ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশাল ও খুলনায় ৭২ ঘণ্টা বাইক চলাচল নিষিদ্ধ

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১০ জুন, ২০২৩


Thumbnail বরিশাল ও খুলনায় ৭২ ঘণ্টা বাইক চলাচল নিষিদ্ধ।

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা এই দুই সিটিতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। আর ভোটের দিন অন্যান্য যান চলাচল সীমিত থাকবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহনন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করবে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকেও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, খুলনা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং দুইটি পৌরসভার (নারায়ণঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচন তফসিল অনুসারে ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ১১ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ইজিবাইক চলাবন্ধ থাকবে।

এছাড়া ১০ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও যে কোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

অন্যদিকে জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। 


বরিশাল   খুলনা   বাইক চলাচল   নিষিদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যানজট নিরসনে সমন্বয় সভা

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরের ঈদুল আজহায় যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়স্থ ফ্লাইওভার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের অফিস কক্ষে ঢাকা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আওলাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ফ্লাইওভার ও পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল) হিসেবে কর্মরত, মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-ওয়ারী), অতিঃ-উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-ওয়ারী) সুলতানা ইশরাত জাহান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক লালবাগ জোন) মোঃ গোলাম মোর্শেদ এবং  ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় ফ্লাইওভার ও পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরো গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য গুলিস্তান সহ অন্য ১০টি র‍্যাম্প এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রাখবে মর্মে প্রতীতি ব্যক্ত করা হয়। ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ সর্বমোট ০৭ টি টোল প্লাজায় টোলের গতি বাড়ানোর জন্য অধিকতর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রতিটি র‍্যাম্প এলাকায়  আরো বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার বাংলাদেশের প্রথম পিপিপি প্রজেক্টভুক্ত ফ্লাইওভার যা দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অত্র ফ্লাইওভারে ১১টি র‍্যাম্প রয়েছে। তন্মধ্যে ৬টি স্থান থেকে যানবাহন উঠা এবং ৫টি স্থান থেকে নামার সুযোগ রয়েছে। এর সিংহভাগ ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের অন্তর্গত এবং মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগে মাত্র ১ টি অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ র‍্যাম্প ব্যস্ততম গুলিস্তানে অবস্থিত। 

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার   ঢাকা-৪   ড. মোঃ আওলাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের বিজনেস পার্টনারদের সম্পদ খুঁজছে দুদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম আজ বলেছেন যে, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীরের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলো দাখিল করা হয়েছিল সেই অভিযোগগুলোর সত্যতা মিলেছে, খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন সাবেক পুলিশপ্রধানের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করছে হাইকোর্টের নির্দেশে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। আর এখন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো বলছে যে, বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক এই পুলিশপ্রধান কেবল নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেননি, অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তিনি বাণিজ্যিক এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক করেছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ তার বিজনেস পার্টনার হিসেবেও পরিচিত ছিল। এখন এই সমস্ত বিজনেস পার্টনারদের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন খোঁজ খবর নিচ্ছে। বেনজীর আহমেদ কীভাবে তাদেরকে টাকা হস্তান্তর করেছেন এবং এই টাকা পেয়ে তারা কীভাবে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক করেছেন সে ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, তার মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল বেনজীর আহমেদ অস্ত্রের জোরে লিখে নেন এবং সেখানে তিনি একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছেন। একজন ব্যবসায়ীর নামও উল্লেখ করেছেন। শুধু এই ব্যবসায়ী নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ফুলেফেঁপে ওঠা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ বিজনেস পার্টনার ছিলেন, যাদেরকে বেনজীর আহমেদ বিভিন্ন সময়ে সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। বেনজীর আহমেদের লুন্ঠিত অর্থ যাদের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে এবং ঐ অর্থ যারা বিনিয়োগ করেছেন এরকম অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ীর প্রাথমিক তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন পেয়েছে বলে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ব্যাংকিং সেক্টরে রকম একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, একজন এখন ফার্নিচার ব্যবসায়ী সহ বেশ কিছু ব্যবসায়ীর পরিচয় পাওয়া গেছে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা বেনজীর আহমেদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন এবং বেনজীর আহমেদকে তাদের পার্টনার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব সূত্রগুলো বলছে, এই সমস্ত তথ্যগুলো তারা এখন বিচার বিশ্লেষণ এবং যাচাই বাছাই করেছেন। যাচাই বাছাই শেষ হওয়ার পরই এ ব্যাপারে তারা চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। যারা বেনজীরের বিজনেস পার্টনার রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা বেনজীর আহমেদকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন আর অন্যদিকে যাদেরকে বেনজীর আহমেদ তার লুণ্ঠিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছেন তারা সবাই অভিযুক্ত। তবে দুদক প্রথম ধাপে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি তদন্ত করছে। পরবর্তী ধাপে তারা এ ধরনের অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনবে।

বেনজীর আহমেদ   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফুলবাড়ীতে ৩৯ হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ১০ কেজি করে চাল উপহার পেয়ে খুশি ৩৮ হাজার ৬৩২ জন ভিজিএফ নির্বাচিত সুবিধাভোগী পরিবার। 

এতে এ উপজেলায় মোট ৩৮৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ বরাদ্দ আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম।

উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিব এবং ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দুস্থদের মাঝে ঈদের বিশেষ বরাদ্দের ভিজিএফ নির্বাচিত সুবিধা ভোগীদের মাঝে  ১০ কেজি করে চাল বিতরণ চলমান রয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে চাল বিতরণ সম্পূর্ণ হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাছেন আলী জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রতি ঈদে ১০ কেজি করে চাল দুস্থদের মাঝে উপহার দেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল অত্যান্ত সুন্দর পরিবেশে আমি আমার ইউনিয়নে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনে মোট ৫ হাজার ২০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কাজ সম্পূর্ণ করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রত্যেক সুবিধাভোগীদের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল সুন্দর পরিবেশে বিতরণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। আশাকরি আজ কালের মধ্যে চাল বিতরণ সম্পূর্ণ করা হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার মাঠে ইউনূস

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নিজের মামলা থেকে বাঁচার জন্য আবার নতুন করে মাঠে নেমেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচার শুরু করেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটনা করছেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বলয়ে আবার নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। 

সরকার বর্তমান সরকার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়, এই সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পেস দিচ্ছে না এমন বক্তব্য দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উল্লেখ্য যে, একাধিক দুর্নীতির মামলায় এখন নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে ড. মুহম্মদ ইউনূসকে। আর এই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি প্রতিদিনই কিছু না কিছু নাটক করছেন। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি একটি মামলায় ইতোমধ্যে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাতের মামলাগুলো এখনও চলমান আছে, যেগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে চার্জশিট প্রদান করেছে। এই সমস্ত মামলা থেকে তিনি জামিনে আছেন। এই মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এই বিচার প্রক্রিয়ায় উপস্থিত হতে হচ্ছে তাকে আদালতে এবং আদালত অন্য দশজন অভিযুক্তকে যেভাবে বিচার প্রদান করেন সেভাবেই তাকে বিচার প্রদান করেছেন। কিন্তু এই বিচার নিয়েও তিনি প্রতিবারই প্রশ্ন তুলছেন। প্রতিবারই তাকে লোহার খাঁচায় বন্দি রাখা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন। বিচারকে প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। 

সাম্প্রতিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তারা ড. ইউনূস ন্যায় বিচার পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ড. ইউনূসের ব্যাপারে যেন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় সে সম্পর্কেও তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। 

আইনমন্ত্রী অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি অন্যান্য আসামিরা যেভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পান, একই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আইনমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, ইউনূস মামলা থেকে বাঁচার জন্য নানারকম রকম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। 

উল্লেখ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠেছে সেই অভিযোগগুলো প্রমাণের দায়িত্ব তারই এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হবে। ইতোমধ্যে আয়কর ফাঁকির একাধিক মামলায় তিনি পরাজিত হয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে। যে সমস্ত আয়কর তিনি ফাঁকি দিয়েছিলেন, সেই আয়কর গুলো তিনি পরিশোধ করেছেন। এখন তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার বা দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠছে সেই অভিযোগগুলো সঠিক না ভুল তা প্রমাণের দায়িত্ব আদালতের। 

ড. ইউনূস নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করাটা যেমন অযৌক্তিক, তেমনই এখনই তাকে দোষী বলাটাও আইনসিদ্ধ নয়। আদালতকে তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলতে দেওয়া উচিত। সরকারও সেই বক্তব্যটি দিচ্ছে। সরকার বলছে, ইউনূসের মামলা প্রত্যহারের এখতিয়ারও যেমন সরকারের নাই, আদালতে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করারও অধিকার সরকারের নাই। ইউনূসের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা আদালতই চূড়ান্ত করবে। কিন্তু ড. ইউনূস সম্ভবত উপলদ্ধি করতে পেরেছেন যে, তিনি যে কাজগুলো করেছেন সেই কাজগুলো সঠিক ছিলো না এবং তিনি এ ধরনের অভিযোগগুলো অভিযুক্ত। আর এ কারণে তিনি এ মামলাগুলোর বাক পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। মামলাগুলোকে অন্য খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। আর এ জন্যই তিনি এখন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচারের মিশনে নেমেছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে'

প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দুদুকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এখন মামলা কখন হবে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরপর দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।

পাশাপাশি সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের করা কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মাসের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা তার এবং পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ ও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ সম্পদগুলো তত্ত্বাবধানে নেয়।

সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, উনার সন্দেহজনক লেনদেন আছে। অপরাধলব্ধ আয় আছে। অপরাধ লব্ধ সম্পত্তি আছে। এগুলো যাচাই করছি, দেখছি। আরও সম্পদ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছি। সাবেক আইজিপির যে কর্মকাণ্ড  অপরাধলব্ধ আয় এটা খুব বিপদজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। সর্বোচ্চ পদে একজন পুলিশ বাহিনীর সাবেক প্রধান হিসেবে এভাবে অপরাধলব্ধ আয়ের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে গেলেন। কেন এত অপরাধলব্ধ আয় তার পরিবারের জন্য করলেন। এটা বিশাল প্রশ্ন। কোনো বাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে এমন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

এর আগে দুই দফায় গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার নামে থাকা প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। গত ৬ জুন এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন আদালত।  

গতকাল বুধবার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ মেয়েদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাটসহ আরও সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। যার মধ্যে রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায় ৩৯.৩০ কাঠা জমির ওপর দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি (লিজ), স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে বাদাবরানার পিসি কালচার এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট ক্রোক করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়া ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ মূলে সম্পত্তিতে ৬তলা ভবন, সিটিজেন টিভিতে শেয়ার ও টাওয়ার অ্যাপারেলস (গার্মেন্টসে) শেয়ার অস্থাবর জমি ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিটিজেন টেলিভিশনের শেয়ারসহ কোম্পানির শেয়ার জব্দের আদেশ হয়েছে।


আইজিপি   বেনজীর আহমেদ   দুর্নীতি দমন কমিশন   দুদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন