মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩মে) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। আলোচনা সভায় উত্তেজিত হয়ে অনেক কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘এমন কোন পত্রিকা আছে দেখান যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে লিখেছে। একটা সংবাদপত্র দেখান যারা কি না সামরিক শাসনের পক্ষে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা সবসময় সরকারের সাহায্য করতে দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার তুলে ধরি।’ তিনি দাবি করেন এই সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে এমন একটি পত্রিকাও নেই যাদের উদ্দেশ্য ছিলো সরকার বিরোধী কিংবা অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে সরকারকে বিব্রত করা।’ বরং তার মতে সকল গণমাধ্যম দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছে।
আপনার এই দাবি যে অসত্য এবং ভুল এই প্রসঙ্গে বেশী দূর যাওয়া লাগবে না, প্রমাণ আপনি নিজেই। ১/১১ এর কথা আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি। সে সময় ১/১১ সরকার ছিলো সেনা সমর্থিত একটি অগণতান্ত্রিক সরকার। সংবিধানের যে ম্যান্ডেট ছিলো যে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিনের হবে সেই ম্যান্ডেট লঙ্ঘন করে ২ বছরেরও বেশী সময় ধরে সেই সরকার জগদ্দল পাথরের মত চেপে ছিলো। এই সময়ে ডেইলি স্টারে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো শেখ হাসিনা দূর্নীতিবাজ এবং তিনি চাঁদাবাজি করেছেন। পরবর্তিতে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন অনির্বাচিত সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেছিলো। শেখ হাসিনাকে কারাভোগ করতে হয়েছিলো প্রায় এক বছর। মুখ থুবরে পড়েছিলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র।
সেই রিপোর্ট সম্পর্কে পরবর্তিতে সাংবাদিক মুন্নী সাহার ‘নিউজ আওয়ার এক্সট্রা’ অনুষ্ঠানে আপনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে সেই রিপোর্টটি ভুল ছিলো। সেই সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন, ‘ডিজিএফআই পরিবেশিত তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই প্রকাশ করেছি।’ শেখ সেলিমের বরাত দিয়ে সেইখানে বলা হয়েছিলো শেখ হাসিনা চাঁদাবাজি করেছেন। এর জবাবে আপনি নিজেই বলেছিলেন যে, ডিজিএফআই এর দেয়া নিউজ লিখলেও আপনি সেটা স্বতন্ত্রভাবে প্রমাণ করতে পারেন নি। এবং আপনি স্বীকার করেছিলেন আপনার সাংবাদিকতা জীবনে এইটা ছিলো একটা বিরাট ভুল। অথচ গতকাল মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আপনি নিজেই দাবি তুললেন আপনি কখনো ভুল সংবাদ প্রকাশ করেন নি।
এই একটি প্রমাণেই কি আপনার ঔদ্ধত্য এবং আপনার বক্তব্য যে অসত্য তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়? মাহফুজ আনাম আপনারা অতীত ভুলে যান। এই দেশের মানুষও ‘গোল্ডফিশ মেমোরি’। কিন্তু যারা নিরপেক্ষ ও নির্মোহ গবেষক তাঁরা আপনাদের অতীতের কদর্য মুখ ঠিকই মন রেখেছে।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো স্কয়ার গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ একাত্তর টিভি মিডিয়া স্টার লিমিটেড
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।
মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে।