খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা এই দুই সিটিতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। আর ভোটের দিন অন্যান্য যান চলাচল সীমিত থাকবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহনন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করবে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকেও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, খুলনা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং দুইটি পৌরসভার (নারায়ণঞ্জ জেলার আড়াইহাজার ও কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচন তফসিল অনুসারে ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ১১ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ইজিবাইক চলাবন্ধ থাকবে।
এছাড়া ১০ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন ইত্যাদি প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে ও স্থানীয় বিবেচনায় উল্লিখিত যানবাহন ছাড়াও যে কোনো যানবাহন চলাচলের ওপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
বরিশাল খুলনা বাইক চলাচল নিষিদ্ধ
মন্তব্য করুন
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ঢাকা-৪ ড. মোঃ আওলাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দুদুকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এখন মামলা কখন হবে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
পাশাপাশি সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের করা কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মাসের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা তার এবং পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ ও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ সম্পদগুলো তত্ত্বাবধানে নেয়।
সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সে বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, উনার সন্দেহজনক লেনদেন আছে। অপরাধলব্ধ আয় আছে। অপরাধ লব্ধ সম্পত্তি আছে। এগুলো যাচাই করছি, দেখছি। আরও সম্পদ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছি। সাবেক আইজিপির যে কর্মকাণ্ড অপরাধলব্ধ আয় এটা খুব বিপদজনক। আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। সর্বোচ্চ পদে একজন পুলিশ বাহিনীর সাবেক প্রধান হিসেবে এভাবে অপরাধলব্ধ আয়ের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে গেলেন। কেন এত অপরাধলব্ধ আয় তার পরিবারের জন্য করলেন। এটা বিশাল প্রশ্ন। কোনো বাহিনী প্রধানের বিরুদ্ধে এমন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
এর আগে দুই দফায় গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার নামে থাকা প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। গত ৬ জুন এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন আদালত।
গতকাল বুধবার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ মেয়েদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাটসহ আরও সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। যার মধ্যে রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা, উত্তরায় ৩ কাঠা, বাড্ডায় ৩৯.৩০ কাঠা জমির ওপর দুটি ফ্ল্যাট, বান্দরবান জেলায় ২৫ একর জমি (লিজ), স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে বাদাবরানার পিসি কালচার এলাকায় ৬টি ফ্ল্যাট ক্রোক করা হয়েছে। এছাড়া গুলশানে বাবার কাছ থেকে পাওয়া ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ মূলে সম্পত্তিতে ৬তলা ভবন, সিটিজেন টিভিতে শেয়ার ও টাওয়ার অ্যাপারেলস (গার্মেন্টসে) শেয়ার অস্থাবর জমি ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিটিজেন টেলিভিশনের শেয়ারসহ কোম্পানির শেয়ার জব্দের আদেশ হয়েছে।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক
মন্তব্য করুন
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরের ঈদুল আজহায় যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়স্থ ফ্লাইওভার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের অফিস কক্ষে ঢাকা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আওলাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ফ্লাইওভার ও পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম আজ বলেছেন যে, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীরের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগগুলো দাখিল করা হয়েছিল সেই অভিযোগগুলোর সত্যতা মিলেছে, খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন সাবেক পুলিশপ্রধানের বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করছে হাইকোর্টের নির্দেশে। ইতোমধ্যে বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। আর এখন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
নিজের মামলা থেকে বাঁচার জন্য আবার নতুন করে মাঠে নেমেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচার শুরু করেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটনা করছেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বলয়ে আবার নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দুদুকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, এখন মামলা কখন হবে সেটা দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ এবং ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল পৃথক দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।