প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়ে আরিফুর রহমান (৩১) নামে এক বিজিবি সদস্যকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে ওই বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন ১৪ বিজিবি'র সদস্যরা।
শুক্রবার
(২ জুন) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট
সদর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা
কল্যানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ ঘটনায় পত্নীতলা
বিজিবিতে অভ্যন্তীণে একটি তদন্ত কমিটি
গঠন করা হয়েছে বলে
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
ওই বিজিবি সদস্য আরিফুর রহমান পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ফুলঝুড়ি গ্রামের মোস্তফা এর ছেলে বলে
জানা গেছে। সে বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা
ব্যাটালিয়নের ৬ বিজিবিতে কর্মরত
আছেন। একসময় বিজিবির কড়িয়া বিওপিতে কর্মরত ছিলেন তিনি।
স্থানীয়
সুত্রে জানা গেছে, জেলার
ভারত সীমান্ত ঘেঁষা কল্যানপুর গ্রামে প্রবাসী হাসান আলীর বাড়ীতে তার
স্ত্রী (২২) এর সাথে
অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়ে বিজিবি
সদস্য আরিফুর রহমানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসী।
পরে সন্ধ্যার দিকে পত্নীতলা ১৪
বিজিবির অধীন কড়িয়া ও
ভুটিয়াপাড়া বিওপির বিজিবি সদস্যরা গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে
আটক বিজিবি সদস্যকে বাড়ি তুলে নিয়ে
যায়। এসময় গ্রামবাসীর মধ্যে
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়
ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী হাসানের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক
করতে গিয়ে বিজিবি সদস্যকে আটক করে স্থানীয়
বাসিন্দারা। খবর পেয়ে দ্রুত
ঘটনাস্থলে যাই। বিজিবি সদস্য
হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে পারিনি। পরে
বিজিবি সদস্যরা আরিফুর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়
বাসিন্দা মুনসুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হাসানের
স্ত্রীর সাথে বিজিবি সদস্য
আরিফুর রহমানের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
তাদের কারণে ওই গ্রামের পরিবেশ
নষ্ট হচ্ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে ওই
প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে
বিজিবি সদস্য আরিফুর রহমান। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই প্রবাসীর
বাড়ি ঘিরে রাখে গ্রামবাসী।
পরে দুপুরের দিকে উৎসুক লোকজনের
সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে কড়িয়া ও
ভুটিয়াপাড়া বিওপি ১৪ বিজিবির সদস্যরা
লোকজনকে তাড়িয়ে দিয়ে জোরপূর্বকভাবে বিজিবি
সদস্যকে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময়
গ্রামবাসীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজমান
ছিল। এসময় স্থানীয়রা এ
ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
পত্নীতলা
ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: হামিদ উদ্দিন
বলেন, ইতোপূর্বে বিজিবির কড়িয়া বিওপিতে কর্মরত ছিল আরিফুর রহমান।
ওই সময় কল্যানপুর গ্রামের
প্রবাসী হাসানের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে
উঠে তার। বর্তমানে সে
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবিতে কর্মরত
আছেন। সেখান থেকে সে কল্যানপুর
গ্রামে ওই প্রবাসীর বাড়িতে
আসলে স্থানীয় লোকজন আটক করে রাখে।
খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা
তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় তদন্ত টিম গঠন করা
হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ওসি
মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের
শিকার আব্দুল বারেক।
মামলা দায়ের করা আব্দুল বারেক সিরাজদিখান
উপজেলার বড়বর্তা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান মামলার ঘটনার সত্যতা যাচাই-পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন
দেওয়ার জন্য পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাদী তথা ভুক্তভোগীদের জখমের
বিষয়ে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জামাল
হোসাইন জানান, গত ১৮ এপ্রিল জেলার সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। ২৪ এপ্রিল
ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি দেখিয়ে উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকসহ ১১
জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতদের থানা
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, জেল হাজতে থেকে আব্দুল
বারেক বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানার ওসি ও অন্যান্য আরো ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশের
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আদালতে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান
সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি আদালতে একটি পিটিশন মামলা হয়েছে। তবে ওই
ঘটনার সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন