গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ গাজীপুর নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। গাজীপুরে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটা একমাত্র আপনাদের সহযোগিতার কারণে সম্ভব হয়েছে। আইন মেনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপনার যে সহযোগিতা করেছেন তা উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে গাজীপুর বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামের সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার শেষ মুহূর্তে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৫ এপ্রিল গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করি। জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। মেট্রোপলিটনের কমিশনার অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। গাজীপুরে যারা কর্মরত ছিলেন তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। প্রার্থিরা সহযোগিতা করছেন। মিডিয়ার ভাই ও বন্ধুরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রিয় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ১৯ জন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। খেয়ে না খেয়ে পরিশ্রম করছেন। এখানে প্রায় একশর মতো স্টাফ কাজ করেছেন। তারা অনেক সময় থাকার জায়গা পায়নি। তারপরও কাজের দিক থেকে পিছু হটেননি তারা। নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছেন।
ভোটারদের ধন্যবাদ দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে অমায়িক ব্যবহার করেছেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে সকল পর্যায়ে লোকজনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এদিকে গাজীপুরের নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন। ৪৮০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। আর আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। অন্য কোন প্রার্থী এই দুইজনের ভোটের কাছাকাছি ছিলেন না।
মেয়র নির্বাচনে মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল মার্কার এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, হাতপাখার গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ও হাতি প্রতীক নিয়ে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।