৩২০ বছরের পুরোনো সংবাদপত্র অস্ট্রিয়ার উইনার জাইটুং অনলাইনে প্রকাশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির পার্লামেন্টে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পত্রিকাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্ট্রিয়া সরকার এবং সংবাদপত্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের অবসান হলো।
১৭০৩ সালে প্রকাশিত পত্রিকাটির নামকরণ করা হয় উইনারিসেস ডায়ারিয়ামের নামানুসারে। পরে ১৭৮০ সালে উইনার জাইটুং নামকরণ করা হয়। ১৮৫৭ সালে তৎকালীন সম্রাট ফ্রানজ জোসেফের আমলে পত্রিকাটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন হয়। এটিই ছিল অস্ট্রিয়ার প্রথম সরকারি পত্রিকা।
পার্লামেন্টের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নরবার্ট হফার বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১ জুলাই থেকে পত্রিকাটি প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পাওয়া যাবে। এ জন্য নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’
তহবিল পাওয়া সাপেক্ষে প্রতিবছর ন্যূনতম ১০ কপি পত্রিকা প্রকাশ করা হবে। ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজ পাবলিশার্স এএফপিকে জানিয়েছে, দ্য উইনার জাইটুং পত্রিকাকে বিশ্বে মুদ্রিত প্রাচীন সংবাদপত্র হিসেবে ২০০৪ সালে অভিহিত করা হয়।
সরকারের যুক্তি, পত্রিকাটি অনলাইনে সরকারি তথ্যকে কেন্দ্রীভূত করবে। পাশাপাশি উইনার জাইটুং পত্রিকা মিডিয়া কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে। এটি সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ব্যবস্থা করবে।
পত্রিকাটি উপব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাথিয়াস জিয়েগলার এএফপিকে বলেন, ‘অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে সরকার উইনার জাইটুংয়ের ৩২০ বছরের পুরোনো ইতিহাসকে ব্র্যান্ড হিসেবে রাখতে চায়। যদিও পত্রিকাটির ভবিষ্যতের প্রকাশনা কেমন হবে, তা কেউ জানে না। এমনকি পত্রিকাটিতে আদৌ প্রকৃত সাংবাদিকতা করা সম্ভব হবে কি না, সেটি নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।’
ট্রেড ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, পত্রিকাটিতে বর্তমানে ২০০–এর বেশি কর্মী আছেন। তাঁদের অর্ধেককে ছাঁটাই করা হবে। যাঁদের মধ্যে ৪০ জন সাংবাদিক।
ইউরোপীয় কমিশনের (ইইউ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জুরোভা অস্ট্রিয়ান নিউজ এজেন্সিকে (এপিএ) বলেছেন, পত্রিকাটির বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি খুশি নন। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে মানুষকে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে উইনার জাইটুং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শতাব্দীর প্রাচীন এ পত্রিকার ছাপানো বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার রাস্তায় শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো স্কয়ার গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ একাত্তর টিভি মিডিয়া স্টার লিমিটেড
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।
মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে।