ইনসাইড বাংলাদেশ

পুলিশের ডিআইজি পর্যায়ের ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল রেঞ্জসহ ১৬ ডিআইজি বদলি।

বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল রেঞ্জসহ উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। রোববার (১৬ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ।

বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে সিআইডির ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিককে ট্যুরিস্ট পুলিশে, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম নাহিদুল ইসলামকে সিআইডিতে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) রাজশাহী, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানকে ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজে, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হককে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমানকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি করা হয়েছে।

রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মো. আবদুল বাতেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মো. জামিল হাসানকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রখফার সুলতানা খানমকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেন খানকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামানকে এসবিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (বর্তমানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহীল বাকীকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে, টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মো. ময়নুল ইসলামকে ঢাকা ট্রেনিং ড্রাইভিং স্কুলে ও ঢাকা ট্রেনিং ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) মো. নজরুল ইসলামকে টাঙ্গাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:- পুলিশের ৩৫ অতিরিক্ত ডিআইজিকে বদলি


রাজশাহী   রংপুর   বরিশাল   রেঞ্জ   ডিআইজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাঁচ দিনেও প্রজ্ঞাপন হয়নি নাঈমুল ইসলাম খানের

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানের নিযুক্তির কথা চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৮ মে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করেনি।

নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এই সারসংক্ষেপ অনুযায়ী একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন করবে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বঙ্গভবনের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বঙ্গভবনে এই সংক্রান্ত কোন সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়নি। কোথায় গিয়ে আটকে আছে- এ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য পাওয়া গেছে। 


উল্লেখ্য যে, ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় এবং তার জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা যতদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন, ততদিন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করার কথা। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা। 

সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে একদিনেই প্রজ্ঞাপন জারি হয়। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ দুই দিন লাগে। কিন্তু নাঈমুল ইসলাম  খানের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ দিনেও এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালক (প্রশাসন) যে সারসংক্ষেপটি পাঠিয়েছেন সেটি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রকাশিত হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফাঁস হয়নি। তাহলে এটি কোথা থেকে ফাঁস হল? কে ফাঁস করল? এটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠেছে। এটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে বিপক্ষে নানা রকম বক্তব্য এসেছে। কেউ কেউ নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে। অনেকে এই ব্যাপারটি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহলের কাছেও পাঠিয়েছে। আবার অনেকেই তার প্রশংসা করেছে। 

এই ধরণের স্পর্শকাতর নিয়োগের ক্ষেত্রে যে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত ছিল, সেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়নি বলেই অনেকে মনে করেন। নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে যেমন একটি অংশ আছে তেমনি নাঈমুল ইসলাম খান যেন শেষ পর্যন্ত প্রেস সচিব হতে না পারেন, প্রজ্ঞাপন যেন জারি না হয় সেজন্য কোন কোন মহল সক্রিয়। আর তারা নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড, তার নানা রকম নেতিবাচক দিক নিয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে তথ্য উপাত্ত নিয়ে ছুটাছুটি করছেন। সব কিছু মিলিয়ে পাঁচ দিনেও এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়াটাকে অনেকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে মনে করছেন। এখন দেখার বিসয় যে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

নাঈমুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আল্লাহর দল ইত্যাদি নাম ধারণ করে অপতৎতপরতা চালিয়েছে। হলি আর্টিজান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ, সিলেটের আতিয়া মহলসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামালপুরে ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন ।

 

রোববার (২ মে) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও মাদক প্রতিরোধে উলামা-মাশায়েখগণের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এসময় মন্ত্রী বলেন, মা তার জঙ্গীবাদী সন্তানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হতে তুলে দিয়েছেন। পরিবার বা কোন আত্মীয়-স্বজন জঙ্গীদের লাশ নিতে আসেনি। এই জঙ্গিবাদ যেন আর কখনই মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাই সচেতন থাকবেন।

 

তিনি আরও বলেন, ইমাম ও খতিবগণকে অনুরোধ জানাবো আপনারা মানুষের মাঝে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার করবেন। ইসলাম শান্তিুর ধর্ম, ইসলাম মানব মুক্তির দিশারী, এখানে মানুষ হত্যা, খুনের কোন স্থান নেই। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনই ইসলাম হতে পারে না।

 

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক শুধু জনশক্তি, হজ্জ, ওমরাহ পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি, ব্যবসা-বানিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সম্পর্কের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে, আর সরকারি হিসেবে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স অর্জন করে বাংলাদেশ। প্রতিদিন সৌদি দূতাবাসে ৫ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে, তবে আমরা চাই প্রশিক্ষিত জনশক্তি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশী অনেক শ্রমিকই প্রশিক্ষিত না হওয়ায় বেতন-ভাতাসহ অনেক জটিলতায় পরেন।  

ইসলামপুর উপজেলার ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাসের বাবুলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।


জঙ্গীবাদ   ঐক্যবদ্ধ   ধর্মমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত দুই লক্ষাধীক গবাদি পশু


Thumbnail

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় ২লাখ ৭৬হাজার ২০১টি গবাদিপশু। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। তবে হাটবাজার জমে উঠতে আরও কয়েক দিন দেরি হবে বলে জানান খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা।


সরেজমিন বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ের আর অল্প কিছুদিন বাকি থাকায় শেষ মুহুর্তে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। গরুকে খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুট্টা এবং ধানের কুড়াসহ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াচ্ছেন। তবে পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ অনেকটাই বেড়েছে বলে জানান খামারিরা।


সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড়ের এক খামারি ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, ‘এবারে আমাদের দেশি গরু দিয়েই কোরবানির হাটগুলো কানায় কানায় ভরে যাবে। প্রচুর গরু রয়েছে খামারিদের কাছে। তবে গোখাদ্যের দাম ও কাজের লোকের হাজিরা, সব মিলে একটি গরুর পেছনে যে ব্যয় হয় তা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে।’


ইটাখোলা ইউনিয়নের উত্তর সিংদই ময়দান পাড়া এলাকায় অবস্থিত আদিল এগ্রোর প্রোপাইটর আজমাঈন আদিল সাকিব বলেন, ‘গত ঈদে আমরা ৫০টি গরু নিয়ে এই খামারের শুরু করি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের কোরবানীর জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে শতাধিক দেশী জাতের ষাড় গরু কোরবানীর বাজারের বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। এসব গরুকে সম্পুর্ন প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়ানো হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, গরু গুলোকে প্রতিদিন দুই বেলা প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন ভুট্টা, খৈল,কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি ও খড় খাওয়ানো হয়। দিনে দুই-তিনবার গোসল করানো হয়। পশুর থাকার জায়গা সবসময় পরিষ্কার রাখাসহ সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে পরিবেশ ঠান্ডা রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গরু পালনে খরচ বেড়েছে অনেক। প্রতিবারই কোরবানীর ঈদের সময় চোরাই পথে ইন্ডিয়ান গরু প্রবেশের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে দেশীয় খামারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আশা করছি এবারে তেমনটা হবে না। যার ফলে আমরা খামারীর লাভবান হবো।


জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের সূত্রমতে জানা যায়, ‘এবার কোরবানির ঈদের জন্য জেলায় বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৭৫ হাজার ৮৩৩টি এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ২লাখ ৩৩৫টি। জেলায় গরু, ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা রয়েছে ১লাখ ৪৩হাজার ১০৯টি। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১লাখ ৩৩হাজার ৯২টি।’


নীলফামারী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক জানান, এবারও চাহিদার চেয়ে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরেও বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা। এবছর প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য উপজেলাভিত্তিক তালিকাভুক্ত খামারিদের সারা বছর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে হাটে আগত ব্যবসায়ী ও খামারিরা যাতে নির্বিঘ্নে তাঁদের পশু বিক্রি করতে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ও প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।


কোরবানী   ঈদ-উল-আযহা   গবাদি পশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাবাকে নিয়ে এমপি আনার কন্যা ডরিনের আবেগঘন স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার জন্য খুন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ হত্যার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

রোববার (২ জুন) তিনি লিখেছেন, ‘কেন তুমি চলে গেলে আব্বু, কেন চলে গেলে? আজ কালীগঞ্জের মানুষ আহাজারি করছে, রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোমার জন্য মানববন্ধন করছে। আমার এসব দেখেতো অনেক কষ্ট হচ্ছে আব্বু। আব্বু তোমার কি কষ্ট হচ্ছে?’

ডরিন আরও লিখেছেন, ‘আমার তো অনেক কষ্ট হয়, যখন সবাই বলে ওপারে ভালো থাকবেন। আমার তো কলিজাটা ছিঁড়ে যায় আব্বু। আমি মানতে পারি না।’



আনারকন্যা পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘তোমার হত্যার বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ। এর জন্য যা করণীয়, আমি সব করবো আব্বু। কিন্তু তুমি তো আর আমাকে বলবে না, আমার আম্মুটা কই। জীবনে সব পাওয়া গেলেও তোমাকে তো ফিরে পাবো না আমি আব্বু।’

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বি-ইউ ৫৬ নম্বর রুমে খুন হয়েছেন এমপি আনার। পরে ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার দেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঝিনাইদহ-৪   আনোয়ারুল আজিম আনার   মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভেজাল সেমাই ও চানাচুর জব্দ, কারখানা মালিককে জরিমানা

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাতক্ষীরায় পৃথক দু’টি অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সেমাই ও চানাচুর জব্দ করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে টাস্কফের্সের সদস্যরা এ অভিযান চালায়। 

রোববার (২ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরতলীর মেজোমিয়ার মোড়স্থ মেসার্স মামুন অ্যান্ড ব্রাদার্সের সেমাই কারখানায় ও পুরাতন সাতক্ষীরার ঘোষপাড়া এলাকার ইভা এন্টারপ্রাইজের মালিকানাধীন চানাচুর কারখানায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

এ সময় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের উপাদনের অভিযোগে সেমাই কারখানার মালিক মেসার্স মামুন অ্যান্ড ব্রাদার্সে মো. জিয়াউল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই মাসের বিনাশ্রম কারদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ফ্যাক্টরিও সিলগালা করা হয়। এছাড়া চানাচুর কারখানার মালিক ইভা এন্টারপ্রাইজের শেখ আব্দুস সামাদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান অনন্যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৩৫ ধারায় প্রতিষ্ঠান মালিকদের এই অর্থদণ্ড ও সাজা প্রদান করেন। এ সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্তসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত বলেন, সাতক্ষীরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার অনুপযোগী নিম্নমানের সেমাই তৈরি করা হচ্ছে- জেলা এনএসআইয়ের এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বেলা ১টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শহরতলীর মেজোমিয়ার মোড়স্থ মেসার্স মামুন অ্যান্ড ব্রাদার্সের সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান অনন্যা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জিয়াউল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত না হওয়ায় মিলের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে বেলা ২টার দিকে পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়ার ইভা এন্টারপ্রাইজে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর তৈরির অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান অনন্যা অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কারখানার মালিক শেখ আব্দুস সামাদকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত নিয়মে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও পরিবেশন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুচলেকা প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

ভেজাল সেমাই   জরিমানা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন