এক সময় ঢাকায় সচল খাল ছিল ৪৭টি। চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ওই খালগুলো। নৌকা, স্টিমার চলতো সেসব নদীখালে। সেসময় নৌপথে মালামাল পরিবহণ ও বাণিজ্যিক প্রসার ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ ছিল তখন ঢাকা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরে ৫৬টি খালের অস্তিত্ব থাকলেও তার সবই এখন মৃতপ্রায়।
হাজারীবাগ কালুনগর খাল। সিটি কর্পোরেশন নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পর এটির নাম দেয়া হয়েছে ষড়কুঞ্জ খাল। দেখে ড্রেন মনে হলেও এটি কিন্তু আসলে একটি খাল। খালটির দুই পাশে বর্জ্য ফেলার স্থায়ী জায়গা বানিয়ে ফেলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এছড়াও ঘন আগাছা আর তীব্র দুর্গন্ধের কারণে খালটির আশে পাশে দাঁড়িয়ে থাকাটাও রীতিমত অসম্ভব। অথচ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম রাজধানীর খাল উদ্ধার করা এবং ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি একক অভিভাবক হিসেবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে তুলে দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকার খালগুলোর সীমানা চিহ্নিত করে খালের পাড় থেকে অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ, পাড় বাঁধাই ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়।এছাড়া খাল খনন/পুনঃখনন করে খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানো, সবুজায়ন ও সাইকেল লেন নির্মাণের উদ্যোগও নেয়া হয়।
গত বছরের জানুয়ারিতে খাল উদ্ধারে সিটি কর্পোরেশন শক্ত হাতে উদ্যোগ নিলেও দখলদারদের দৌরাত্বে আবারও বেহাল দশা খালটির। ঢাকার অন্যতম বড় এই খাল বেহাল হওয়ায় বৃষ্টির সময় এই এলাকা তলিয়ে যায় পানির নিচে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেকেরটেকের শ্যামলী হাউজিং, আদাবর-১০ নম্বর, আদাবর-১৬ নম্বর, আদাবর-১৭ নম্বর এলাকায় খালের ওপর আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এছাড়া ইব্রাহীমপুর, আগারগাঁও, শ্যাওড়াপাড়া, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, কামরাঙ্গীরচর, গোপীবাগ, আব্দুল্লাহপুর, বাউনিয়া, রূপনগর এলাকার খালগুলো রয়েছে মৃতপ্রায় অবস্থায়। ঢাকার অন্যান্য এলাকাতেও খাল গুলোর অবস্থা বেহাল। খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো পরও অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।
রাজধানীর পয়োবর্জ্য ও কঠিন পয়োবর্জ্য প্রবাহের মোট পয়েন্ট যথাক্রমে ৩৬০ টি ও ৪০০ টি। টঙ্গী, বালু, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার সাথে বিভিন্ন এলাকাড় বড় খালগুলো যুক্ত হয়ে থাকলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
ঢাকার ৪৭টি খালের মধ্যে এখন টিকে আছে ২৬টি। ঢাকার চারপাশে চারটি নদীকে ঘিরে যে খালগুলো আছে, যেগুলো বিভিন্ন দিকে দখল হয়ে গেছে বা দূষণের কারণে নদীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে না, সেগুলো উদ্ধার করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে শুধু ঢাকার চারপাশে নৌ-চলাচল নয়, ঢাকার মধ্য দিয়েও নৌ-চলাচল সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুদক দুর্নীতি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করছে। গত ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। এর আগে তিন মেয়াদে যারা বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন এবং সরকারের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের অনেকেরই দায়িত্ব পালনের সময়টি স্বচ্ছতার ছিল না। তারা নিজেদেরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে পারেননি। আর এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মেয়াদ এ রকম অন্তত এক ডজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ এখন বিভিন্ন সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।