ইনসাইড পলিটিক্স

আমুর জাতিসংঘের মধ্যস্থতা প্রস্তাব: আওয়ামী লীগে তোলপাড়

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু গতকাল আকস্মিকভাবে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব রাজনীতির অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। আমির হোসেন আমুকে এমনি সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা সরব দেখা যায়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। যদিও ১৪ দলের সমন্বয়ক কিন্তু ১৪ দলের আলাপ-আলোচনা, বৈঠকগুলোতে তাকে খুব একটা পাওয়া যায়নি। সেই তিনি কিনা জাতিসংঘের প্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে বিএনপিকে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এই প্রবীণ নেতা। 

তিনি বলেছেন যে, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি আসুক। আমরা আলোচনা করে দেখতে চাই কিভাবে সবাই মিলে একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। সেটি একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সুরাহ হতে পারে, অন্য কোনভাবে নয়। গতকাল ১৪ দলের এক জনসভায় আমির হোসেন আমু এই মন্তব্য করেন। তার মন্তব্য ঘিরে রাজনীতিতে চলছে নানামুখী আলোচনা। 

আমির হোসেন আমু রাজনীতিতে কোন অনাহুত নন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতা। রাজনৈতিক কৌশলে তার চেয়ে পারদর্শী নেতার সংখ্যা বাংলাদেশে আর এই মুহূর্তে আছে কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়। তিনি হঠাৎ করেই জাতিসংঘের বিষয়টি আনলেন কেন এবং বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবই বা দিলেন কেন? এই প্রশ্ন এখন রাজনীতিতে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে। 

আমির হোসেন আমুর এই বক্তব্যের পর আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, দেশে এরকম কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনা হতে হবে। আমির হোসেন আমুর এই বক্তব্যের পর আজ আওয়ামী লীগের আরেক জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন যে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। এই সমস্ত বক্তব্যের ফলে এক ধরনের প্রশ্ন রাজনীতির অঙ্গনে এসেছে। তা হলো আওয়ামী লীগ কি এখন বিএনপির সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী?

কদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, কিসের সংলাপ? যারা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের সঙ্গে সংলাপ করতে গেলে পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। তিনি সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বরং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তার এই বক্তব্যের বিপরীত ধারায় অবস্থান নিলেন আওয়ামী লীগের অন্তত দুইজন নেতা। তবে আমির হোসেন আমুর বক্তব্যটি রাজনীতিতে বিভিন্ন ভাবে আলোচনার দাবি রাখে। গতকালই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা হয়। এর আগে পিটার ডি হাস কথা বলেন আওয়ামী লীগের দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাথে। এই সময়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের একটি প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে উত্থাপিত হয়েছে। এই প্রস্তাবের বিস্তারিত জানা না গেলেও তখনই জাতিসংঘের বিষয়টি নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। এরপর পরই আমির হোসেন আমুর এ বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। 

একটা সময় ছিল যখন আমির হোসেন আমু ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন রাজনীতিবিদ। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার সঙ্গে পরামর্শ করতেন। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো রাজনৈতিক স্পর্শকাতর জটিল কঠিন সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব আমির হোসেন আমুর ওপর তুলে দিতেন। কিন্তু এক-এগারো দৃশ্যপট পাল্টে দেয়। এক-এগোরোতে সংস্কারপন্থী হয়ে মাইনাস ফর্মুলা যারা দিয়েছিল তাদের অন্যতম ছিলেন আমির হোসেন আমু। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে তার দূরত্বের খবর বিভিন্ন সময় শোনা যায়। যদিও ২০১৪ সালের মন্ত্রী সভায় তিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এক-এগোরোর পর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে তাকে সরে যেতে হয়। উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তিনি হয়েছেন। কাজেই বর্তমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যে তিনি এ ধরনের বক্তব্য রেখেছেন তা নয় সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। তাহলে তিনি কার নির্দেশে দিলেন? তার ইঙ্গিত দিলেন?

এক-এগোরোর সময় আমির হোসেন আমুর ভূমিকা যেমন রহস্যময় ছিল, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাবটি ঠিক একই রহস্যময়। তাহলে কি আওয়ামী লীগ বিএনপি উভয় দলের মধ্যেই একটি পক্ষ এখন রাজনীতির কৌশলের খেলা খেলছেন? তারা কি এখন চাইছেন যে আবার আরেকটি এক-এগারো আনার জন্য। সেই জন্য কি বিভিন্ন মহল সক্রিয় হয়েছে। 

রাজনীতির খবর   আমির হোসেন আমু   আওয়ামী লীগ   জাতিসংঘ   বিএনপির  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন