নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ০৯ মার্চ, ২০১৭
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের বা ব্যক্তির নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে দাঁড়িপাল্লা। রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এতদিন এই প্রতীকটি তাদের দলীয় প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু এই মনোগ্রামটি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে কোন রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবে না।
সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। তবে দলটির নতুন প্রতীক কি হবে, তা এখনও জানা যায়নি। হাইকোর্টের রেজিস্টার অফিস থেকে ডিসেম্বরে এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কেও জানানো হয়।
এরপর কমিশন সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর বিধিমালায় সংশোধন প্রস্তাব আনা হয়। সেটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় এতদিন ৬৫টি প্রতীক ছিল যা এখন কমে ৬৪টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নিবন্ধিত হয় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দলটি অবশ্য এর আগে থেকেই এই প্রতীকে কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। একটি রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। তবে দলটি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছে, যার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/আরএস/এনএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন