ইনসাইড পলিটিক্স

পুলিশকে ভয় দেখানোর নতুন কৌশলে বিএনপি


Thumbnail পুলিশকে ভয় দেখানোর নতুন কৌশলে বিএনপি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্রের কূটচালে মেতে উঠেছে বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের খুন-গুম এবং তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদির মধ্যে মধ্যে রয়েছে- ১. মামলার সময়কার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয়। ২. ঐ সময়কার সংশ্লিষ্ট সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (মেট্রোর ক্ষেত্রে- এসি- জোন, ডিসি-জোন) নাম ও পরিচয়। ৩.মিথ্যা ও গায়েবি মামলা রুজুকারী কর্মকর্তার নাম ও পরিচয়। ৪. মিথ্যা ও গায়েবি মামলা তদন্তকারী কর্মকতার নাম ও পরিচয়। এসব বিষয়ে তথ্যাদি প্রদানের জন্য জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক পুলিশ কতর্মকর্তা সালাউদ্দীন খানকে মনোনীত করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সারা দেশে গুম, খুন, অপহরণ ও গুরুতর জখমের শিকার নেতা-কর্মীদের তালিকা করার লক্ষে বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদককে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়। বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে মহানগর, জেলা, উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কতজন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’, নির্যাতনে বা অন্য কোনোভাবে নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন; কতজন অপহরণ, গুম হয়েছেন; সরকারি দলের হামলায় কতজন খুন-জখম হয়েছেন- তাঁদের দলীয় পরিচয়সহ নাম-ঠিকানা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধ করা গেল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এই ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই ধরনের চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, পুলিশকে ভয় দেখানোর জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্যে সংশ্লিষ্ট পুলিশের ওসি, এএসপি, এসপি, আ্যডিশনাল এসপি কিংবা মেট্রোপলিটনের ক্ষেত্রে এসি, ডিসি- এমনকি মামলার রুজুকারী কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এটি বিএনপির একটি নতুন কৌশল। যে কৌশলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর মানসিক শক্তিকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র। কেননা বিএনপি যখন বাসে আগুন দেয়, জ্বালাও-পোড়াও করে, রাস্তা অবরোধ করে যানজটের সৃষ্টি করে, সাধারণ মানুষের জানমালের উপর নিরাপত্তা হুমকির আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তখন একমাত্র পুলিশ বাহিনীই তাদের এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করে থাকে। যে কারণে পুলিশ বাহিনীকে আতঙ্কগ্রস্থ করতেই বিএনপি এই নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম বিএনপি দলীয়ভাবে অনেক আগে থেকে পরিচালনা করে থাকলেও মার্কিন নতুন ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এনেছে। এটি আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দমন করার একটি কৌশলমাত্র।              

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ হবে- তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। 

ভিসা নীতিতে আরও বলা হয়েছে,গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

সম্প্রতি বিএনপির এই চিঠির মাধ্যমে খুন-গুম, মামলা সংক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির সাথে সম্পর্কিত নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার বিষয়টি বিএনপির অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে দায়ের করা মামলার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়।

বিএনপির উল্লেখিত চিঠির বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তথ্যাদি প্রদানের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর মনোনীত ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক পুলিশ কতর্মকর্তা সালাউদ্দীন খানের সঙ্গে। ‘এসব তথ্য দিয়ে আসলে কি করা হবে?’ - এমন প্রশ্নে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘এসব কার্যক্রম চলছে, এটা অনেক গোপন বিষয়। যারা নির্যাতিত হয়েছে, নির্যাতিত ব্যক্তিদের যারা নির্যাতন করেছে, মিথ্যা মামলাগুলো দায়ের করেছে- তাদের একটি তালিকা হচ্ছে। এটির কাজ সারা বাংলাদেশব্যাপী চলছে।’

তিনি বলেন, ‘ধরেন অনেক জায়গায় কোনো ঘটনাই হয়নি, মামলা হয়েছে, মামলার বাদী হয়েছেন দাড়োগা সাহেব, এসপি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন, তারপর ওসি মিথ্যা মামলা করেছেন- এমন সমস্ত তথ্যগুলোই আমরা সংগ্রহ করছি এবং তাদের তালিকা করছি। এসব বিষয়কেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এটা উপর পর্যায়ে যাবে।’

‘উপর পর্যায়ে যাবে বলতে- কোথায় যাবে?’- এমন প্রশ্নে সালাউদ্দীন খান বলেন, ‘দেশের বাইরেও যাবে।’

‘আমেরিকান নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পরই কি আপনারা এটা করছেন? এটা কি নতুন ভিসা নীতির মধ্যে পড়ে কি না?’- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভিসা নীতি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন। এইটা ভিসা নীতিতে পড়ে কি না। তারা জনসমাবেশে বাধা দিল, মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করলো- এগুলোতো ভিসা নীতিতে বলাই আছে। চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমাদের জনসমাবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে, পূর্বেও করেছে এবং এখনও করছে -এরকম।’                         

‘কবে থেকে এটা শুরু হয়েছে?’- প্রশ্নে তিনি জানান, এটার  কার্যক্রম আনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে অনেক পরে। এ কার্যক্রম ২০১৭ সাল থেকে শরু হয়েছে। এর আগে এটা সামনে আসেনি, কারণ হচ্ছে- এখন আমরা সারা বাংলাদেশে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়েছি। আগে বিষয়টি গোপন ছিল, এখন সেটা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।


পুলিশ   ভয়   কৌশল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘এক জায়গা বউকে, আরেক জায়গা ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ আগে থেকেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বা উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন। আবার নিজের স্ত্রী বা ছেলেকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এক জায়গা বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হাসপাতালে থেকে আজই বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।

এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। 


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ পালনে আজ সস্ত্রীক সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম। 

বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সোয়া ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


মির্জা ফখরুল   ওমরাহ হজ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে বিজেপির আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছে।

এই আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে।

ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


ভারত নির্বাচন   বিজেপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন