পূর্ণাঙ্গ মহাপরিকল্পনা ব্যতীত অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে ভূমিগ্রাস, বৃক্ষনিধন
ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, বনভূমি উজাড় করে আইবিএ
ভবন নির্মাণ এবং তৃতীয় প্রশাসনিক
ভবন নির্মাণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
বুধবার
(৩১ মে) দুপুর ২টা
৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু বটতলা সংলগ্ন
স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল
শুরু হয়। পরবর্তীতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উত্তরে বিজ্ঞান কারখানা সংলগ্ন স্থানে আইবিএ-র ভবন নির্মাণের
জন্য নির্ধারিত স্থানে এসে শেষ হয়।
এসময়
বিক্ষোভ-মিছিলরত শিক্ষার্থীদের "অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করো, করতে হবে"
"জনগণের টাকা অপচয় করে
উন্নয়ণ চাই না" "বনভূমি
ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই
না" ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বিক্ষোভ
মিছিলের শুরু হওয়ার পূর্বে
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর-এ-তামিম
স্রোতের সঞ্চালনায় জহির রায়হান চলচ্চিত্র
সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৌটুসী জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে বলেন,
'বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকতেই
হবে। এর আগেও আমরা
ছেলেদের তিনটা হল ও মেয়েদের
তিনটা হল নির্মাণের সময়
প্রশাসনের অব্যস্থপনা দেখেছি। বিকল্প জায়গা থাকতেও আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য
যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে
প্রায় ২৫০ শালবৃক্ষ রয়েছে,
অনেক প্রাণী রয়েছে সেখানে। এই বনভূমি ধ্বংসে
প্রশাসনের যে পাঁয়তারা সেটা
আমরা বাস্তবায়ন হতে দিবো না।
বিকল্প জায়গায় আইবিএ ভবন হতে পারে।'
এসময়
চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী এরফানুল ইসলাম ইফতি তার বক্তব্যে
বলেন, 'আমরা ২০১৮ সাল
থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি।
মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া কোনো ভবন হতে
পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই এই অপপরিকল্পানার
বিরুদ্ধে কথা বলে যাবে।'
ছাত্র
ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী
তার বক্তব্যে বলেন, 'সারাবিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন
মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে
তখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। আইবিএ
ভবন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা বিকল্প
জায়গায় হতে পারে। এখানে
প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন চালানো
হচ্ছে। এখানে একটি মাস্টারপ্ল্যাণ জরুরি।
কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া প্রশাসন কীভাবে এতো বড় একটি
প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে? তারা
আমাদের ডেকে বারবর আইওয়াশ
করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বৃহৎ
আকার ধারণ করবে।'
সমাপনী
বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, 'আমরা অনেক দিন
আগে থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভবন অপূর্ণাঙ্গ
করে রাখা হয়েছে, এগুলোকে
পূর্ণাঙ্গ না করে নতুন
ভবন নির্মাণের দিকে প্রশাসনের এতো
আগ্রহ কেনো? এরা বারবার অপরাধ
করছে, এদিকে সবার নজর রাখা
উচিত। সেইসাথে আমরা এই অপরাধীদের
শাস্তির দাবি করছি। এর
আগেও বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের নামে গাছ কাটা
হয়েছে, মেয়েদের খেলার মাঠ নির্মাণের নামে
করে গাছ কাটা হয়েছে,
কিন্তু সেই মাঠের কোনো
খবর নাই।'
উল্লেখ্য,
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইবিএ ভবন
নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে
"গাছ কাটা নিষেধ" লেখা
একটি ব্যানার টানানো হয়।
মন্তব্য করুন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, লেখাপড়া তো করতেই হবে। কিন্তু লেখাপড়া শিখে অকেজো থাকা যাবে না। বাজারে অবস্থান তৈরি করার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। আর এজন্য জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির সঠিক সমন্বয় ঘটিয়ে যোগ্য তৈরি হতে হবে।
রোববার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
ইবি ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি
মন্তব্য করুন
ইসলামী বশ্বিবদ্যিালয়ে (ইবি) ‘র্কমচারীদরে দক্ষতা বৃদ্ধিতে শুদ্ধাচাররে ভূমকিা’ র্শীষক প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠতি হয়ছে। রববিার (১৯ মে) সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনরে ৩য় তলার সভাকক্ষে সহায়ক র্কমচারীদরে অংশগ্রহণে এই কর্মশালা শুরু হয়।
প্রধান
অতিথি
হিসেবে
উপস্থিত থেকে
ভাইস
চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
শেখ
আবদুস
সালাম
কর্মশালার শুভ
উদ্বোধন করেন।
এপিএ
টিমের
আহবায়ক
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
মো:
মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ
অতিথি
ও
রিসোর্স পার্সন
হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন
ট্রেজারার প্রফেসর ড.
মো:
আলমগীর
হোসেন
ভূঁইয়া। স্বাগত
বক্তব্য রাখেন
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম. আলী হাসান।
রিসোর্স পার্সন
ছিলেন
উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও এপিএ ফোকাল
পয়েন্ট
কর্মকর্তা চন্দন
কুমার
দাস।
কর্মশালায় বক্তারা কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার তাগিদ দেন।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের গাছবাড়িয়া সরকারি
কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক
মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (১৭ মে) ছাত্রলীগের
কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে
এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো
হয়,
সংগঠনের
শৃঙ্খলা
ও
মর্যাদা
পরিপন্থি
এবং
অপরাধমূলক
কার্যকলাপে
লিপ্ত
হওয়ার
অভিযোগে
মো.
সাফাতুন
নুর
চৌধুরীকে
(যুগ্ম-আহ্বায়ক,
বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ,
গাছবাড়িয়া
সরকারি
কলেজ
শাখা)
বহিষ্কার
করা
হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে কলেজের কার্যক্রম চলা অবস্থায় ফ্যান নষ্ট থাকার জের ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. কে এম আতিকুর রহমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন এ ছাত্রলীগ নেতা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষককে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে আহত করেন তিনি।
ছাত্রলীগ শিক্ষক পেটানো বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি একাধিক ছাত্রনেতার। এমনকি ঘটনা দ্বিপাক্ষিক হলেও একপাক্ষিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি বহিস্কৃত ছাত্রনেতাদের।
বহিস্কৃত ছাত্রনেতারা বলছেন, ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি তাদের। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্ত একপাক্ষিক হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে নাম না উঠলেও বিনা কারণে বহিস্কৃত হয়েছেন।
বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, ‘কি থেকে কি হয়েছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা চার জনের মধ্যে আমার নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনায় হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে আমাকে পাওয়া যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি নির্দোষ এ বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে সরাসরি কথা বলবো।’
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাগুলো দ্বিপাক্ষিক হলেও শুধু আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই দলের বিরুদ্ধে (বাবু-গালিব) এখন পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আমাদের কারণ নির্দেশনার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঢাকা যাবো কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ (১৫ মে) ছিনতাইয়ের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যাচার। তা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের পূর্ব পরিকল্পিত। আমি আতিকের (হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা) রুমে যায়ই নি। তাহলে আমি তার রুমে ভাঙচুর কিভাবে করব অথবা টাকা কিভাবে হাতিয়ে নিবো? এগুলা আমার বিরুদ্ধে সাজানো একটা নাটক এবং পূর্বপরিকল্পিত।’
আরেক বহিস্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বলেন, ‘খুবই একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এ ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে কোথাও আমার নামে অভিযোগ না আসলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ক্যাম্পাসের কারও রাজনীতি করিনা। এছাড়া ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান এই ছাত্রনেতা।’
বহিষ্কৃত নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল বলেন, ‘ঘটনা যাই হোক আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। তবে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পান্থ ভাই নাকি (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক) বলেছেন আমরা নির্দোষ হলে অবশ্যই আমাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে। তাই ঢাকায় গিয়ে আমরা লিখিতভাবে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করবো।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তত্বাবধায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সাংগঠনিক সফরে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ মে রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। সোহরাওয়ার্দী হল সহ আশেপাশের হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। ঘটনার এক দিন পর ১৩ মে রাতে পুনরায় একই স্থানে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাব্বিরুজ্জামান রুহুল এই চার নেতা কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি একাধিক ছাত্রনেতার। এমনকি ঘটনা দ্বিপাক্ষিক হলেও একপাক্ষিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি বহিস্কৃত ছাত্রনেতাদের।
শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।