ইনসাইড ওয়েদার

বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২৮ মে, ২০২৩


Thumbnail

বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। রোববার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার বায়ুমানের স্কোর ১৯১-এ উঠেছে। অর্থাৎ ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’।

একই সময়ে ১৫৮ স্কোর নিয়ে একিউআই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা নয়াদিল্লির স্কোর ১৫৫। চতুর্থ অবস্থানে থাকা জাকার্তার স্কোরও ১৫৫। আর ১৫৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিল চীনের রাজধানী বেইজিং।

অন্যদিকে শূন্য স্কোর নিয়ে একিউআই’র তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। ৪ স্কোর নিয়ে এরপরই ভালো স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। অর্থাৎ এ শহরগুলোর বায়ুমান খুব ভালো।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

অবশেষে নামল স্বস্তির বৃষ্টি, বিভিন্ন জেলায় বজ্রাঘাতে নিহত ৫

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। আর বজ্রঘাতে পৃথক পৃথক স্থানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (১ মে) রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় বজ্রাঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এসব জায়গায় অনেকে আহত হয়েছে বলেও জানা যাায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়ও বজ্রাঘাতে ৭ জন আহতও হয়। এঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার বলেন, ‘উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন।’ এছাড়াও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াছিন আরাফাত।

জানা গেছে, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। 

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫) ।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

এছাড়াও বুধবার (১ মে) রাতে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাছাড়াও ফেনী, নেত্রকোণা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা হতে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়ার খবর বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


বৃষ্টি   বজ্রপাত   বজ্রাঘাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আভাস

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত ৭৬ বছরে এমন অবস্থা হয়নি বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।

বাংলাদেশের ৭৬ বছরের ইতিহাসে গেল এপ্রিলের পুরো মাস জুড়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ।

তবে চলতি মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।

মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায় বলা হয়েছে।


কালবৈশাখী ঝড়   আবহাওয়া অধিদপ্তর   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

বাংলাদেশের রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল এপ্রিল মাস

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ এতটাই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যে বাংলাদেশের সরকার বাধ্য হয়ে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।

বুধবার (০১ মে) বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানায়, আগের যেকোনো বছরের এপ্রিল মাসের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ।

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ দীর্ঘ, ঘন ঘন ও আরও তীব্র হচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক এএফপিকে বলেন, 'এ বছর এপ্রিলে দেশের ৮০ শতাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহ ছিল। এর আগে আমরা এমন অবিচ্ছিন্ন এবং বিস্তৃত তাপপ্রবাহ দেখিনি।'

তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে গরম ও তাপপ্রবাহের বিস্তৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই এপ্রিল ছিল এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ এপ্রিল মাস।

তিনি জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর যাবত এপ্রিল মাসের দৈনিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের বিভিন্ন আবহাওয়া স্টেশনে এ তাপমাত্রার চেয়েও দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি দৈনিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র সেলিম রায়হান এএফপিকে জানিয়েছেন, গত ১০ দিনে হিট স্ট্রোকে অন্তত ১১ জন মারা গেছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকদিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।

মল্লিক জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে সাধারণত এপ্রিল মাসে ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর হয়নি। এ কারণে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে গড়ে ১৩০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এই এপ্রিলে গড়ে এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।'

তিনি জানান, আগের যেকোনো বছরের চেয়ে এবারের এপ্রিলে এটিই সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত কি না, সেটিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। 


আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

গরমের পর অভিশাপ হয়ে আসছে তীব্র বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘এল নিনো’র প্রভাবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গেল বছর থেকেই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। একপ্রকার অভিশাপ হয়েই দেখা দিয়েছে চলমান তাপ প্রবাহের তীব্রতা।

জলবায়ু বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক তথা সাসকোফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। মূলত আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা লা নিনার কারণে এ বছর এমনটা দেখা যাবে।

সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। তবে ভিন্নতা দেখা যাবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে। সেসব জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে।

সাসকোফ জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বিরাজমান আছে। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় এল নিনো বিরাজমান থাকবে। শেষ অংশে শুরু হবে লা নিনা। এল নিনোর কারণে অতিরিক্ত তাপ প্রবাহ এবং লা নিনার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

‘এল নিনো’ আর ‘লা নিনা হলো’ স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ হলো ‘ছোট্ট ছেলে’ আর অন্যটির অর্থ হলো ‘ছোট্ট মেয়ে’। দুজনই দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলের বাসিন্দা। প্রায় ১০০ বছর আগে সেখানকার জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ওদের দেখতে পায়। সেই থেকেই তাদের এমন নামকরণ। এল নিনো হলো শুষ্ক মৌসুম, যখন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম বৃষ্টি হয় এবং বন্যাও কম হয়। এ সময় তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আর লা নিনার সময় বেশি বৃষ্টি আর বেশি বন্যা দেখা যায়। তাপমাত্রা কমে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে।

মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করেই এর সংজ্ঞা। এখানে তাপমাত্রার একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা এই সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।


তীব্র গরম   বৃষ্টি   জলবায়ু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

তাপপ্রবাহ: অবশেষে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর

প্রকাশ: ১১:৪০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে। কয়েক দফায় হিট অ্যালার্টও জারি করেছে। এই তীব্র গরমে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুও হয়েছে অনেক। সব মিলিয়ে দেশের কোটি কোটি জোড়া চোখ দীর্ঘ প্রতীক্ষায় চেয়ে আছে আকাশ পানে, কখন দেখতে পাবে মেঘ; ঝরবে অন্তিম বৃষ্টি। এবার সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামীকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি শুরু হবে। তবে ৫ মে থেকেই মাত্রা বাড়বে। আর এর প্রভাবেই তাপমাত্রাও নেমে আসবে সহনীয় মাত্রায়। বুধবার (১ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আগমীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা খুবই অল্প পরিমাণ। বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে আগামী ৫ থেকে। সেসময়ে সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ওমর ফারুক বলেন, বৃষ্টির ফলে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ থাকবে না। জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসবে। তবে এই বৃষ্টি শেষে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।

টানা এপ্রিল জুড়ে সারা দেশে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা।

একই দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল যশোরের আগে রেকর্ড হওয়া সবোর্চ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে, দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায়। সে সময় জেলার তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার সেই তাপমাত্রা ছাড়াল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে।

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার দেশে খুবই সামান্য বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা প্রকৃতির এ আচরণকে অস্বাভাবিক বলছেন।

এদিকে দেশের সাতটি জেলায় অতি তীব্র, ১২টি জেলায় তীব্র এবং বাকি ৪৫টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে ঈশ্বরদীতে ৪৩.২ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৪৩.০, কুমারখালীতে ৪২.৫, মোংলায় ৪২.৩, সাতক্ষীরায় ৪২.২, খুলনায় ৪১.৫, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর ও তাড়াশে ৪১.০, গোপালগঞ্জে ৪০.৭, বদলগাছীতে ৪০.৫, ফরিদপুরে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


ওয়েদার   আবহাওয়া অধিদপ্তর   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন