ইনসাইড বাংলাদেশ

কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ: ভবিষ্যৎ নেতা হতে সাত পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ২৩ মে, ২০২৩


Thumbnail কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভবিষ্যৎ নেতা হতে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাতটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এই পরামর্শ দেন তিনি। মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্স কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সংগ্রাম থেকে ভবিষ্যৎ নেতাদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরতে চাই।

শেখ হাসিনার সাতটি পরামর্শ হলো

১. নেতার মূল্যবোধ থাকতে হবে, ২. লক্ষ্যের প্রতি অটল থাকতে হবে, ৩. লক্ষ্য অর্জনে পরিপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ৪. দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সমাজে ‘চেঞ্জ মেকার’ হতে হবে, ৫. জনগণ এবং দলের ওপর আস্থা রাখতে হবে, ৬. মাতৃত্বের চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে, ৭. নতুন এবং ভবিষ্যতকে গ্রহণ করা।

জীবনে লক্ষ্য থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে ভিশন এবং মিশন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।

জ্ঞান অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। 

বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে একটি স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট মানবসম্পদ থাকবে।’

প্রযুক্তির বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে, যাতে তারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অবদান রাখতে পারে।

বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। সারাদেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হলো পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে ন্যানো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য একটি আইন পাসের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম, ২৩ বছরের সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হওয়া এবং পরবর্তী সামরিক শাসন এবং ২১ বছর পর আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শক্ত ভিত্ত গড়ে তোলে।’

২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলকে বাংলাদেশের ইতিহাসে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির আরেকটি অন্ধকার যুগ হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।

২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’র জন্য দেশকে প্রস্তুত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক খাতের সব বিভাগে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়, আমাদের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।’

সরকারের নানা কর্মসূচির কারণে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে আসার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৫-৬ সালে দারিদ্রের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বর্তমানে দারিদ্রের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।’

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি, সঙ্গে ৪৬০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি। যেখানে ২০০৫-০৬ সালে দেশের জিডিপি ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালে ৫৪৩ ডলার, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তা বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮২৪ ডলার।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এটিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দেশে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপুষ্টি, নিরক্ষরতা দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এই অগ্রগতি কোনো ‘মিরাকল’ নয়, এটি কষ্টার্জিত সফলতা। এটা আমাদের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধুমাত্র তাদের কাঙ্ক্ষিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে এই অবস্থানে পৌঁছানোর যাত্রা সহজ ছিল না। এ জন্য তাকে (শেখ হাসিনা) সারাজীবন অগ্নিপরীক্ষা এবং নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।’

১৫ আগস্ট পরিবারের সবাইকে হারানোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমার বাবাকে তার জীবনের প্রায় এক চতুর্থাংশ কারাগারে কাটাতে হয়েছে। আমরা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমার মা, তিন ভাই, দুই ভাতৃবধূ, চাচাসহ পরিবারের ১৮ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।’

বিদেশে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার নিজের প্রাণে বেঁচে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর আমরা বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি।

১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাবার ক্ষুধা-দারিদ্র, নিরক্ষরতা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমি ফিরে এসেছি। দেশে ফিরে মানুষের খাবার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’

বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্তত ১৯ বার আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। এরমধ্যে ২০০৪ সালে আগস্টে আমার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। সে হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হন, আহত হন কয়েকশ।’

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত প্রতিকূলতার মধ্যেও কেবল দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেছি।’

যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


কাতার বিশ্ববিদ্যালয়   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ক্রয়-বিক্রয়ের মহোৎসব!

প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারি বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার চৌধুরী পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন কালিগ্রাম মুনসিপুর গ্রামের মৃত তহির উদ্দীন মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম।

বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলার রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার চৌধুরী পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে কয়েক দফায় ৫৯ টি ঘর নির্মাণ করেন উপজেলা প্রশাসন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর ভূমি গৃহহীনদের মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে নির্মাণ করলেও এই প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরই অনৈতিকভাবে বরাদ্দ পেয়েছেন যাদের জমি বাড়ি আছে সেই সব ব্যক্তিরা। বরাদ্দ প্রাপ্তদের নিজের জমি বাড়ি থাকায় সেখানে বসবাস না করে উদ্বোধনের কিছুদিন পর হতে শুরু হয় ঘর ক্রয়-বিক্রয়। এই ক্রয়-বিক্রয়ে অনেকে যারা বৈধ উপায়ে ঘর পায়নি তারা নিরুপায় হয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘর ক্রয় করে বসবাস করছে। আবার অনেকে অল্প দামে ঘর কিনে রাখছে বেশী দামে বিক্রয়ের আশায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্পে নং ঘর বিক্রয় করেন মোঃ বেনো হোসেন, ক্রয় করেন আজিজার। ৩৫ নং ঘর মোঃ ফেকরুল ডাকাহার গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ইউনুছ আলীর কাছে বিক্রয় করেন এবং একই ঘর ইউনুছ আলী আবারও বিক্রয় করেন দুলালের নিকট। ৩৭ নং ঘর আলম বিক্রয় করেন শরিফুলের কাছে।

ডাকাহার গ্রামের ছলিম উদ্দীনের নিজস্ব জমি থাকার পরও বাপ-ছেলে ২টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে, এছাড়াও তারা ২টি ঘর বিক্রয়ের জন্য ক্রয় করে রেখেছে। রহমান কবিরাজ ওই গ্রামের মধ্যে তার ছাঁদ দেওয়া পাঁকা বাড়ি আছে, তবু ২টি ঘর কিনে রেখেছে।

আশ্রয়নের সহ-সভাপতি ডাবওয়ালা হাচিন আলীর গ্রামের মধ্যে জমি বাড়ি থাকার পরও তার মা হাসিনা বেগমের নামে ১টি ঘর, নিজের নামে ১টি ঘর স্ত্রীর নামে ১টি ঘর সহ মোট ৩টি ঘর বরাদ্দ নিয়ে রেখেছেন। মায়ের ঘর বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের নিকট দামাদামী চলছে।

এই আশ্রয়নের সকল ঘর বিক্রয়ের মূল হোতা হাচিন আলী বলে জানান স্থানীয়রা। এই প্রকল্পে ৫৯টি ঘরের মধ্যে ২০টি ঘর ব্যাতিত সকলই ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এতে বঙ্গবন্ধু কন্যার মুজিব বর্ষের মূল উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।

অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ঘর ভূমিহীনরা পায় না। যাদের ঘর আছে তারা পায়, তাই প্রশাসনের কাছে আমার দাবী সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘর গুলো দেওয়া হউক।’

উপকারভোগী নারগিস এর থেকে ৩০ নং বাড়ি ক্রয় করেন আশরাফুল, যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোন বাড়ি পাইনি তবে নারগিস আমাকে বসবাসের জন্য বাড়িটি থাকতে দিয়েছে।’ ক্রয় করেছেন কিনা প্রশ্নে বলেন, ‘কাগজ করে নিয়েছি তবে কোন টাকা দেয়নি।’

অসহায় ভূমিহীন সেফালী বেগম বলেন, ‘মারা গেলে মাটি দেওয়ার মত জায়গাও আমার নেই, ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম, ধরার কোন লোক নেই, তাই সরকারি ঘর আমাকে দেওয়া হয়নি।’

ব্যাপারে একডালা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম (আপেল) জানান, ‘মুজিব বর্ষের ঘর গুলো নিয়ে আমি সহ চেয়ারম্যান সাহেব অনেক চেষ্টা করেও বিক্রয় করা থেকে আটকানো যাচ্ছে না। তাই প্রশাসনের কাছে আমার দাবী তদন্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘর গুলো দেওয়া হউক।’

একডালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান আলী বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ভূমিহীনদের ঘরগুলো বিক্রয় হচ্ছে। আমি আইনশৃংখলা মাসিক মিটিংএ এবিষয়ে একাধিক বার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী করছি। এই আশ্রয়নের কমিটির কয়েকজন নেতা এর সঙ্গে জড়িত।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’


আশ্রয়ণ প্রকল্প   ঘর বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: ১৫৭ উপজেলায় মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭ টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

যে সব উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি:

২য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ ছুটির আওতায় থাকা উপজেলাসমূহ

উপজেলা নির্বাচন   সাধারণ ছুটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: মাঠে থাকছে ৬১৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২১ মে) নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬১৪ কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬১৪ কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ধারা মোতাবেক তফসিলভুক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ পাওয়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবশ্যিকভাবে যোগদান/রিপোর্ট করবেন, সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রে যোগদান করা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের যোগদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ নিশ্চিত করবেন।


নির্বাহী   ম্যাজিস্ট্রেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলা নির্বাচনে আজ থেকে মাঠে নামছে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে মোট ৫ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবে।

রোববার (১৯ মে) মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে এ ভোটের প্রচার এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার(২১ মে)।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ৫ দিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও, মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। 

এদিকে নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করার জন্য উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট

সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ থাকবে বিশেষ টিম। ওই টিম নির্বাচনসংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ-তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে প্রেরণ করবে।


উপজেলা নির্বাচন   আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেছেন,  মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনৈতিক ক্ষমতাই নারীদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাত করণের দিকেও নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য মেলায় উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


মূল্যস্ফীতি   দেশজ উৎপাদন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন