তো শুধু গায়ে কোর্ট লাগিয়ে ঘোরে আর নেতা হবার ফন্দি ফিকির করে। আইনের ক,খ তো এরা জানে না।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া সন্দেহ করছেন, দলের আইনজীবীরা যেভাবে এলোপাতাড়ি কাজ করছেন, তাতে বেগম জিয়ার জামিন তো দূরের কথা,এই মামলায় উচ্চ আদালতে দণ্ডও হয়তো নিশ্চিত হয়ে যাবে।

স্থায়ী কমিটিতে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ট ওই দুই নেতাই আশ্বস্ত করেছেন যে এখন থেকে স্থায়ী কমিটির নেতারাই মামলার তদারকি করবেন।



Read in English- http://bit.ly/2EUE6aL

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে ৩ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ, ভোটার উপস্থিতি কম


Thumbnail

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফল এই তিনটি উপজেলায় একযোগে চলছে ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮.০০ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪.০০ টা পর্যন্ত। তবে ভোটার উপস্থিতি অনেকটাই কম। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২,৯৭৬০৭ জন। তবে উপজলাটির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ কেন্দ্র গুলোতে ৫ থেকে ১০ জনের বেশি ভোটার উপস্থিতি নেই। কেন্দ্র গুলোর বেশির ভাগ বুথ রয়েছে ভোটার শূন্য অবস্থায়।

 

বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেটির মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৯২ জন। মোট পাঁচটি বুথে বেলা ১০টা পর্যন্ত মোট ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩৭৭ জন ভোটারের মধ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভোট প্রদান করেছেন ২০৯ জন ভোটার। এদিকে দশমিনা  উপজেলার পূর্ব দশমিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ২৬৬৫ সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯ টার পর্যন্ত মোট ভোট প্রদান করেছেন মাত্র ১৮৯ জন ভোটার। অপরদিকে গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ভোট কেন্দ্রটিতে ১২৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান শুরুর প্রথম দুই ঘন্টায় ৫৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। পটুয়াখালী জেলায় অনুষ্ঠিত তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রগুলোতে একই চিত্র দেখা গিয়েছে ।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীতে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাউফল উপজেলায় মোট ২৯৭৬৯৭ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া দশমিনা উপজেলায় ১১৬০৪৪ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী ও গলাচিপা উপজেলাটিতে ২৪১৮৭০ জন ভোটারের বিপরীতে চ্যেয়ারম্যান পদে ২ জন, ৪ জন পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ও ৩ জন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

তিনটি উপজেলায় মোট ২৪৭ টি ভোট কেন্দ্রে ৩৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ প্লাটুন বিজিবি, এছাড়া পুলিশ আনসার র‌্যাবের টিম এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স সহ সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চলছে। যেকোনো ধরনের অপৃতিকর ঘটনা রোধে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান শাহানুর আবি খান।

ভোট গ্রহণ শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত শান্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে তিনটি উপজেলাতেই ভোট গ্রহণ চলছে।


উপজেলা নির্বাচন   ভোট গ্রহণ   ভোটার উপস্থিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীতে দুটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত ৯


Thumbnail

রাজশাহীর দুর্গাপুরে হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে চলছে ভোট গ্রহণ। উপজেলার পানানগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই কেন্দ্রে নয়জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এছাড়াও ভোটারদের বাধা ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব। আহতরা হলেন, গোপালপুর গ্রামের আজের, আজাদ, শহিদুল, শুকচান, মিঠু, আব্দুর রাজ্জাক ও সান্টু এবং পানানগর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে শিহাব।

বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নান্দিগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করে র‌্যাব। আটককৃত ব্যক্তি নান্দিগ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে আতাহার আলী (৪২) ।

সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এজেন্ট ছিলোনা। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে ৩, ৬ ও ১২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, সকাল থেকেই সবগুলো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। দু'একটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, র‍্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ যথেষ্ট পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে। আশাকরি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।


উপজেলা নির্বাচন   ভোটকেন্দ্রে   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভিসানীতিতে নয়, জেনারেল আজিজকে অন্য আইনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র’

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল তার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। অন্য আইনের অধীনে তাকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, এটা পাবলিকলি জানানোর আগে আমাদের সেখানকার মিশনকে জানানো হয়েছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এমনিতেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরাও দুর্নীতির ব্যাপারে খুব সোচ্চার।

✪ আরও পড়ুন: তিন অভিযোগে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিল যুক্তরাষ্ট্র

তিনি বলেন, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনীর লোক। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সেটা তারাই ভাববেন। যুক্তরাষ্ট্র যেমন সব পাশ কাটিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়, আমরাও সেটা এগিয়ে নিতে চাই। আর যেই ভিসানীতি তারা নিয়েছিল, সেটা তো আমার জানামতে কাউকে দেয়নি। দিলে যারা পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, বিচারপতির বাসায় আগুন দিয়েছে তাদের ওপরই দেয়া উচিত।

এর আগে সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জেনারেল আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠাণের প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করেছে। আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। সামরিক চুক্তির বিষয়ে আজিজ তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।

✪ আরও পড়ুন: যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে আমি মেনে নিতে প্রস্তুত: আজিজ

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   গণতন্ত্র   জেনারেল আজিজ   জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আজিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে আমি মেনে নিতে প্রস্তুত: আজিজ

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর স্যাংশন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই বলেছেন এ ঘটনায় তিনি অবাক হয়েছেন এবং যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তবে তিনি তার মেনে নিতে প্রস্তুত। 

সোমবার (২০ মে) রাতে ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তথ্য জানানো হয়।

এদিকে এঘটনার পর গণমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমাকে যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার কী কোনো ভিত্তি আছে? তারা বলেছে, আমি আমার পদ-পদবী দিয়ে আমার ভাইকে নাকি সহযোগিতা করেছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি যে, শাস্তি পেতে হবে। এখন আমি ইউনিফর্মের বাইরে কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি সেনা প্রধান হিসেব থাককালীন সময়ে আমি আমার কোন ভাইকে বা আত্ময়িকে কোন সুবিধা দিয়েছি, কেউ যদি এটা প্রমাণ করতে পারে তবে যেকোন শাস্তি আমি মেনে নিতে রাজি আছি।

উল্লেখ্য, এর বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে ঘোষণা করে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজের কর্মকান্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।


সাবেক সেনাপ্রধান   নিষেধাজ্ঞা   মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন অভিযোগে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জেনারেল আজিজ এবং তার পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যে সম্পত্তি আছে সেগুলো জব্দ করা হবে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের আওতায় যে সমস্ত দেশগুলো আছে সেই সমস্ত দেশে তার ভ্রমণ এবং সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

উল্লেখ্য যে, জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং তিনি সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। বিতর্কিত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, তাসনিম খলিল এবং জুলকার নাইম যৌথভাবে এই অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরি করেছিল। ওই অনুসন্ধানের প্রামাণ্যচিত্রটি সেসময় সারা দেশে আলোচনার ঝড় তুলেছিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল প্রামাণ্য চিত্রের বক্তব্য সঠিক নয়।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, প্রামাণ্যচিত্রের ভিত্তিতেই সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, সেই বিবৃতিতে তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে।

প্রথম কারণ বলা হয়েছে যে, জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় ব্যাপক রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই জড়িত থাকার ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা, জবাবদিহিতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অন্তরায়।

দ্বিতীয়ত, স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্যে দাবি করা হয়েছে যে, তিনি তার ভাইদের অপরাধ কর্মকাণ্ডকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং তাদেরকে অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।

তৃতীয়ত, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তিনি সেনাবাহিনীর কেনা কাটায় তার ভাইদেরকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন।

উল্লেখ্য যে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই বিষয়গুলোই উল্লেখ করা হয়েছিল এবং ১ ফেব্রুয়ারীর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, আজিজ আহমেদের তিন ভাই একটি হত্যা মামলায় দণ্ডিত ছিল এবং এদের মধ্যে একজন তোফায়েল আহমেদ জোসেফ রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে মার্জনা পান এবং পরবর্তীতে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে হাঙ্গেরীতে ব্যবসা পরিচালনা করেন।

এছাড়াও অন্য দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ২০১৮ সালে নির্বাচনে জেনারেল আজিজ আহমেদ বর্তমান সরকারকে জেতানোর জন্য সহায়তা করেছিলেন। উল্লেখ্য যে, ২০০৪ সালে আজিজ আহমেদের তিন ভাই একটি হত্যা মামলায় দন্ডিত হয়েছিলেন। এরা ছিলেন আনিস আহমেদ এবং হারিছ আহমেদ এবং তোফায়েল আহমেদ জোসেফ।

ওই প্রতিবেদনে যে সমস্ত অভিযোগ অভিযোগগুলো উত্থাপন করা হয়েছিল, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্যাংশনের কারণ সম্পর্কিত ব্যাখ্যায় সেই তথ্যগুলোকেই তৈরি করা হয়েছে। তবে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বলছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে যথেষ্ট অনুসন্ধান করে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এই স্যাংশনটি জারি করেছে।


সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ   অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন   জেনারেল আজিজ আহমেদ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন