ইনসাইড পলিটিক্স

সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতংক শুরু হয়েছে: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ০৮ মে, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ‘আমরা সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা দেখতে চাই এবং মানুষকে দেখাতে চাই, সরকার কি করছে - কি করতে চায়। প্রার্থীরা বলছেন সিটি নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতংক শুরু হয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলেই যাচ্ছে ইভিএমকে ভয় পাবেন না। দেশের মানুষ কিন্তু বোকা নয়। ইভিএম নিয়ে বর্তমান সরকার কেরিকেচার করেছে। ইভিএম-এ কে-কোথায় ভোট দিলো তার প্রমাণ থাকে না। কে কিভাবে ডিক্লেয়ার করে তার প্রমাণ থাকে না। সাধারণ মানুষ মনে করে, ইভিএম দিয়ে সরকার যাকে খুশী বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বলেন, ভোট দিতে গেলে সরকারদলীয় লোকজন ভোট দিয়ে দেয়। আমরা ভোট দিলেও সরকারি দল আর না দিলেও সরকারি দলই পাশ করছে। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে জড়িত সবাই ইভিএম ব্যবহার করে সরকারের ইচ্ছেমত ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে চাইলে ইভিএম বাদ দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোন সিটি নির্বাচনেই ইভিএম দেয়া ঠিক হবে না। ক্ষমতায় থেকে, প্রশাসন ব্যবহার করে এবং দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে নির্বাচনে পাশ করলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয় না। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন জনগণ তাদেরও সম্মান করে না। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। নির্বাচন ব্যবস্থা ধংস করে বিরাজনীতিকরণের দিকে দেশ ঠেলে দেয়া হচ্ছে। একই সাথে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে।’

সোমবার (৮ মে) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়ে বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারা সভাপতি আবুল বাসার ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু’র নেতৃত্বে বিকল্পধারা’র শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।  

জাতীয় পার্টি চেয়রাম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একটি দল খারাপ কিছু শুরু করলে পরবর্তীতে অন্য দল ক্ষমতায় এসে তা আরো বাড়িয়ে দেয়। দোষ-ত্রুটির দিক থেকে কেউ কারো চেয়ে কম না। এভাবে দুটি দল দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমন বাস্তবতায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে একটি বিকল্প শক্তি হতেই বিকল্পধারা সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু তারা বিকল্প শক্তি হতে পারেনি। তাই যারা বিকল্প শক্তি হতে চেয়েছিলো তারা এখন জাতীয় পার্টিতে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টি একমাত্র বিকল্প শক্তি। জাতীয় পার্টিই পারবে এই দুটি দলের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে। আর, জাতীয় পার্টি ব্যার্থ হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশকে ধ্বংস করে দেবে।’  

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘৯১ সালের পর থেকে সংবিধানের ৪টি মূল নীতির একটিও বজায় রাখছে না কেউ। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সরকার গঠন করা হবে। দেশে এটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। তাই, কেউ আর জনগণের কথা চিন্তা করে কাজ করে না। বরং জনগণের কথা কিভাবে বন্ধ করা যায়, কিভাবে গণমাধ্যমে গণমানুষের দাবি প্রকাশ না হয় সেজন্য বিভিন্ন আইন করা হচ্ছে। যারা সংবিধানের দোহাই দেন তারা কেউই গণতন্ত্র বিশ্বাস করেন না। সংবিধানের মূল নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্র আমরা ঘোষণা দিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি গ্রহণ করেছি। জাতীয়তাবাদ নিয়ে একেক জনের একেক মত। আওয়ামী লীগ বলে বাঙালী জাতীয়তাবাদ আর বিএনপি বলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। হাস্যকর বিষয় হলো দেশের মানুষ জানে না আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কী জাতীয়তাবাদ দিয়েছে। বাকি থাকে, ধর্ম নিরপেক্ষতা। এটা মানুষের রক্তের মধ্যে আছে। হাজার বছর দেশের হিন্দু-মুসলিম একই মাঠে উপাসনালয়ে ধর্ম পালন করে তাতে কোন সমস্যা হয় না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষতা ধংস করে দিচ্ছে। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে তাদের বাড়ি-ঘর দখল করছে। তদন্ত করলে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই জড়িত। বিএনপির সময়ও সরকারী দলের লোকেরাই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু তারা দোষ দেয়ার সময় দোষ দেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানে বলা আছে সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান সংশোধন করেছে কিন্তু তারা তো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে পারেনি। কারণ, রাষ্ট্রধর্ম দেশের ৯০ ভাগ মানুষের অন্তরের চাওয়া ছিলো। ক্ষমতাসীনরা সংবিধানের সকল অঙ্গ তছনছ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান সংশোধন করছে। এর আগে বিএনপিও একই কাজ করেছিলো।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শেরীফা কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান এর পরিচালনায় যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারার সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু প্রমুখ। 


জিএম কাদের   সিটি নির্বাচন   ইভিএম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীনে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ৫০ সদস্যের দল

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে। 

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।

দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।

৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:

আওয়ামী যুব লীগ:

সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷

 বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:

সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।

মহিলা শ্রমিক লীগ:

সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:

সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।

ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:

মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।


চীন   প্রশিক্ষণ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন